খাগড়াছড়ি:- পুরাতন বছরকে বিদায় নতুন বছরকে বরণ করে নিতে খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায়ের নববর্ষ বরণ সাংগ্রাইং উপলক্ষ্যে ছয় দিনব্যাপী উৎসবের সূচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০) সকালে জেলা সদরের পানখাইয়াপাড়ার বটলতা এলাকায় মারমাদের ঐতিহ্যবাহী আলারী ও দঃ খেলার আয়োজন করে মারমা উন্নয়ন সংসদ।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার ও বিশেষ অতিথি ছিলেন,পুলিশ সুপার মো.আরেফিন জুয়েল, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি তরণ কুমার ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক এইচ এম প্রফুল্ল।
এর আগে উৎসেবর সূচনা দিনে মারমাদের ঐতিহ্যবাহী ডিসপ্লে প্রদর্শন করে মারমা নৃত্যশিল্পীরা। পরে উদ্বোধন করা হয় মারমাদের ঐতিহ্যবাহী দঃ খেলা ও আলারি খেলা ।
এ সময় আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন ,‘সাংগ্রাইং যে উৎসব চলছে এটির মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে যুক্ত হয়েছে। গোটা বাংলাদেশের জন্য এটি অনুকরণীয়। এখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে মেলবন্ধন গড়ে উঠবে এবং সহবস্থান তৈরি হবে। এটি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যর প্রতিচ্ছবি। আমরা যে অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায় এই ধরনের উৎসব সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
আগামী ১৪ এপ্রিল মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাইং উৎসবে ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা জলোৎসবে তরুন-তরুনীরা একে অপরের দিকে পানি নিক্ষেপ করে উল্লাস প্রকাশ করবে। মার্মা জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস এই পানি উৎসবের মধ্য দিয়ে অতীতের সকল দু:খ-গ্লানি ও পাপ ধুয়ে-মুছে যাবে। সে সাথে তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে বেছে নেবে তাদের জীবন সঙ্গীকে।
বৈসাবি এক সময় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য হলেও এখন সার্বজনীন ও জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। এই উৎসবের মধ্য পাহাড়ের সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি আরো সু-দৃঢ় হোক এ প্রত্যাশা সকলের।