আদালত অঙ্গনে রাজনীতি করা যাবে না,বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৭ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- বিচারিক প্রক্রিয়াকে নিরপেক্ষ, স্বাধীন এবং গতিশীল রাখার জন্য আদালত প্রাঙ্গণে দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন। পাশাপাশি দেশের আইনজীবী সমিতিগুলোকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতের স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত করে এমন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে আইনজীবীদের বিরত থাকা আবশ্যক। আদালত প্রাঙ্গণে এ ধরনের কর্মসূচি বা কর্মকাণ্ডকে পেশাগত অসদাচরণের অন্তর্ভুক্ত করে বার কাউন্সিলের মাধ্যমে এই ব্যাপারে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রচলন করতে হবে। আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল, সমাবেশ, অবস্থান, ঘেরাও কর্মসূচি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও তার কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বিচারকদের রাজনীতির ব্যাপারে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারকদের অবশ্যই সব ধরনের রাজনৈতিক প্রভাব ও সম্পৃক্ততা থেকে মুক্ত থাকতে হবে। রাজনৈতিক আনুগত্য প্রদর্শন বা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশকে অসদাচরণ হিসেবে বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট আচরণবিধি অনুসারে কঠোরভাবে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোর দুটি বিষয়ে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার প্রয়োজন বলেও মনে করে কমিশন। বিশেষ করে, দলগুলো আইনজীবী সমিতি নির্বাচন এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখবে না এবং নির্বাচনগুলোতে অন্য কোনোভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার বা হস্তক্ষেপ করবে না। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠন হিসেবে আইনজীবীদের কোনো সংগঠনকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না।’ এ বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের ২০০৫ সালের রায় অনুযায়ী আদালতের প্রবেশদ্বার বা চত্বরের মধ্যে যে কোনো জমায়েত, মিছিল, বিক্ষোভ, বয়কট বা ঘেরাও কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ জারি করবে এবং তার পরিপালন তদারকি করার সুপারিশ করা হয়েছে।

বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব করতে গত ৩ অক্টোবর আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানের নেতৃত্বে আট সদস্যের সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। এর পর থেকেই কমিশন সরেজমিন বিভিন্ন আদালত পরিদর্শন, মতবিনিময়সহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করে। দীর্ঘ আলোচনা-পর্যালোচনার পর গত বুধবার আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বাধীন কমিশন তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করে।

প্রতিবেদনে ক্ষমা প্রদর্শনে রাষ্ট্রপতির একচ্ছত্র ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণসহ ৩০টি বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। এসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ ও শৃঙ্খলা, অধস্তন আদালতে বিচারক নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি, সুপ্রিম কোর্টে আলাদা সচিবালয় স্থাপন, আদালত ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা, স্বতন্ত্র ফৌজদারি তদন্ত সংস্থা গঠন, বিচার প্রার্থীদের হয়রানি লাঘব, দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, আইনগত সহায়তা কার্যক্রম ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা কার্যকর করা, প্রচলিত আইনের, আইন পেশার ও আইন শিক্ষার সংস্কার, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধ, মামলার জট হ্রাস, মোবাইল কোর্টে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সাজা প্রদানের ক্ষমতা রহিত করা, গ্রাম আদালতের ভুলত্রুটি দূর করা, বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা ইত্যাদি।

‘বিচার বিভাগের রাজনীতিকীকরণের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা’

কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানের বিদ্যমান কাঠামোতে বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য যথাযথ বিধান নেই। এর ফলে বিগত কয়েক দশকে বিচার বিভাগের রাজনীতিকীকরণের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা লক্ষ করা যায়। বিচার বিভাগকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও নেতাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারের কারণে বিচারক, আইনজীবীসহ সমগ্র সমাজকে এই প্রক্রিয়ায় ভুক্তভোগী হতে হয়েছে। বিভিন্নভাবে বিচার বিভাগের রাজনীতিকীকরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

এর মধ্যে রয়েছে—যোগ্যতর ও কর্মে প্রবীণ বিচারককে প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পরিবর্তে রাজনৈতিক বিবেচনায় ওইসব পদে নিয়োগ করা হয়েছে। একইভাবে অধস্তন আদালতের বিচারকদের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার পরিবর্তে রাজনৈতিক বিবেচনা প্রয়োগ করা হয়েছে।

রাজনীতি ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মামলার রায়ে ক্ষমতাসীন দলের অভিপ্রায় বাস্তবায়নের প্রয়াস, যার মধ্যে বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য হলো সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায়। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক মতৈক্যের ভিত্তিতে প্রবর্তিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। কোনো কোনো রায়ে অপ্রয়োজনীয় ও দৃষ্টিকটুভাবে রাজনৈতিক বক্তব্য, মতামত ও বিতর্কিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার ঘটনাও ঘটেছে। আইনজীবীদের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে মামলা পরিচালনায় তাদের সুবিধা প্রদানের প্রবণতা এবং মামলার ফলে তার প্রতিফলন দেখা গেছে। আইনজীবী সমিতিগুলোর নির্বাচনে এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ, যার নিদর্শন হলো নির্বাচনের প্যানেল রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে অনুমোদনের প্রচলন হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণে বিভিন্ন দলীয় রাজনৈতিক স্লোগানসহ মিছিল, সভা, বিক্ষোভ কর্মসূচি, ঘেরাও, বয়কট, বিচারকদের হুমকি প্রদানের ঘটনা ঘটেছে।

এ অবস্থায় বিচারাঙ্গনকে দলীয় রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক বিবেচনায় বিচারক নিয়োগের প্রচলন পরিহার করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি স্বাধীন কমিশনের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগের ব্যবস্থার প্রচলন করা অপরিহার্যসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।

‘প্রতিটি জেলায় বার কাউন্সিল ট্রাইব্যুনাল স্থাপন’: আইন পেশার সংস্কার বিষয়ে কমিশন তার প্রতিবেদনে বলেছেন, নানাবিধ সীমাবদ্ধতার কারণে এই প্রতিবেদনে আইনজীবী হিসেবে সনদপ্রাপ্তি, প্রশিক্ষণ এবং বিচার কার্যক্রমে তাদের আচরণের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে করা সুপারিশে বলা হয়েছে, আইনজীবীদের পেশাগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে একটি স্থায়ী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা আবশ্যক। এ ছাড়া বার কাউন্সিল আদেশে আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণের একটি স্পষ্ট সংজ্ঞা থাকতে হবে। আইনজীবীদের সংখ্যা এবং দাখিলকৃত অভিযোগের সংখ্যা বিবেচনা করে অবিলম্বে বার কাউন্সিল ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বৃদ্ধি করা আবশ্যক। ঢাকায় স্থায়ীভাবে পাঁচটি ট্রাইব্যুনাল এবং ঢাকার বাইরে প্রতিটি জেলায় একটি করে ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা প্রয়োজন, যাতে আইনজীবী এবং অভিযোগকারী তাদের নিজ জেলার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের এবং পরিচালনা করতে পারেন। ট্রাইব্যুনালের গঠন সংশোধন করা উচিত, যাতে এর প্রধান হিসেবে একজন বিচারক দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এবং অন্য দুজন সদস্য আইনজীবীদের মধ্য থেকে নিযুক্ত হন।

সুপারিশে বলা হয়েছে, আদালতে এজলাস কক্ষের পাশাপাশি, সেরেস্তা, নেজারতখানা, রেকর্ড রুম, নকলখানা এবং আদালতের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যথেষ্ট সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি সেগুলোর যথাযথ পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। এর ফলে নিরাপত্তা প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনজীবী এবং অন্যদের অসদাচরণের অভিযোগের তদন্ত সুষ্ঠু ও কার্যকর হবে। আইনজীবীর ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং একটি লিখিত চুক্তি থাকা আবশ্যক। এই চুক্তি অনুযায়ী প্রতিবার ফি পরিশোধের পর আইনজীবীর মক্কেলকে একটি রসিদ প্রদান করবেন। ওই রসিদে ফি পরিশোধের তারিখ, পরিশোধিত ফির পরিমাণ, কোন মামলার জন্য ফি পরিশোধ করা হয়েছে তার বিবরণ এবং আইনজীবীর স্বাক্ষর থাকতে হবে। আইনজীবীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বা হয়রানিমূলক অভিযোগ দায়েরের কারণে আইনজীবীর ব্যক্তিগত এবং পেশাগত ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে জরিমানার বিধান যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। আইনজীবী সমিতিগুলোকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। বিচারিক প্রক্রিয়াকে নিরপেক্ষ, স্বাধীন এবং গতিশীল রাখার জন্য আদালত প্রাঙ্গণে দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে।’

‘আইন শিক্ষা বোর্ড গঠন’: বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৮২টি আইন কলেজ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আইন স্নাতক (সম্মান) ও পাস ডিগ্রি প্রদান করছে। এই তিন ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত আইন শিক্ষার ক্ষেত্রে সমন্বয়হীন পাঠ্যসূচি, যোগ্য শিক্ষার্থী বাছাইসহ বেশ কিছু সমস্যাপূর্ণ ক্ষেত্র বিভিন্ন গবেষণায় চিহ্নিত হয়েছে। এ অবস্থায় আইন শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন দেখভালের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্থায়ী ও স্বতন্ত্র আইন শিক্ষা বোর্ড গঠনের সুপারিশ করে কমিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ওই বোর্ড আইন শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে। আইন শিক্ষা বোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আইন (সম্মান) বিভাগে ভর্তি এবং ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালা প্রণয়ন করে এক বা একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করবে। এ ছাড়া পাঠ্যসূচি আধুনিকায়ন, আইন শিক্ষার মাধ্যম এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে আইন শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

‘যা বলছেন আইনজীবীরা’: সংস্কার কমিশনের দেওয়া এসব সুপারিশের মধ্যে আইন শিক্ষা বোর্ড, আইন শিক্ষা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করাসহ কিছু সুপারিশ সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবীরা। তবে আদালতে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধসহ কিছু সুপারিশ নিয়ে আইনজীবীরা প্রশ্ন তুলেছেন। এসব সুপারিশ আদৌ বাস্তবায়ন হবে কি না, সেটা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা।

জানতে চাওয়া হলে আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, ‘আইনজীবী হবে কিন্তু রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকবে না, সংগঠন করার অধিকার থাকবে না—এটা কি হতে পারে? এগুলো তো একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। তবে রাজনীতির নামে অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত হওয়াটা কাম্য নয়।’

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আদালত রাজনীতিমুক্ত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এটার ব্যাপারে নতুন করে সুপারিশ করার কী হলো? আমরা তো আদালতে কোনো রাজনীতি করি না। এখানে সমিতির নির্বাচন হয় নিরপেক্ষভাবে। নির্বাচনে কোনো স্বীকৃত প্যানেল হয় না, দলীয় প্রতীক থাকে না। কিন্তু ব্যক্তির রাজনৈতিক স্বাধীনতা, চিন্তা-চেতনার স্বাধীনতা এগুলো তো বন্ধ করা যায় না। এগুলো মৌলিক অধিকার। তিনি বলেন, সুপারিশ করলেই হবে না। সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, বাস্তবে বাস্তবায়ন সম্ভব কি না, সেগুলোও দেখা উচিত। আমি মনে করি, এই সুপারিশ অসম্পূর্ণ। ব্যারিস্টার খোকন বলেন, বিচারক নিয়োগ কীভাবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা যায়, সে ব্যাপারে একটি কার্যকর আইন দরকার ছিল। সরকার সম্প্রতি উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের আইন করলেও সেটা ত্রুটিপূর্ণ রয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions