শিরোনাম
চাঁদা না পেয়ে ১০ দোকানে তালা, জামায়াত নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪ ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালো, সেটিও বিচারের দাবি রাখে’ খাগড়াছড়িতে পুলিশের অভিযানে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ১ রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফ এর আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান একে ৪৭ ও রাইফেলসহ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার রাঙ্গামাটির কাপ্তাই নৌবাহিনীর ফ্রি চিকিৎসা সেবা চবি শিক্ষার্থী খাগড়াছড়ির সানু,সামাজিক কাজে জাতীয় স্বীকৃতি পেলেন জুলাই সনদের খসড়া প্রকাশ,রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চেয়ে চিঠি প্রাথমিকের ৬৫,৫০২ প্রধান শিক্ষক ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন, প্রজ্ঞাপন জারি আগামী ১১ দিন নৈরাজ্যের আশঙ্কা, ঠেকাতে এসপিদের এসবির চিঠি মাইলস্টোনের রাঙ্গামাটির শিক্ষার্থী উক্য ছাইন মারমার শ্মশানে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধা

রাঙ্গামাটির সাজেকে জুমের আগুনে দগ্ধ তুহিন ত্রিপুরার মৃত্যু

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫
  • ১৪২ দেখা হয়েছে

রাঙ্গামাটি:- রাঙ্গামাটির সাজেকে পাহাড়ে জুম চাষের আগুনে দগ্ধ হয়ে তুহিন ত্রিপুরা (৪০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই পাড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার ও বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ূন কবির তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানাযায়, জুমে আগুন দেওয়ার সময় হঠাৎ করে বাতাসের তীব্রতায় আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আগুনে আটকে গিয়ে তার শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

স্থানীয়রা জানায়, জুমে আগুন লাগিয়ে কাজ করছিলেন তুহিন ত্রিপুরা। হঠাৎ বাতাস বেড়ে যাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং দ্রুত পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আগুনের মাঝে আটকা পড়েন তুহিন ত্রিপুরা।

খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসে ৫৪ বিজিবি বাঘাইহাট ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। পরবর্তীতে তাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে দিঘিনালা হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় মারা যান তুহিন ত্রিপুরা।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের পরপর দীঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালালেও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় লাগে।

উল্লেখ্য, এর আগেও গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শতাধিক স্থাপনা পুড়ে যায়। এরপর আবারও অগ্নিকাণ্ড এবং উদ্ধার ও নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থাপনার কারণে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এখনই সাজেকে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা করা না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions