জেএসএস এর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পাহাড়ের মানুষ,চাঁদা না দেয়ায় বন্ধ করে দেয়া হয় কাজ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২০১ দেখা হয়েছে

রাঙ্গামাটি:- পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু গ্রুপের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পার্বত্যবাসী। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে সন্তুুর সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি। রেহাই পাচ্ছে না উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা। মুখ বুজে সহ্য করে যাচ্ছে তারা কেননা মৃত্যুর ভয় যে তাদের কে প্রতিনিয়ত ভাবায়। স্বজাতি কর্তৃক এমন জঘন্য চাঁদাবাজি একমাত্র পাহাড়ের সন্ত্রাসী দ্বারা সম্ভব। পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা চাই পাহাড়ে উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড পরিচালিত হোক। এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হোক। প্রতিটি রাষ্ট্রের সাথে আধুনিকতার ছোঁয়ায় পৌঁছাতে চাই তারা। কিন্তুু সেটি সম্ভব হয়ে উঠে না পাহাড়ের কিছু সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের কারণে। সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বাধা প্রদান করে। বিগতবছর গুলোতে আমরা তা স্বচোখে প্রত্যক্ষ করেছি।
আজ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সদর উপজেলায় PEDP-4 প্রকল্পের আওতায় সাপছড়ি যৌথ খামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ নির্মিত ভবনের (প্যাকেজ নং- e-Tender/ PEDP-4 /RAN/SAD/2023-24/W2A-07122), Tender ID:991175 (ভবন, বিদ্যুৎ ও আসবাবপত্র সহ) ৩৯ লক্ষ টাকার প্রকল্পের কাজ করার সময় জেএসএস (সন্তুু) কালেক্টর ভাঙ্গা চাকমা এর নেতৃত্বে ০৪/০৫ জন সিএনজি যোগে স্কুলে আসে এবং শ্রমিকদের ০৬ টি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে দেপ্পাছড়ির দিকে চলে যায়।
উক্ত স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনের ঠিকাদার মোঃ হানিফ, কর্তৃক তাদের চাঁদা পরিশোধ না করাই শ্রমিকদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এবং ঠিকাদারকে যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশ দেন। এই ভাবে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে চাঁদা আদায় করে আসছে। চাঁদা না দেওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয় উন্নয়ন কাজ।
রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, জুরাইছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়ি আংশিক, লংগদু ও বান্দরবান জেলার বেশকিছু এলাকা ও খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি, দীঘিনালা আংশিক জেএসএস নিয়ন্ত্রিত। এই এলাকা গুলোর পাহাড়িরা চাঁদাবাজির স্বীকার ৷ প্রতিটি পরিবারকে বাৎসরিক ও এককালীন চাঁদা দিয়ে বসবাস করতে হয়। এছাড়াও ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করতে মাসিক, বাৎসরিক ও এককালীন চাঁদার টোকেন সংগ্রহ করতে হয়। পাহাড়িদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা-বেচার ক্ষেত্রেই জেএসএসকে চাঁদা দিতে হয়। এমন কোনো পণ্য নেয় যেখানে জেএসএসকে চাঁদা দিতে হয়না। যানবাহন চলাচলে তো চাঁদা আছেই। জেএসএস এই চাঁদাবাজি প্রকাশ্যে বা গোপনে করে। এটা পাহাড়ের সকল শ্রেণীর মানুষ অবগত৷ কিন্তু অবৈধ অস্ত্রের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায়না৷

১৯৯৭ এর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির নীতিমালা রক্ষায় পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সরকারি বাহিনী গুলোকে আরো তৎপর হতে হবে ৷ অন্যথায় পাহাড়ে শান্তি ফিরে আনা কখনো সম্ভব হবেনা। প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প গুলো পুনঃস্থাপন এখন সময়ের দাবি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions