ডেস্ক রির্পোট:- বর্তমান শ্বারুদ্ধকর পরিস্থিতিতে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করতেই স্বাধীন গণমাধ্যমের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে কর্তৃত্ববাদী সরকার। কোনো স্বৈরশাসকই চিন্তা, মুদ্রণ ও লেখনীর স্বাধীনতা সহ্য করতে পারে না। বাংলাদেশেও এখন একদলীয় স্বৈরশাসনে মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর নামিয়ে আনা হয়েছে উৎপীড়নের খড়্গ।
শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ উপলক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকসহ মুক্তচিন্তার মানুষের ওপর চলছে নিষ্ঠুর আক্রমণ। সরকারবিরোধী কণ্ঠস্বরকে নিস্তব্ধ করার জন্যই একের পর এক কালো আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সাংবাদিক ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দিনের পর দিন কারাগারে অন্তরীণ রাখা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, তাদের জামিন পাওয়ার অধিকারকেও বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হলেও আওয়ামী সরকার এই আইনকে সাংবাদিক, ভিন্নমতের মানুষ ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন করতে যথেচ্ছ ব্যবহার করছে, যাতে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে সত্য কথা বলতে না পারে। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আহ্বান জানাচ্ছি অবিলম্বে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি জোরালো আহবান জানাচ্ছি।’
১৯৯১ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’র (বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস) স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ইউনেসকোর মতে অবাধ, মুক্তচিন্তা এবং মতপ্রকাশের অধিকার হচ্ছে মানবাধিকারের অন্তর্নিহিত শক্তি।