ডেস্ক রিপোট:- সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান কার্যালয়ে ডেকে তার বক্তব্য নেওয়া হয়।
টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ও পিবিআই প্রধান মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।
সাগর–রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এজন্য সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া আরো অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এ মামলায়।
এরই ধারাবাহিকতায় ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বক্তব্য নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর তিনি এ নিয়ে অনেক বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিক নেতা ছিলেন। ঘটনাটির ব্যাপারে তার কাছে এমন কোনো তথ্য থাকতে পারে, যা তদন্তে সহায়ক হবে।
এ কারণেই তার বক্তব্য নিয়েছেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা। এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পিবিআই প্রধান বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই আমরা একটি ঘোষণা দেব যে, সাগর–রুনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে তিনি যেন আমাদের জানান। এজন্য ফোন নম্বর দেওয়া থাকবে।
যে কেউ পরিচয় প্রকাশ করে বা গোপন রেখে তথ্য দিতে পারবেন। এর মাধ্যমে অজানা তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।
পিবিআই সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে সোমবার সকালে পিবিআই কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে এরপর প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে তার বক্তব্য নেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর সাগর–রুনি হত্যা মামলার তদন্তে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ছয় মাসের মধ্যে টাস্কফোর্সকে তদন্ত শেষ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। এতে টাস্কফোর্সে পিবিআই প্রধান ছাড়াও রয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একজন করে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক এবং র্যাব থেকে পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা।
এর আগে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন সাগর–রুনি। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক এবং রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন। ওই ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। থানা পুলিশের পর মামলার তদন্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তবে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল ডিবি ব্যর্থতা স্বীকার করলে আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। সর্বশেষ গত বছরের ৪ নভেম্বর মামলা পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়।