বাংলাদেশের সংবাদপত্র
ডেস্ক রির্পোট:- ‘গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল স্বীকার করলেন কামাল’ মানবজমিনের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, মুখ খুললেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বীকার করলেন গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথা। কেন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন আর ভবিষ্যতে কী করা উচিত সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানালেন নিজের মতামত।
আওয়ামী লীগ আমলের এই দাপুটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৭ই আগস্ট বাড়ি ছাড়েন তিনি। ধারণা করা হয়, বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানকার সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইচ্ছাকৃত হোক বা অন্যভাবেই হোক গোয়েন্দাদের বিশাল ব্যর্থতা ছিল। সেনাবাহিনীর বিশেষ একটি গোয়েন্দা ইউনিট রয়েছে, ডিজিএফআই (ডিরেক্টর জেনারেল ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স)। তারা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাও সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে। এমনকি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে। গোয়েন্দাদের রিপোর্টের সারসংক্ষেপটাই শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আসে।
সাক্ষাৎকারে আসাদুজ্জামান খান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি; তবে তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হয়। সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে, তিনি দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
‘মাঠের সব নিয়ন্ত্রণ চান ডিসিরা’ এটি কালের কন্ঠের শিরোনাম। খবরটিতে বলা হচ্ছে, আসন্ন জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তিন শতাধিক প্রস্তাব বাস্তবায়নের সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব ও সুপারিশ পাঠানো হয় বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এসব প্রস্তাবের মধ্যে নিজেদের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের ডিসি সম্মেলন শুরু হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ওই দিন তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে যুক্ত থাকবেন। বিকেলে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অধিবেশনগুলো শুরু হবে।
মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। তাঁরাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মাঠ নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।
যুগান্তর
যুগান্তরের শিরোনাম ‘তিন ইস্যুতে সন্দেহ বাড়ছে বিএনপিতে’। খবরে বলা হচ্ছে, ‘অপ্রয়োজনীয়’ সংস্কার প্রস্তাব, গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ও নতুন দল গঠন-এই তিন ইস্যুতে সন্দেহ বাড়ছে বিএনপিতে।
সম্প্রতি সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য এবং সরকারের এক উপদেষ্টার পালটা বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়েছে। বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্যের পেছনেও তিনটি ইস্যুর প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছেন নেতারা।
দলটির ভাষ্য, যে কোনো নতুন দল এলে নেতারা স্বাগত জানাবেন। কিন্তু সরকারের ‘আনুকূল্যে’ কোনো দল গঠন হলে তাতে আপত্তি থাকবে। এসবের পেছনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রলম্বিত করার যোগসূত্রও থাকতে পারে বলে তারা ভাবছেন।
এ ছাড়া ইস্যুগুলো যারা সামনে আনার চেষ্টা করছেন বিএনপির সন্দেহ মূলত তাদের ঘিরে। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ এবং নতুন দল গঠনের বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে ব্যাখ্যা চাইবে বিএনপি।
পাশাপাশি সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্রুত সংলাপের ওপরও জোর দিচ্ছেন দলের নেতারা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
দেশ রূপান্তরের শিরোনাম ‘স্বৈরাচারবিরোধী ঐক্যে ছন্দপতন’। খবরে বলা হচ্ছে, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গত ১৬ জানুয়ারির সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের সময় দেশবাসী যে ঐক্য দেখিয়েছিল, এই অন্তর্বর্তী সরকার তারই ফলাফল।
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের বলেছিলেন আপনাদের দেখে আমার ভালো লাগছে এই ভেবে, আমরা এক আছি। এই সরকারের জন্ম ঐক্যের মাধ্যমে এবং ঐক্যই আমাদের শক্তি।
প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যের এক সপ্তাহ না যেতেই রাজনৈতিক দল ও উপদেষ্টা সমন্বয়কদের বিভিন্ন বক্তব্যে অনৈক্যের সুর বাজছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন সংস্কারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে ঐক্যে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় কি না। ঐক্যে চিড় ধরলে বিগত ফ্যাসিবাদীদের রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হওয়ার পথ তৈরি হতে পারে।
প্রথম আলো
‘প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাব’। প্রথম আলোর শিরোনাম এটি। খবরে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা কমিয়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন সুপারিশ দিয়েছে। ক্ষমতার ভারসাম্য আনার লক্ষ্যে বিএনপিসহ সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলো এবং অংশীজনদের কোনো দ্বিমত নেই।
তবে কীভাবে সেই ক্ষমতার ভারসাম্য আনা যাবে, সে ব্যাপারে এখনো আলোচনা শুরু হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সংলাপ করতে চাইছে, সেখানে আলোচনা করে উপায় বের করার চেষ্টা করা হবে।
সমকাল
‘দাগি অপরাধীরা প্রকাশ্যে এসেই খুনোখুনিতে’ সমকালের শিরোনাম। খবরটিতে বলা হচ্ছে, রাজধানীর পল্লবীর টেকেরবাড়িতে গেল সোমবার দিনদুপুরে ১০-১২ দুর্বৃত্ত মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু নামে এক যুবককে চাপাতি ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। বাবুর স্বজন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, এই হত্যায় কলকাঠি নাড়েন দাগি সন্ত্রাসী মুসা শিকদার ওরফে সুমন শিকদার।
এ ঘটনায় মুসাকে প্রধান আসামি করে পল্লবী থানায় মামলাও করেন বাবুর স্ত্রী। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্রসহ ১১টি মামলা রয়েছে।
২০২২ সালে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে আসেন মুসা। এর পর সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে ফের দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অপরাধ জগৎ।
মুসার মতো অনেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে এসেই ফের জড়াচ্ছেন অপরাধে। এতে বাড়ছে খুনোখুনি। চাঁদা ও ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘাত ছাড়াও এক পক্ষ অন্য পক্ষের ওপর হামলা করছে।
স্থানীয়রা বলছেন, অন্তর্কোন্দলের ঘটনায় বাবুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বাবুর বিরুদ্ধেও দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে।
আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকার শিরোনাম ‘সংকট বাড়াচ্ছে অসাধু চক্র’। এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে পহেলা জানুয়ারি। অথচ এখনো সব বই হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক স্তরের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী পাঠ্যবই হাতে পেলেও মাধ্যমিকের অবস্থা নাজুক।
মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দু-তিনটি করে পাঠ্যবই হাতে পেয়েছে, বাকিগুলো আসেনি। এমন সংকটের মধ্যেও বই চলে যাচ্ছে কালো বাজারে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর নীলক্ষেতের বই বাজারে গিয়ে মিলেছে পাঠ্যবই। এ বই অবশ্য দুই ধরনের। একটি পিডিএফ থেকে প্রিন্ট করা পাঠ্যবই, অন্যটি ছাপানো পাঠ্যবই।
পরিচয় গোপন করে এক সেট পাঠ্যবই চাইলে এক দোকানদার আগে দাম নির্ধারণের কথা বলেন। বই দেখতে চাইলে বলেন, আগে দাম ঠিক করুন, পরে ‘ভেতর’ থেকে এনে দেব। দাম কেমন এমন– প্রশ্নে তিনি বলেন, পিডিএফ সেট ২ হাজার ৫০০ আর ছাপানো বই ৪ হাজার টাকা।
নীলক্ষেতে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আসিফ মাহমুদের সঙ্গে। তিনি জানান, সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের জন্য পাঠ্যবই কিনতে এসেছেন। অনেক দরদাম শেষে ৩,৮০০ টাকায় এক সেট ছাপানো বই কিনেছেন তিনি।
বিনা মূল্যের পাঠ্যবই লাইব্রেরিতে বিক্রির অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন এনসিটিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় প্রায়ই বিভিন্ন লাইব্রেরি ও বইয়ের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার সেট বই জব্দ করা হয়েছে।
দৈনিক মানবজমিন
‘মানব পাচার সিন্ডিকেট সব সরকারের আমলেই রেহাই পেয়ে যায়’ বণিক বার্তার শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, বৈশ্বিক অভিবাসীর উৎস তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। কর্মসংস্থানের জন্য প্রতি বছর বিদেশ পাড়ি দিচ্ছেন গড়ে অন্তত ১০ লাখ মানুষ। উন্নততর কর্মসংস্থান ও জীবিকার খোঁজে বিদেশ পাড়ি দিতে আগ্রহীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
এ সুযোগের ফায়দা নিতে গড়ে উঠেছে সক্রিয় সিন্ডিকেট। দালাল চক্রকে কাজে লাগিয়ে সংঘটিত হচ্ছে অবৈধ পথে কর্মী পাঠানো, মানব পাচারের মতো অপরাধ। অনেক ক্ষেত্রে এসব অপরাধ ঘটছে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে।
পাচার হওয়া কর্মীরা বিদেশে গিয়ে শ্রমশোষণ, নির্যাতন এমনকি অপহরণ ও হত্যারও শিকার হচ্ছেন। এতে বিপত্তিতে পড়ছে বাংলাদেশের শ্রমশক্তি রফতানি খাত।
মানব পাচার ও অবৈধ অভিবাসন রোধে প্রায়ই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধের ঘোষণা দিচ্ছে জনশক্তি আমদানিকারক দেশগুলো।
মানব পাচারের অভিযোগে সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবের বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা দেয়া বন্ধ করারও নজির রয়েছে। ২০১৭ সালে একইভাবে ভিসা বন্ধের ঘোষণা দেয় বাহরাইন।
বারবার অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচারের অভিযোগে এসব দেশে নিয়মিতভাবেই বৈধ ভিসা নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদেরও হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে। কোনো কোনো দেশে বিমানবন্দরে কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহার ও হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়।
দ্য ডেইলি স্টার
ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের শিরোনাম ‘Govt set to repurpose $670m loans’. খবরে বলা হচ্ছে, বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া ৬৭০ মিলিয়ন বা ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকার ঋণ নতুন করে বন্টন করছে সরকার। ধীরগতির অর্থনীতিতে গতি আনতে বাজেট সহায়তা হিসেবে বিভিন্ন খাতে এসব অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে।
ঋণের অর্থের মধ্যে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারই ব্যয় করা হবে বাজেট-সংক্রান্ত খাতে। আর বাকি অর্থ নতুন প্রকল্পের পেছনে ব্যয় করা হবে। এজন্য সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংকের কাছে নতুন পরিকল্পনা জমা দিয়েছে।
নিউ এজের শিরোনাম ‘4 SoEs count Tk 28,238cr in loses in 28 years’. খবরে বলা হচ্ছে, গত ২৮ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ব চারটি সংস্থায় ২৮ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এ সময় লোকসানের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ব অন্তত ৩৭টি কলকারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগ ৩১টি কারখানা বন্ধ করা হয়। মধ্যে ২৫টি বাংলাদেশ পাটকল কর্তৃপক্ষের ও বাকি ছয়টি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের কারখানা। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এসব কারখানায় অব্যাহত লোকসানের হিসবা রাখতে অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যর্থ হয়েছে।
‘মহিলাবিষয়ক অধিদফতরে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি’ নয়াদিগন্তের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, মহিলাবিষয়ক অধিদফতরে শত শত কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। গ্রামীণ মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে দেয়া ঋণ অনাদায় ও লোপাট করা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০০৫-২০০৬ সালে মেয়াদ শেষ হওয়া বিভিন্ন প্রজেক্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বহু জনবলকে বিধিবহির্ভূতভাবে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে প্রজেক্টের জনবলকে রাজস্বভুক্ত করার পর তাদেরকে দফতরে চাকরিরত না থাকাকালীন সময়ের সব বেতন ভাতাদি প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে ২০০১ সালে পিএসসির মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ পাওয়া উপজেলা মহিলাবিষয়ক অফিসারগণের ওপরে প্রজেক্ট থেকে রাজস্ব খাতে আনা ২৫ কর্মকর্তাকে জ্যেষ্ঠ করে একটি সমন্বিত জ্যেষ্ঠতার তালিকা প্রণয়ন করে তাদেরকে পদোন্নতির পাঁয়তারা চলছে। এতে শত শত অফিসার ও কর্মচারী চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।