আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শত শত বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে কমপক্ষে ১০ হাজার ফিলিস্তিনির লাশ। গাজার জরুরি বিভাগ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজার হাজার লাশে ক্রমাগত পচনের ফলে উপত্যকায় রোগ ও মহামারি ছড়াতে শুরু করেছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মের শুরু হওয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে- যা পচনের গতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
পানি, খাদ্য ও ওষুধ সংকটের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো কাজ করলেও এ সমস্যা সমাধানে এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত কর্তৃপক্ষের কাছে ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশ উদ্ধারের মতো যন্ত্রপাতি নেই। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এখনো হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ, সেই হিসাবে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
এদিকে রাফা শহরে নতুন করে ইসরায়েলি হামলায় ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে যায়। গ্যাসের কারণে বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রস্তাব বিবেচনা করছে হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতি-সংক্রান্ত ইসরায়েলি প্রস্তাব বিবেচনা করছে হামাস। যদিও সংগঠনটির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আগ্রহী নয় ইসরায়েল। তারা গাজা থেকে পুরো সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিতে রাজি নয়।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন বলেছেন, ১৩০ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি চায় তেলআবিব।
নেতানিয়াহু ও বাইডেনের ফোনালাপ
গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। দুজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছে যে, এই ইস্যুতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ইস্যুতে এরই মধ্যে বেশ চাপে রয়েছে বাইডেন প্রশাসন। সূত্র: আল-জাজিরা