শিরোনাম

আজিজ, বেনজীর, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বক্তব্য

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪
  • ৭৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- ২৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উঠে আসে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ, পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমেদ এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের প্রেরণ করা নিয়ে দেশটির অবস্থান। এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

মিলারের কাছে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারির প্রথম প্রশ্নটি ছিলঃ জার্মান ভিত্তিক ডয়চে ভেলে সহ অন্যান্য পত্রিকার যৌথ তদন্তে জানা গেছে, বাংলাদেশি ডেথ স্কোয়াড- র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এর সাবেক এবং বর্তমান সদস্যরা নিয়মিতভাবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী হিসেবে নিযুক্ত হন। মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের জন্য তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এসেছে। র‍্যাবের অফিসারদের যে জাতিসংঘ মিশনে মোতায়েন করা হচ্ছে- তা নিয়ে আপনি কতটা উদ্বিগ্ন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র সেখানকার উল্লেখযোগ্য তহবিলের যোগানদাতা – যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রায় ২৭ শতাংশ তহবিলই দেশটির করদাতাদের অর্থ থেকে আসে?

জবাবে মিলার বলেনঃ আমরা এই রিপোর্টগুলোর বিষয়ে সচেতন। শান্তিরক্ষা কার্যক্রম আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার উন্নয়নে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। শান্তিরক্ষী কর্মীদের মানবাধিকার রক্ষা করাটা অপরিহার্য। ইউএন ডিউ ডিলিজেন্স নীতি অনুসারে, এ বিষয়টি স্ব-প্রত্যায়িত করার জন্য সেনা এবং পুলিশ পাঠানো দেশগুলোর উপর জাতিসংঘ নির্ভর করে যে- তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন বা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের সাথে জড়িত সেনা বা পুলিশদের সেখানে (মিশনে) পাঠাচ্ছে না।

দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল এমনঃ দুটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত সদ্য সাবেক পুলিশ প্রধানের বাংলাদেশে ব্যাপক দুর্নীতির খবর সম্প্রতি প্রকাশ হওয়ার পর কোনও মার্কিন সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রে বা অন্য কোনও দেশে তার সম্পদের কোনো পরীক্ষা করেছে কিনা এবং যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনো সম্পদ জব্দ করেছে কিনা? একইভাবে, আপনার কাছে কি দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ সম্পর্কে কোনো তথ্য আছে, যার বিরুদ্ধে আপনারা সম্প্রতি ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন? আপনারা কি সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন – এই কারণে যে কেন এই ব্যক্তিরা কিছু বা সবকিছু করার জন্য বিনামূল্যে ছাড় পাচ্ছেন?

মিলার বলেনঃ প্রথম প্রশ্নটির বিষয়ে, আমার কাছে বলার মতো কিছু নেই। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে বলবো, আমি আপনার উল্লেখ করা অভিযোগ এবং মিডিয়া রিপোর্ট সম্পর্কে সচেতন। আমরা স্পষ্ট করেই বলেছি, দুর্নীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধা দেয়, উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে, সরকারকে অস্থিতিশীল করে এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করে বলেই আমাদের বিশ্বাস। এই (বাইডেন) প্রশাসনের শুরু থেকেই আমরা দুর্নীতির বিরোধীতা করাকে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মূল স্বার্থে পরিণত করেছি।
বিজ্ঞাপন
এই কৌশলটির জন্য আমাদের বিশদ বাস্তবায়ন পরিকল্পনা বেশ কয়েকটি ঊর্ধ্বতন স্তরে প্রকাশ করা হয়েছে। আমার কাছে নতুন করে বলার মতো কিছু নেই। আপনি জানেন যে, আমরা কখনোই নিষেধাজ্ঞা বা অন্যান্য পদক্ষেপের বিষয়ে আগে থেকে কিছু বলি না।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions