শিরোনাম

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা,পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় উদ্বেগে বিশ্ব পর্যবেক্ষণের কথা বলছে দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪
  • ১৫৬ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- কভিড-১৯-এর প্রথম প্রাদুর্ভাব চিহ্নিত করা হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। সেটি মহামারী আকার ধারণ করলে গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীরাই প্রাণঘাতী এ রোগের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে টিকা আবিষ্কারের জোর চেষ্টা চালিয়ে যান। এরই ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে বেশকিছু প্রতিষেধক তৈরি হয়। এর মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অন্যতম। বিশ্বে প্রথম করোনার এ টিকাটি মানবদেহে প্রয়োগ করা হয় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। সপ্তাহ তিনেকের মাথায় বাংলাদেশেও পরীক্ষামূলকভাবে এর প্রয়োগ শুরু করে সরকার। এর ১০ দিন পরই গণপরিসরে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। দেশে মোট প্রয়োগকৃত ডোজের ১৫ শতাংশের বেশিই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে বলে এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে অভিযোগ উঠেছে। কোথাও কোথাও বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। তবে দেশে কোভিশিল্ড টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এরপরও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন।

দেশে টিকা অনুমোদন ও প্রয়োগের বিষয়ে সরকারের পরামর্শক হিসেবে কাজ করে টিকাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি (নাইট্যাগ)। ২০২১ সালে যখন অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ করা হয় তখন নাইট্যাগের সদস্য ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জরুরি পরিস্থিতিতে বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে টিকাটি দেশে অনুমোদনের জন্য নাইট্যাগ পরামর্শ দিয়েছিল। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি খুব অল্প সময়ে প্রস্তুত করা হয়েছিল। সাধারণত একটি টিকা প্রয়োগের পর্যায়ে যেতে ১০ থেকে ১২ বছর সময় লাগে। কোনো কোনো সময় আরো বেশি সময় প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে যখন টিকাটির অনুমোদন দেয়া হয়, তখন যুক্তরাজ্যেও অনুমোদিত হয়। এখন যে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, তা বাংলাদেশে হচ্ছে কিনা তার জন্য ক্লিনিক্যাল সার্ভের প্রয়োজন। আমরা ওই সময় সরকারকে পরামর্শ দিয়েছিলাম, যাদের এ টিকা দেয়া হবে তাদের মনিটরিং করতে। এ পর্যবেক্ষণ সাধারণত স্বল্প বা দীর্ঘ সময়ের জন্য হয়।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বে-নজির আহমেদ জানান, কোন টিকার অনুমোদন দেয়া যায়, ট্রায়াল হবে কি হবে না, তা কীভাবে প্রয়োগ করা হবে, কারা অগ্রাধিকার পাবে, সংরক্ষণ কীভাবে করতে হবে—এসব বিষয়ে মূলত নাইট্যাগ সরকারকে পরামর্শ দেয়। কোনো টিকা যখন আবিষ্কৃত হয় তখন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) মতামত চায়। করোনার টিকার বিষয়ে এসব প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছে। টিকার কারণে যদি মানুষের কোনো সমস্যা হয় এবং বিষয়টি যদি সঠিকভাবে পর্যালোচনা না হয় তাহলে তা শনাক্ত করা যাবে না। এর জন্য দীর্ঘদিন একটি নির্দিষ্টসংখ্যক মানুষকে টিকা দেয়ার পর পর্যবেক্ষণ করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনার আটটি টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে প্রথম থেকে চতুর্থ ডোজে ৩৬ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টিকা পেয়েছেন বিভিন্ন বয়সী ১৫ কোটির বেশি মানুষ। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ করে সরকার। দেশে প্রয়োগ করার প্রথম দিককার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি কোভিশিল্ড নামে প্রস্তুত করেছিল ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। এরপর অন্য উৎস থেকেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেয়েছিল বাংলাদেশ। দেশে এ পর্যন্ত কোম্পানিটির ৫ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে, যা মোট প্রয়োগকৃত টিকার ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেয়া হয়েছে ৮ কোটি ৬ লাখ ১১ হাজার, সিনোফার্মের ১১ কোটি ৪১ লাখ ৪৯ হাজার, মডার্নার ১ কোটি ৫৮ লাখ ৮ হাজার, সিনোভ্যাকের ৬ কোটি ১৩ লাখ ৮ হাজার, জনসন অ্যান্ড জনসনের ৬ লাখ ৭ হাজার, ফাইজার পিএফের (কমিরনেটি) ৩ কোটি ৫১ লাখ ১৯ হাজার, ফাইজার ভিসিভির ২৯ লাখ ৮৯ হাজার ডোজ।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাগ্রহীতার মধ্যে সম্প্রতি বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ আদালতে মামলাও হয়েছে। এক আইনি লড়াইয়ে সম্প্রতি বিষয়টি স্বীকারও করে নিয়েছে ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। যদিও এতদিন কোম্পানিটি বলে এসেছিল, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় তৈরি করা এ কভিড ভ্যাকসিন ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু দাবি উঠেছিল যে এ ভ্যাকসিনের জন্যই কয়েকজনের মৃত্যু এবং কেউ কেউ গুরুতর অসুস্থতার সম্মুখীন হয়েছেন।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি আদালতে স্বীকার করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। কোভিশিল্ড নামে তাদের কভিড-১৯ টিকা গ্রহণের ফলে থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস) নামে একটি বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) বলছে, টিটিএস এমন একটি বিরল শারীরিক সমস্যা, যা রক্তে প্লাটিলেট কমিয়ে দেয়। প্লাটিলেট রক্তকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। ফলে রক্তের এ উপাদানটি কমে গেলে মানুষের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে। টিটিএসের ফলে মস্তিষ্ক বা অন্ত্রে, কখনো কখনো পা বা ফুসফুসেও রক্ত জমাট বাঁধায়। ফলে রক্তে প্লাটিলেট সংখ্যা প্রতি মাইক্রো লিটারে ১ লাখ ৫০ হাজারের নিচে নেমে যেতে পারে। টিটিএসের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে গুরুতর মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা, পায়ে ফোলাভাব, শ্বাসকষ্ট ও খিঁচুনির মতো সমস্যা।

বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বিবেচনা করেই দেশে এখন ফাইজার ব্যতীত অন্য কোনো টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নাইট্যাগ সভাপতি অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ।তিনি বলেন, ‘গত নভেম্বরে আমরা শুধু ফাইজারের টিকা প্রয়োগের কথা সরকারকে বলেছি। মডার্নার টিকায় হৃদযন্ত্রে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ায় আমরা সেটাও বন্ধ করেছি।’

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যারা নিয়েছেন তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘যখন অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ করা হয় তখন বিকল্প কোনো টিকা ছিল না। পরে অনেক টিকাই পাওয়া গেছে। এসব টিকা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুমোদন দিয়েছে। আমরাও তাই পরামর্শ দিয়েছি। বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। তবে কোভিশিল্ডের টিকা যারা নিয়েছেন তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে স্নায়বিক, হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের সমস্যাগ্রস্ত রোগীর ক্ষেত্রে গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে চিকিৎসকদের।’

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে ২০২১ সালের মার্চেই ইউরোপে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। নরওয়ে ও ডেনমার্কে টিকাটি নেয়া প্রায় ৪০ জনের দেহে রক্ত জমাট দেখা দিলে এ উদ্বেগের জন্ম দেয়। সে সময় অ্যাস্ট্রাজেনেকা বিবৃতিতে বলেছিল, তাদের প্রস্তুতকৃত টিকায় রক্ত জমাটের ঝুঁকি বাড়ার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। ইউরোপে ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষের মধ্যে মাত্র ৩৭টির মতো রক্ত জমাটের ঘটনা ঘটেছে। যারা এ টিকা নেননি তারাও একই সময়ে সমান সংখ্যায় রক্ত জমাটের শিকার হয়েছেন। যদিও সে সময় জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক, বুলগেরিয়া, আইসল্যান্ড, থাইল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা প্রয়োগ স্থগিত করে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, নিয়মিতভাবে দেশে এখন টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী দেশে এখন শুধু ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সর্বশেষ প্রয়োগ করা হয় অন্তত দেড় বছর আগে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা এবং পর্যবেক্ষণের জন্য সে সময় জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সেল করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এবং ঔষধ প্রশাসন বিষয়টি পর্যালোচনা করে। সাধারণত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ২৪ ঘণ্টা বা ৪৮ ঘণ্টা অথবা তার কম সময়ের মধ্যে দেখা দেয় বলে টিকা দেয়ার পরপরই টিকাগ্রহীতাকে কিছু সময় টিকা কেন্দ্রে রাখা হয়।’

টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ফার্মাকোভিলেন্স সেন্টার। এ সেন্টারের প্রধান ও অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. আকতার হোসেন বলেন, ‘আমরা ওভারঅল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোইং ইমিউনাইজেশন (এইএফআই) দেখি। আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে সব জেলা-উপজেলার রিপোর্ট আসত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়টি বলতে পারবে। টিকা অনুমোদনের বিষয়টি ডিজিডিএ দেখে। এরপর টিকার প্রয়োগ থেকে শুরু করে বাকি সব বিষয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম। আমরা ফার্মাকোভিলেন্সে সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করি।’

করোনা মহামারীর সময় ভারতবাসীকেও প্রতিষেধক হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা দেয়া হয়েছিল। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করায় ব্রিটেনের পর জনস্বার্থে এবার ভারতের শীর্ষ আদালতেও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কতখানি, তা তদন্তের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানিয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে মামলাটি করেছেন বিশাল তিওয়ারি নামের এক আইনজীবী। এছাড়া শীর্ষ আদালতের কাছে বিশাল তিওয়ারির আবেদন, এ টিকা ঠিক কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা খতিয়ে দেখতে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করা হোক।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে মামলার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ২০২৩ সালে ব্রিটিশ আদালতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করেন জেমি স্কট নামে এক ব্যক্তি। তার অভিযোগ ছিল, ২০২১ সালের এপ্রিলে তিনি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেন। এরপর তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ও তা জমাট বেঁধে যায়। ফলে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমে গেছে। একই অভিযোগে ব্রিটিশ হাইকোর্টে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রায় ১০ কোটি পাউন্ড দাবি করে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (মাতৃ, শিশু ও কৈশোর স্বাস্থ্য এবং সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি-ইপিআই) ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এখন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিচ্ছি না। এ টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে বাংলাদেশে এখন এমন কোনো ঘটনা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কাজ করার জন্য আমাদের বিশেষজ্ঞ কমিটি রয়েছে। টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি সারা দেশেই পর্যবেক্ষণ করা হয়।’বণিক বার্তা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions