রাঙ্গামাটি:- পাহাড়ি নারী নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে রাঙ্গামাটির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা বেগম মুক্তা মামলার বাদীর তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন নামঞ্জুর করে মামলাটি খারিজ করে দেন।
বাদীর আইনজীবী জুয়েল দেওয়ান এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আদালত বাদীর তদন্ত প্রতিবেদনের নারাজি আবেদন নামঞ্জুর করে মামলাটি নথিভুক্ত (খারিজ) করেছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে ১১ জুন রাতে অপহরণের শিকার হন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত ছাত্রী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক কল্পনা চাকমা। এ ঘটনায় বাঘাইছড়ি থানায় মামলা করেন তাঁর বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা।
এ মামলায় বাঘাইছড়ি থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক ২০১০ সালের ২১ মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তখন এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে নারাজি আবেদন দিলে আদালত অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। পরে সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ দুই বছর তদন্ত করে ২০১২ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেদনের ওপরও নারাজি দেন মামলার বাদী। এ আবেদন আমলে নিয়ে আদালত অধিকতর তদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর তৎকালীন পুলিশ সুপার সৈয়দ তারিকুল ইসলাম তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। এ প্রতিবেদনেও নারাজি দেন বাদী।
বাদীর অভিযোগ, বাঘাইছড়ি থানা–পুলিশ, সিআইডি ও পুলিশ সুপার তাঁদের তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার সঠিক তথ্য আনেননি এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত সেনা কর্মকর্তা লেফেটন্যান্ট ফেরদৌস, ভিডিপি সদস্য নুরুল হক, সালেহ আহমদের নাম প্রতিবেদনে আনেননি।
মামলার বাদী কালিন্দী কুমার চাকমা বলেন, ‘আমি বোনকে অপহরণের সুষ্ঠু বিচার চাই। বোনের অপহরণের বিচার পেতে আমি উচ্চ আদালতে যাব।’