বান্দরবান:- বান্দরবানে ঘূর্ণিঝড় ‘‘রিমাল’’ এর প্রভাবে ভারি বর্ষণে বেইলি ব্রিজ দেবে গিয়ে রুমা-থানচি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ষোল ঘন্টা পর বান্দরবান জেলা শহরে আজ মঙ্গলবার সকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ আংশিক চালু হয়। এদিকে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, ঘূর্ণিঝড় ‘‘রিমাল’’ এর প্রভাবে গত শনিবার থেকেই জেলার সাতটি উপজেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। বইছে ঝড়ো বাতাসও। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলার সাতটি উপজেলার চৌত্রিশটি ইউনিয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সাইক্লোন সেন্টারে ২০৭টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এদিকে ভারি বর্ষণে বান্দরবান সদরের লাইমী পাড়া এলাকায় বেইলি ব্রিজ দেবে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে রুমা-থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুই উপজেলায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সুগন্ধা পরিবহনের লাইনম্যান মিলন দাস।
অপরদিকে জেলার অভ্যন্তরিন রুমা-রোয়াংছড়ি, থানচি-আলীকদম, বান্দরবান-লামা-সূয়ালক, বান্দরবান-বাঙ্গালহালিয়া-রাঙ্গামাটি, ফাসিয়াখালী-লামা, ফাইতং-লামা গজালিয়া সড়কগুলো ছোটখাটো পাহাড় ধসে সড়কে মাটি জমে কাদা মাটিতে পিচ্ছিল বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’’ এর প্রভাবে জেলায় তিনদিন ধরেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে ও ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের। পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী মওজুদ রয়েছে।