গিরগিটি সাংবাদিকতা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৬ দেখা হয়েছে

মাহমুদুর রহমান:- সেদিন আকস্মিকভাবে ইউটিউবে এক সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার শুনে ওপরের শিরোনামটি মাথায় এলো। এটিএন বাংলার সাবেক নির্বাহী সম্পাদক জ. ই. মামুন সাক্ষাৎকারটি দিচ্ছিলেন। তার অতীত কর্মকাণ্ড যেহেতু আমার জানা আছে, তাই আওয়ামী লীগের প্রতি জ. ই. মামুনের সহানুভূতিতে মোটেও আশ্চর্য হইনি; কিন্তু রীতিমতো বিষম খেলাম বিএনপির প্রতি তার ভীষণ মায়ায়।

রাষ্ট্রপতি জিয়ার পর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ক্যারিশমাটিক রাজনীতিবিদ, যিনি দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে কোনো নির্বাচনে হারেননি—সেই বেগম খালেদা জিয়াকে ২০১০ সালের নভেম্বরে ক্যান্টনমেন্টের বৈধ বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার সময় তার চরিত্রহননের জন্য ডিজিএফআই’র সহায়তায় জ. ই. মামুন, শ্যামল দত্ত ও কর্নেল ওয়ালী নানারকম আপত্তিকর দ্রব্য ওই বাড়িতে রেখে এসেছিলেন। সেগুলো তারা ঘটা করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারও করেছিলেন। আমার দেশ পত্রিকার তৎকালীন সাংবাদিক বর্তমানে ইংল্যান্ডপ্রবাসী ব্যারিস্টার আমার স্নেহভাজন সহকর্মী মাহবুব সেই ন্যক্কারজনক ষড়যন্ত্রের চাক্ষুষ সাক্ষী। তো সেই জ. ই. মামুন এটিএনের চাকরি হারিয়ে এবার বললেন, বর্তমান সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ থেকেও নাকি অধিক চাপের মধ্যে আছে বিএনপি! অনেকটা ‘আওয়ামী লীগ-বিএনপি ভাই ভাই’ মার্কা বক্তব্য। এদিকে বিএনপির এক নেতাও সম্প্রতি বলেছেন, তার দলের প্রতি বৈরী আচরণের ক্ষেত্রে তিনি ইউনূস ও আওয়ামী লীগ সরকারের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছেন না। সত্যিই কি তাই? যে সরকারের বেশ কজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা ও শীর্ষ কর্মকর্তা বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ, সেই সরকার কিনা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের মতো আচরণ কর‍ছে, এমন অভিযোগ মেনে নেওয়া কঠিন।

১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলী ও সুমনের মতো দলটির যেসব নেতাকর্মী গুম হয়েছেন, কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তাদের স্মৃতিকে এসব বক্তব্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে অপমান করছেন বিএনপির উপরোক্ত নেতারা। জুলাই বিপ্লবের মহান শহীদ ওয়াসিমের ছবি ছাপা না হওয়ায় আমার দেশকে যে দলের সাইবার গ্রুপ বয়কটের দাবি তুলেছে, সেই দলের নেতারাই ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের দায়ের করা কয়েক লাখ মামলা, হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষের বছরের পর বছর জেলে আটকের স্মৃতি, স্যাডিস্ট বেনজির-হারুন-হাবিব-বিপ্লব গংয়ের অমানুষিক নির্যাতন এবং র‍্যাব-ডিজিএফআই’র আয়নাঘরের কথা কত সহজেই না ভুলে গেলেন।

আমার প্রায় পাঁচ বছরের জেলজীবনে ছাত্রদলের কত পঙ্গু ছেলেকে দেখেছি। কাসিমপুর জেলে দেখা এক সুদর্শন, পা-হারানো তরুণের কথা প্রায়ই মনে পড়ে, যাকে শেরেবাংলা নগর থানায় নিয়ে হাঁটুতে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেছিল হাসিনার খুনি পুলিশ। বিএনপির মহাসচিব তো ১৫ বছরে বহুবার প্রকাশ্যে কেঁদেছেন কর্মীদের ওপর অত্যাচারের বর্ণনা দিতে গিয়ে। দ্রুত নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ দেওয়ার উদ্দেশ্যে এমন ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য দলটির পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে যে, জনগণ আওয়ামী লীগের পলাতক সভানেত্রী ও অন্যান্য নেতা এবং দিল্লির বাংলাদেশবিরোধী বয়ানের সঙ্গে শহীদ জিয়ার দলের নেতাদের কথাবার্তার দুঃখজনক মিল খুঁজে পাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বয়ানেও বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দূরত্ব প্রায় মিটে গেছে বললেই চলে। এসব বিচিত্র কথা কি তারা বুঝে বলছেন, নাকি কোনো বিশেষ মহল বিশেষ উদ্দেশ্যে তাদের দিয়ে বলাচ্ছে, তা আমাদের জানা নেই। এতে করে জনমতের বিচারে দলের উপকার হচ্ছে কি না, সেটাও নীতিনির্ধারকরাই বিবেচনা করবেন।

আওয়ামী সাংবাদিকদের মধ্যে জ. ই. মামুন একাই সম্প্রতি বিএনপিপ্রেমে আপ্লুত হননি। আসলে ৫ আগস্ট হাসিনা দিল্লিতে পালিয়ে যাওয়ার পর প্রায় সব শাহবাগি সাংবাদিকই জাতীয়তাবাদী সেজেছেন। আর বিএনপিও অতীত ভুলে শাহবাগিদের কোলে তুলে নিয়েছে। ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশে ভারতপন্থি প্রথম আলো-ডেইলি স্টার গ্রুপ মিডিয়া জগতের সবচেয়ে ক্ষমতাধর জায়গাটি দখল করে আছে। মাস খানেক আগে প্রথম আলো পত্রিকার সামনে হাতেগোনা মাত্র কয়েকজন তরুণ জিয়াফতের মাধ্যমে বিক্ষোভের আয়োজন করলে ইউনূস সরকারসহ দেশের সব প্রধান রাজনৈতিক দল ভাগ্যবান হাউসটির সমর্থনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বিএনপির মহাসচিব হাহাকার করে বলেছিলেন, এই বাংলাদেশ নাকি তিনি আগে কখনো দেখেননি। প্রথম আলোর দুঃখে অতি কাতরতায় তিনি হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন, আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, দিনকাল, চ্যানেল ওয়ান ও সংগ্রামের সঙ্গে ফ্যাসিস্ট জামানায় কী আচরণ করা হয়েছিল। হাসিনার সেই বাংলাদেশ কি তার কাছে আজকের বাংলাদেশের চেয়ে শ্রেয় ছিল?

ক্যানসার-আক্রান্ত রুহুল আমিন গাজীকে ভুয়া মামলায় মাসের পর মাস কারাগারে রেখে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল আওয়ামী বিচার বিভাগ এবং পুলিশ। প্রবীণ সম্পাদক আবুল আসাদকে তারই পত্রিকা অফিস থেকে অস্ত্রধারী আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দাড়ি ধরে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে গেলে পুলিশ উল্টো সম্পাদকের বিরুদ্ধেই ভুয়া মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন জেলে আটক রেখেছিল। দীর্ঘদিন আটক থাকার পর জামিন পেলেও তাকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পালিয়েই থাকতে হয়েছে। মৃত্যুপথযাত্রী স্ত্রীর পাশেও থাকতে পারেননি আসাদ ভাই। আবুল আসাদ ও রুহুল আমিন তথাকথিত সেক্যুলার ছিলেন না বলেই বোধহয় সেদিন এমন করে ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাহাকার করে ওঠেননি। বিএনপি যেভাবে সেক্যুলারিত্বের দিকে ধাবমান, তাতে করে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে দলটি সরকার গঠন করতে পারলে জ. ই. মামুন, শ্যামল দত্তরা সরকারে এবং বিএনপিপন্থি মিডিয়ার হর্তাকর্তা হয়ে বসলে আমি অন্তত মোটেই আশ্চর্য হব না। সেই পরিবর্তনের কিছু লক্ষণ বিএনপির সাইবার সেলের আমার দেশ-এর পুনঃপ্রকাশের প্রথম দিনেই বয়কটের প্রচারণার মধ্য দিয়েই দেখা গেছে। বয়কটকারীরা হয়তো ভুলে গেছেন যে, বাংলাদেশে ভারতের আদি দালাল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের জেলজুলুম, হত্যা প্রচেষ্টা ও নির্বাসনকে তোয়াক্কা করিনি। এখন দিল্লির নব্য দালালদের হুমকিতে কৌতুকবোধ করছি মাত্র। জাতি হিসেবে ডিমেনশিয়া রোগগ্রস্ত বাঙালি মুসলমানের স্মৃতিতে খানিকটা শান দেওয়া যাক।

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ২০০৮ সালের ২১ আগস্ট তার পত্রিকায় একুশে আগস্ট বোমা হামলা নিয়ে রচিত নিবন্ধে লিখেছিলেন, ‘বিগত সময়কালে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, জোট সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরকে সে সময় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা সম্পর্কে কোনো তদন্ত করতে নিষেধ করেছিলেন। তৎকালীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার পছন্দের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের দিয়ে ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যমূলক তদন্ত করতে বলেছিলেন।’

পাঠক ভেবে দেখুন, কোনো রকম তথ্যপ্রমাণ ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কী ভয়াবহ অভিযোগ!

একই ঘটনা নিয়ে প্রথম আলো গ্রুপের ডেইলি স্টারে জুলফিকার আলি মানিক ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ‘It was a Hawa Bhaban plot’ শিরোনামে রহস্য নাটকের পাণ্ডুলিপির মতো করে লিখেছিলেন: ‘State minister for home Lutfozzaman Babar, deputy minister Abdus Salam Pintu, prime minister’s political secretary Harris Chowdhury, a fugitive killer of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, a top Jamat leader, two Huji founders and one leader of AL Markajul Islami found no reason to disagree. In the presence of a top Hawa Bhaban bigwig, they chose to kill…

The blatant manipulation of the administration by the BNP government was nothing new, as its front-ranking leaders led by Tarique Rahman, Babar, and Aminul Haque made headlines by patronizing Jama’atul Mujahideen Bangladesh from 2004.’

বিশিষ্ট সুশীল ও সেক্যুলার পত্রিকাটির অতি পরিচিত ‘ইসলামি জঙ্গি’ তত্ত্ব এবং ২১ আগস্ট বোমা হামলার সঙ্গে তারেক রহমানকে জড়িয়েছিলেন ডেইলি স্টারের এই সাংবাদিক।

একই গ্রুপের গোলাম মোর্তোজা (বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় আওয়ামীবিরোধী ব্লগার এবং ইউনূস সরকারের ওয়াশিংটনে প্রেস মিনিস্টার) ২০০৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সাপ্তাহিক ২০০০-এর প্রচ্ছদ কাহিনিতে ‘ভারতীয় জুজুর ভয়’ শিরোনামে ভারতের সঙ্গে তার ভাষায় ‘আবেগের সম্পর্ক’র পক্ষে ওকালতি করে লিখেছিলেন, “বাংলাদেশের পক্ষে কি ধমক দিয়ে কোনো কাজ করানো সম্ভব? ভারত কি বাংলাদেশের ধমকে ভয় পাবে? যদি না পায় তাহলে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতকে কেন ধমক দিলেন? এখানেই আসে যোগ্য কূটনীতির প্রশ্ন। মাথা গরম করে আর যাই হোক কূটনীতি হয় না। ভারতের মতো সুপারপাওয়ারের কাছ থেকে নিজের সুবিধা আদায় করতে হয় কৌশলে, যুক্তি দিয়ে।”

ভারত এখন পর্যন্ত নিজেকে সুপারপাওয়ার দাবি না করলেও ভারতপ্রেমে আবেগাপ্লুত গোলাম মোর্তোজা ভারতকে সেই মর্যাদা ২০০৪ সালেই আগাম দিয়ে রেখেছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার অপশাসনকালে ভারতকে তো উজাড় করেই সবকিছু দিয়েছিলেন, তাই না? তিনি তো বিএনপি আমলের মাথা গরমের পরিবর্তে, সেই মাথা সর্বক্ষণ মোদির পায়েই ঘষেছেন। এত একতরফা ভালোবাসার বিনিময়ে বাংলাদেশ কী পেয়েছে তার ব্যাখ্যা বর্তমান সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তি গোলাম মোর্তোজাই ভালো দিতে পারবেন। ব্যক্তিগতভাবে লাভবান শেখ হাসিনা অবশ্য পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় পেয়েছেন।

২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর হাসিনার অধীনে নির্বাচনের পক্ষে ওকালতি করতে গিয়ে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম ‘বিএনপি কি তার কর্মী-সমর্থকদের প্রত্যাশার সম্মান রাখছে’ শিরোনামে লিখেছিলেন, “এবারও যদি বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে, তাহলে তা হবে বিএনপির দ্বিতীয় নির্বাচন বয়কট। এই অঞ্চলে তো বটেই, সম্ভবত কোনো গণতান্ত্রিক দেশেই কোনো রাজনৈতিক দল এক দশকের মধ্যে দুটি নির্বাচন বয়কট করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারেনি। এবারের নির্বাচন বয়কটও কি বিএনপির অস্তিত্ব সংকট সৃষ্টি করতে পারে?

বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে যে, নির্বাচনে জয়ের নিশ্চয়তা না পেলে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো কারণই নেই। আমাদের দৃষ্টিতে এমন চিন্তা একটি মারাত্মক ভুল। শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকার প্রয়োজনগুলো তাদের কাছে যৌক্তিক মনে হচ্ছে না। বিএনপি এটা বিবেচনা করছে না যে, তাদের নিজস্ব নীতি ও ভিশন প্রচারে শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে সংসদ এবং আগামীতে তারা সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে নিজেদের গ্রহণযোগ্য ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পারে।”

আপাতত বিরোধী দলে এবং কোনো এক ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ দেখিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে এনে হাসিনার ফ্যাসিবাদ আরও পাঁচ বছরের জন্য জায়েজ করতে চেয়েছিলেন মাহফুজ আনাম। বিএনপির একশ্রেণির নেতাদেরও নাকি এই ফরমুলায় যথেষ্ট সায় ছিল। কিন্তু দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব ২০১৮ সালের তিক্ত অভিজ্ঞতার পর এবার অন্তত হাসিনার অধীনে নির্বাচন বর্জনের প্রশ্নে অনড় থেকে জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

বাংলাদেশের জনগণ জানেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় হেজেমনির বিষয়ে আমার দেশ-এর পরিষ্কার অবস্থান রয়েছে। বিগত সরকারের ভয়াবহ জুলুম উপেক্ষা করে আমার সহকর্মীরা তাদের সাংবাদিকতার আদর্শ সমুন্নত রেখেছেন। গিরগিটি সাংবাদিকতা আমার দেশকে কখনো কলুষিত করতে পারেনি। আমরা আপসহীনভাবে সবটুকু ক্ষমতা দিয়ে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ২০১৪ সাল থেকেই হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার বিরুদ্ধে আমার অনড় অবস্থানে কখনো পরিবর্তন হয়নি। আমি বরং মনে করি, ২০১৮ সালের নির্বাচন বিএনপি বয়কট করলে ফ্যাসিবাদের পতন আগেও হতে পারত। সময়ের সঙ্গে সুযোগ বুঝে আমরা আদর্শ কিংবা চেহারা পরিবর্তন করতে জানি না। ক্ষমতায় যে বা যারা থাকুক অথবা আসুক না কেন, ইনশাআল্লাহ, সগৌরবে মাস্টহেডে স্বাধীনতার কথা বলা আমার দেশ-এর সম্পাদকীয় নীতি অপরিবর্তিতই থাকবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions