শিরোনাম
বাণিজ্য সম্ভাবনায় ‘সেভেন সিস্টার্স’ দুবাইয়ে বিপু-কাজলের ২০০ কোটির দুই ভিলা পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে,প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে তাকিয়ে সবাই শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক ডিসেম্বরে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে কি এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা

আইন ব্যবসা আর চকবাজারের ব্যবসা কি এক, প্রশ্ন হাইকোর্টের

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৪১ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- আইন ব্যবসা আর চকবাজারের ব্যবসা এক কি না এমন প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। বিচারকের সঙ্গে অসৌজন্য মূলক আচরণের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে নীলফামারী জেলা বারের সভাপতিসহ তিন আইনজীবী হাজির হলে শুনানিতে এমন প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হয়। এর আগে তিন আইনজীবী লিখিতভাবে হাইকোর্টে নিশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

শুনানির শুরুতে হাইকোর্ট বলেন, ‘সভাপতি, সেক্রেটারি ও সাঈদ আহমেদ রাজা ব্রান্ড হয়ে গেছেন। জেলা বারে আদালত অবমাননা হলেই আপনারা আসবেন।’ এ সময় সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, ‘সরি।’ সুপ্রিম কোর্ট বারের সেক্রেটারি আব্দুন নূর দুলাল বলেন, ‘আমরা ডিসকারেজ করি।’ আদালত বলেন, ‘পিরোজপুর, খুলনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নীলফামারী – একের পর এক হচ্ছে। আপনারা তো চেম্বারে গিয়ে নো বলেন না’ মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, ‘নো বলেছি। আমার ফ্রেন্ডদের বলেছি, আমি যাব না। জুডিশিয়ারির সম্মান নষ্ট হলে আমাদের সম্মান নষ্ট হবে।’

হাইকোর্ট বলেন, ‘এসব তো বাইরে বলেন না। সবাই তো বারের সিনিয়র মেম্বার। এখানে পারসোনালি কিছু না। আইনজীবীরা কোর্টকে সহযোগিতা করেন। সিনিয়ররা না বুঝলে জুনিয়ররা কি শিখবে? বার কাউন্সিলে ট্রেনিং করান। চক বাজারের ব্যবসা আর আইন ব্যবসা এক?’ মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, ‘নো নো, এটা ব্যবসা না।’

আাদালত বলেন,‘আপনাদের মিটিং-এর কি হলো?’ বার কাউন্সিলের সদস্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘মিটিং-এ আমরা বার নেতাদের বক্তব্য শুনেছি। ওনারা ওনাদের বিভিন্ন বিষয়ে বলেছেন। তারপর আমাদের ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান বলেছেন, কোনো সমস্যা হলে বার কাউন্সিলের একটি কমিটি আছে সেখানে জানাতে। আর বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে প্রধান বিচারপতি, আইনমন্ত্রীর কাছে যাবে। নিজস্ব বারে যেন রেজ্যুলেশন না নেওয়া হয়। আমাদের এখানে রায়ের মাধ্যমে উভয় পক্ষের (বার-বেঞ্চ) জন্য একটি গাইডলাইন আসলে ভালো হবে।’

সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘আমরাতো আগে এ রকম দেখিনি। আগে কিছু হলে হাইকোর্ট পর্যন্ত আসত না। ঘটনা হলে বারের সিনিয়র মেম্বার দুই মিনিটের মধ্যে হাতজোড় করে ফেলছে। তখন সব ঠান্ডা হয়ে যেত।’

পরে আদালত এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। ওই দিন তিন আইনজীবীকে আবারও আসতে বলা হয়েছে।

এর আগে বিচারকের সঙ্গে অসৌজন্য মূলক আচরণের অভিযোগে ব্যাখ্যা দিতে নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজুল হক, সহসভাপতি মো. আজহারুল ইসলাম ও আইনজীবী ফেরদৌস আলমকে তলব করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত অবমাননার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

বুধবার তিন আইনজীবীর পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সেক্রেটারি আব্দুন নূর দুলাল ও বার কাউন্সিলের সদস্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions