মেহেদী হাসান সোহাগ,রাঙ্গামাটি:- তিন মিনিটের ফোটা ফোটা বৃষ্টিতে একদিকে রানীরহাট থেকে কাউখালী সড়ক অন্যদিকে রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম সড়কের রানীরহাট মাজার গেইট থেকে মাঘাইছড়ি পর্যন্ত সড়ক যেন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এ যেন দেখার কেউ নেই।রানীরহাট থেকে মাঘাইছড়ি পর্যন্ত অসংখ্য ইটভাটা রয়েছে অন্যদিকে কাউখালী সড়কে রয়েছে অন্তত এক ডজন ইটভাটা। এসব ইটভাটায় মাটি বহনকারী ট্রাকগুলো থেকে মাটি পড়ে প্রতিটি ভাটার পাশের সড়কের এক থেকে দুই কিলোমিটার রাস্তার ওপর মাটি পড়ে আছে। মাটি বহনের সময় মাটির ওপর ঢাকনা ব্যবহারের কড়াকড়ি আইন থাকলেও সেসব না মেনে ইটভাটার মালিকদের ভাড়া করা ট্রাক ও তাঁদের শ্রমিকেরা এভাবে মাটি ফেলে রাস্তা নষ্ট করেন। সামান্য বৃষ্টি হলেই অথবা শিশির পড়ে এই মাটি কাঁদা হয়ে চরম পিচ্ছিল অবস্থার সৃষ্টি হয়। আবার অনেক সময় ইটভাটায় স্তূপ করে রাখা মাটি বৃষ্টিতে কাঁদা হয়ে গড়িয়ে রাস্তার ওপর পড়ে পিচ্ছিল হয়ে যায়। পিচ্ছিল এসব রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সিএনজি বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ইঞ্জিন ভ্যানসহ ছোটখাটো যানবাহনে চলাচলকারীরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পড়ছেন।এমনটি বড় গাড়িও নিয়ন্ত্র হারায় মাঝেমাঝে।
স্থানীয়রা জানান, বিগত সরকারের আমলেও এসব ভাটার মালিকেরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা তাঁদের কিছু বলার সাহস পান নি বর্তমানেও একি অবস্থা। আবার কেউ কিছু বললেই ভাটা মালিকদের রোষানলে পড়তে হয় তাঁদের। এমনকি ভাটা ও ট্রাক শ্রমিকদের কাছে নিগৃহীতও হতে হয়।
সিএনজি যাত্রী এক ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম ভূইয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আজকে সন্ধ্যায় এ রোডে আসলাম। রোডের অবস্থা খুবই বিপদজনক। আমাদের সামনেই একটি ট্রাক প্রায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার বাইরে চলে গিয়েছিল।খুব দ্রুত প্রশাসনের নজরদারি দরকার।
এদিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আমি গতকালি জয়েন্ট করেছি, রাস্তার মাটি পরিস্কারের জন্য আমি এখনি প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং ভবিষ্যৎতে যাতে এমন না হয় সেটির জন্য প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।