শিরোনাম
ঐকমত্য কমিশনের সাথে ইউপিডিএফ’র বৈঠকে ইঞ্জি. থোয়াই চিং মং শাকের উদ্বেগ রাঙ্গামাটিতে বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন কাপ্তাই লেক দেশের সম্পদ, একে রক্ষা করতে হবে : ফরিদা আখতার ইউপিডিএফ নিষিদ্ধের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে মহাসমাবেশ এনবিআর ভেঙে হলো দুই বিভাগ, অধ্যাদেশ জারি এনবিআর বিলুপ্ত করে অধ্যাদেশ জারি হাসিনার সীমান্ত সড়কে তিন পার্বত্য জেলা এবং বিশেষ করে বৃহত্তর চট্টগ্রাম নিয়ে নতুন করে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা চান সিভিল সার্জনরা বিপুল অর্থপাচারে ‘সেভেন স্টার’ গ্রুপ হাসিনাই ‘নির্দেশদাতা’ জুলাইয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন

ঐকমত্য কমিশনের সাথে ইউপিডিএফ’র বৈঠকে ইঞ্জি. থোয়াই চিং মং শাকের উদ্বেগ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
  • ১৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রিপেৃাট:- পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এ অঞ্চলের সংকট শুধুমাত্র আঞ্চলিক নয়, বরং এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে, জাতীয় ঐক্য এবং সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।

আজ এক বিবৃতিতে অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনীতিবিদ ইঞ্জি. থোয়াই চিং মং শাক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “১৯৭১ সাল থেকে আজ ২০২৫ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামবাসী প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। ভারতের দখলবাদী নীতির ছায়ায় একটি গোষ্ঠী বরাবরই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে এসেছে।”

তিনি বলেন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর প্রত্যক্ষ মদদে পরিচালিত সংগঠনসমূহ আজো ‘স্বায়ত্তশাসন’-এর নামে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এই স্বায়ত্তশাসনের দাবির পেছনে দীর্ঘমেয়াদি উদ্দেশ্য হচ্ছে তথাকথিত ‘জুম্মল্যান্ড’ নামে একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন।

ইঞ্জি. শাক আরও বলেন, “আজও পাহাড়ে ৫-৬টি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন অস্ত্র নিয়ে খুন, চাঁদাবাজি, অপহরণ চালিয়ে যাচ্ছে। জেএসএস, ইউপিডিএফ, কেএনএফসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন পাহাড়ে চাঁদার টাকায় রাজত্ব কায়েম করেছে।”

তাঁর অভিযোগ, সরকারের ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ একটি অনিবন্ধিত, অবৈধ ও সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ-এর সঙ্গে বৈঠকে বসছে, যা সরাসরি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে পরিণত হয়েছে।

তিনি প্রশ্ন রাখেন, “যে সংগঠনের হাতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের রক্ত, যারা সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, তাদের সঙ্গে কীভাবে একটি সরকারি কমিশন বৈঠক করে? এটি কি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পরোক্ষ স্বীকৃতি নয়?”
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, একই সময়ে সন্তু লারমা ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রটোকল নিয়ে সে দেশে অবস্থান করছেন, যা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তার রাজনৈতিক স্বীকৃতি প্রাপ্তির ইঙ্গিত বহন করে।

দাবিসমূহ:
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইঞ্জি. শাক নিম্নোক্ত দাবি ও আহ্বান জানান:
১। ১৫ মে ইউপিডিএফ-এর সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
২। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে ড. ইফতেখারসহ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সহযোগীদের অপসারণ করতে হবে।
৩। ইউপিডিএফ, জেএসএস, কেএনএফ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
৪। সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫। রাষ্ট্রদ্রোহী সন্তু লারমার প্রটোকলপ্রাপ্ত অবস্থান বাতিল করে তার ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
“স্বায়ত্তশাসনের নামে অন্যকোনো রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বাংলার মাটিতে কখনো বাস্তবায়ন হবে না। পার্বত্য চট্টগ্রাম চিরকালই বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবে।”সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions