ডেস্ক রির্পোচ:- নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের উদ্দেশে মাঠ গোছাচ্ছেন তরুণরা। তারুণ্যনির্ভর একটি রাজনৈতিক শক্তি গঠনের লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে জাতীয় নাগরিক কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভিন্ন কোনো নাম নিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চান জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা।
জাতীয় নাগরিক কমিটি সূত্রে জানা যায়, থানা, উপজেলা ও পেশাজীবী মিলিয়ে সারা দেশে মোট ১২০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৩৬ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। গত শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠনের কথা জানান আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সদস্যদের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি করা হয়েছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে রয়েছেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আলাউদ্দীন মোহাম্মদ, ডা. তাজনূভা জাবীন, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মুহাম্মদ হাসান আলী, অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান, ডা. মো. আবদুল আহাদ, জাবেদ রাসিন, অলীক মৃ, ডা. মাহমুদা আলম মিতু, মো. আতাউল্লাহ, সারোয়ার তুষার, অনিক রায়, মাজহারুল ইসলাম ফকির, মাহবুব আলম (মাহির), নাহিদা সারোয়ার চৌধুরী, এস এম শাহরিয়ার, মশিউর রহমান, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, আলী আহসান জুনায়েদ, ডা. তাসনিম জারা, মনিরা শারমিন, আবদুল্লাহ আল আমিন, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, ড. আতিক মুজাহিদ, মো. নিজাম উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, রাফে সালমান রিফাত, মুশফিক উস সালেহীন, আরেফিন মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ, সালেহ উদ্দিন সিফাত, আশরাফ উদ্দিন মাহদি ও আকরাম হুসাইন সিএফ।
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সংখ্যা এখন ১৪৭ জন। এর মধ্যে আটজন যুগ্ম আহ্বায়ক, আটজন যুগ্ম সদস্যসচিব, পাঁচজন সহ-মুখপাত্র, চারজন যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এবং ১৪ জন সংগঠক। এই ৩৯ জন ছাড়াও বাকি ১০৮ জন জাতীয় নাগরিক কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন। এই দুই অংশ থেকে ৩৬ জনকে নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নবগঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সহ-মুখপাত্র মুশফিক উস সালেহীন বলেন, অল্প সময়ে গণ অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। আমাদের লক্ষ্য ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা। এ প্রচেষ্টা সফল হওয়ার বিষয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী।
এদিকে গত শুক্রবার রাজধানীতে ‘ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন’ শীর্ষক এক জাতীয় সংলাপে অংশ নেন আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির বদলে আমরা বাংলাদেশে আদর্শভিত্তিক রাজনীতির চর্চা দেখতে চাই। আগামীর বাংলাদেশের রাজনীতির চাকা জনগণের আকাক্সক্ষাকে কেন্দ্র করে ঘুরবে। এককভাবে কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের কাছে নয়, আমরা চাই রাজনৈতিক দলগুলো দায়বদ্ধ থাকবে জনগণের কাছে।