ডেস্ক রির্পোট:- নবম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. শামসুল আলমের পদোন্নতি এখনও কার্যকর না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সংগ্রামী ছাত্ররা।
সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বরাবরে দেওয়া স্মারকলিপিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, মো. শামসুল আলম বিগত ১৮ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। তিনি ৫ আগস্টের পরে রাষ্ট্রপতির আদেশে চাকরিতে পুনর্বহাল হন এবং ২০২২ সাল থেকে তাকে সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রপতি সামারি অনুমোদন করেন। অথচ অদ্যাবধি তার পদোন্নতি কার্যকর না করে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে কিছু আমলারা।
গত বুধবার বিকেলে তৌফিক শাহরিয়ারের নেতৃত্ব ১৩ জন ছাত্রের একটি দল বাংলাদেশ সচিবালয়ে গিয়ে ওই স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের কর্মরত সিনিয়র মোস্ট কর্মকর্তা (নবম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের) তিনি জুলাই-আগস্ট ছাত্র-গণ আন্দোলনে আমাদের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন। তার প্রচার প্রচারণা এবং লেখালেখি এই গণ-আন্দোলনের শক্তি জোগায়। এমনকি তিনি “৩৬ জুলাই” থিমটির প্রবক্তা। এতৎসত্ত্বেও তিনি ৯ মাস ধরে এখনও বঞ্চিত হয়ে আছেন। তার ওপরে চলমান এ বৈষম্য আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
তারা বলেন, আমাদের আন্দোলনের সাথী শামসুল আলমকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি কার্যকর করে সম্মানজনক পদে পদায়ন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও তার দীর্ঘ ১৮ বছরের বঞ্চনার ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ বছর চাকরি বর্ধিত করে দেশসেবার সুযোগ দেওয়া হোক। অন্যথায় এই অস্বাভাবিক বঞ্চনার দূর করার জন্য বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশিদের (৮২ ব্যাচের চুক্তিভিত্তিক) নিকট স্মারকলিপি প্রদানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব সিরাজউদ্দিন মিয়া (৮২ ব্যাচের চুক্তিভিত্তিক), জনপ্রশাসন সচিব মোখলেসুর রহমান (৮২ ব্যাচের চুক্তিভিত্তিক), স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি (৮২ ব্যাচের চুক্তিভিত্তিক), অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান চৌধুরী (১৩ বিসিএস), লেজিসলেটিভ সচিব আবদুল হাফিজ। বৈঠক সূত্র জানায়, সেখানে বিস্ময়করভাবে দুদক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন (৮২ ব্যাচ) উপস্থিত থেকে ছাত্রদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ছাত্ররা তাকে চ্যালেঞ্জ করেন। এমনকি তিনি আমলাতন্ত্রের প্রমোশন, পোস্টিংয়ে নাক গলান এমন অভিযোগ তুলেন ছাত্ররা। এক পর্যায়ে তিনি ঐ স্থান ত্যাগ করেন।