ডেস্ক রির্পোট:- উচ্চ আদালতে বিচারাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বা হিল ট্রাক্টস ম্যানুয়াল-১৯০০ সংক্রান্ত একটি মামলায় রায় নিজেদের পক্ষে আনার জন্য অত্যন্ত গোপনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির একটি গ্রুপ ঢাকায় ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে।
আগামী ২২ মে এ সংক্রান্ত একটি রিভিউ পিটিশন মামলা তো আদালতে শুনানি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় লারমার ভারতে অবস্থানের কারণে এই মামলা তদারকির জন্য আঞ্চলিক পরিষদ পরিষদের অন্যতম সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম চাকমা বেশ কয়েকদিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
এসময় ঢাকার বেইলি রোডে অবস্থিত আঞ্চলিক পরিষদের নতুন রেস্ট হাউসে ঘন ঘন বৈঠক করছেন। গত ১২ মে এই রেস্ট হাউসে সুপ্রিম কোর্টের একজন ট্রাইবাল আইনজীবীর সাথে তিনি বৈঠক করেছেন।
এছাড়াও এই মামলার বিষয়টি তদারকির কাজে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক সহ ট্রাইবাল আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীদের একটি গ্রুপ এই মামলা তদারকিতে ব্যাপক তৎপর রয়েছেন ঢাকায়।
এছাড়াও একজন সার্কেল চিফ ও সুপ্রিম কোর্টের একজন সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এই মামলার বিষয়টি দেখভাল করছেন।
উক্ত টিম ইতিমধ্যেই কোন কোন উপদেষ্টার অফিস ও বাসভবন এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল প্রভাবশালী মহলের সাথে যোগাযোগ করে ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বৈধ করার জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন।
উল্লেখ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত দুইটি মামলা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রিভিউ পিটিশন শুনানির জন্য বিচারাধীন রয়েছে। এগুলো হলো ওয়াগ্গাছড়া টি স্টেট মামলা এবং রাঙ্গামাটি ফুড প্রোডাক্টস মামলা।
এ দুটি মামলার রায়ে বিতর্কিত প্রধান বিচারপতি সিনহা পার্বত্য চট্টগ্রামের ট্রাইবাল জনগোষ্ঠীদের আদিবাসী স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক শর্তাবলী বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন সরকারকে। এবং এ রায় বাস্তবায়িত হলে ১৯০০ সালের শাসন বিধি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম এক্সক্লুডেড এরিয়া বা নন রেগুলেটেড এরিয়া হিসেবে পরিগণিত হবে।
এছাড়াও শান্তি চুক্তির বিভিন্ন ধারা সংবিধান বিরোধী বলে বাতিল করা একটি মামলা আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।পার্বত্যনিউজ