ডেস্ক রির্পোট:-
ইত্তেফাক
‘আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে ১৩০ আসনের সীমানা বদল!’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিশেষ সুবিধা দিতে সারা দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৩০টি আসনে ব্যাপক রদবদল এনেছিল বিগত এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন। বিগত সেনা সমর্থিত ঐ কমিশন বেছে বেছে বিএনপির আসনগুলো পুনর্বিন্যাস করে। সেই সময়ে ঢাকায় আওয়ামী লীগকে বাড়তি সুবিধা দিতে কুমিল্লাসহ ১২টি জেলার সাড়ে ১০টি সংসদীয় আসন কর্তন করেছিল কমিশন।
ঢাকা জেলায় ১৩টি থেকে সংসদীয় আসন করা হয় ২০টি। যে ১২টি জেলা থেকে আসন কর্তন করা তার মধ্যে ১০টি জেলায় ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির দখলে ছিল। একটি জামায়াতের আর অন্যটি ছিল আওয়ামী লীগের। এ টি এম শামসুল হুদার আমলে আসন অবিকল বহাল রেখে টুকটাক আসন বিন্যাস করে দায়িত্ব শেষ করে গেছে বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। নতুন কমিশন গঠনের পর বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ২০০৮ সালের আগের সীমানা ফেরত দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবগঠিত এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য বেশকিছু আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনগুলো সংশ্লিষ্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। কমিটি যাচাইবাছাই করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সীমানা পুনর্নির্ধারণে আওয়ামী লীগকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কারণে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ২৩০টি আসন নিয়ে জয়লাভ করে। সামান্য ব্যবধানে বেশির ভাগ আসনে বিএনপির প্রার্থীদের কাছ থেকে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাতের ভোট এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতায় ছিল ছাত্র-জনতায় গণবিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা একাধিক বার বলেছিলেন, ঢাকা মহানগরীতে সংসদীয় আসন সীমিত রেখে অন্যান্য জেলায় আসন পুনর্বিন্যাস করতে হবে। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী জনসংখ্যা নয়, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনায় আনতে হবে।
২০০১ সালের নির্ধারিত সীমানায় ফিরে গেলে ভালো হয়। ২০০৮ সালে প্রশাসনিক ইউনিটগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো করা হয়। সীমানা পুনর্নির্ধারনের ওপর এক জন প্রার্থীর জয়-পরাজয়ও নির্ভর করে। ফলে এক্ষেত্রে কোনোভাবে অনিয়ম ও পক্ষপাত গ্রহণযোগ্য নয়। কারোর দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে সংবিধানের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করা উচিত।
প্রথম আলো
‘বসুন্ধরার মালিকদের বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দের আদেশ-এটি দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ তাঁর পরিবারের আট সদস্যের বিদেশে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গত ২১ নভেম্বর এ আদেশ দেন।
সম্পদ জব্দের আদেশের তালিকায় নাম থাকা অন্যরা হলেন আহমেদ আকবর সোবহানের স্ত্রী আফরোজা বেগম, তাঁদের তিন ছেলে সায়েম সোবহান আনভীর, সাফিয়াত সোবহান ও সাফওয়ান সোবহান এবং তিন পুত্রবধূ সাবরিনা সোবহান, সোনিয়া ফেরদৌসী সোবহান ও ইয়াশা সোবহান। দুদক আদালতকে এই আটজনের প্রায় ১৪৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ, সম্পদ কেনা ও ব্যাংকে লেনদেনের তথ্য জানিয়েছে। এর বাইরে বিদেশে সম্পদ কেনা, বিনিয়োগ ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেওয়া হয়েছে, যেগুলোর টাকার পরিমাণ দুদকের প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই।
দুদক বলছে, আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের কেউ বিদেশে টাকা পাঠাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেননি।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ তাঁর পরিবারের আট সদস্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে বিদেশে তাঁদের নামে যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে, তার তালিকা আদালতের কাছে তুলে ধরে তা জব্দ ও অবরুদ্ধ করার আবেদন করা হয়। আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
মীর আহমেদ আলী সালাম আরও বলেন, বিদেশে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট দেশের সংস্থাকে আদালতের আদেশ দেখাতে হয়। ঢাকার আদালতের এ আদেশ পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে সহায়তা করবে।
আদালত আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের আটজনের সম্পদ জব্দের আদেশের অনুলিপি সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, স্লোভাকিয়া, সাইপ্রাস, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ও ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে পাঠাতে বলেছেন। পাশাপাশি একই অনুলিপি দিতে বলেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুদক ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ)।
আদালতে জমা দেওয়া দুদকের আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানে জানা গেছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁদের মালিকানাধীন কোম্পানির নামে বিপুল পরিমাণে ব্যাংকঋণ নিয়েছেন। সেই ঋণের একাংশ বিদেশে পাচার করে সেখানে সম্পত্তি কেনা হয়েছে এবং বিনিয়োগ করা হয়েছে।
দুদক বলেছে, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর ৩০ লাখ ইউরো (বর্তমান মূল্যে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করে স্লোভাকিয়ার নাগরিকত্ব নেন। তাঁর স্ত্রী ইয়াশা সোবহান ২০ লাখ ইউরোর (২৫ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করে নাগরিকত্ব নেন সাইপ্রাসের। আহমেদ আকবর সোবহান ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা বেগম আড়াই লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় তিন কোটি টাকা) বিনিয়োগ করে নাগরিকত্ব নেন ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসে।
যুগান্তর
টাস্কফোর্সের জালে ‘রুই-কাতলা’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৫ বছরে বিদেশে পাচার হওয়া মোটা অঙ্কের অর্থ দেশে ফেরত আনতে কাজ করছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্সে আছেন ১১টি সংস্থার প্রতিনিধি। বিদেশি বিশেষজ্ঞরা তাদের সহায়তা দিচ্ছেন। প্রথম ধাপেই টাস্কফোর্স জালে তুলেছে বেশকিছু ‘রুই-কাতলা’। এক ডজন নামকরা শিল্প গ্রুপ ও সাবেক একজন মন্ত্রীর অর্থ পাচারের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।
যদিও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা ১৫ বছরের শাসনামলে সব মিলিয়ে কত টাকা পাচার হয়েছে, এর সুনির্দিষ্ট হিসাব নেই সরকারি কোনো সংস্থায়। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
তবে সম্প্রতি দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক সেমিনারে তথ্য তুলে ধরে বলেছেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে। এ হিসাবে ১৫ বছরে পাচার হয়েছে ২২৫ বিলিয়ন ডলার; অর্থাৎ ২৭ লাখ কোটি টাকা। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, শুধু ব্যাংক খাত থেকে গত ১৫ বছরে ১৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার; অর্থাৎ ২ লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। হাসিনার ঘনিষ্ঠ ধনকুবেররা এ পাচারকাণ্ডে জড়িত। এছাড়া দেশের অর্থনীতির ওপর শ্বেতপত্র তৈরির জন্য গঠিত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৫ বছরে পাচার হয়েছে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ২৮ লাখ কোটি টাকা। রোববার প্রতিবেদনটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
জানা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ২৯ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনা ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স গঠন করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে সভাপতি করে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব হলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) একজন প্রতিনিধি। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, কাস্টম গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, এনবিআর-এর সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স সেলের (সিআইসি) একজন করে প্রতিনিধি টাস্কফোর্সের সদস্য হিসাবে কাজ করছেন।
কালের কণ্ঠ
‘কূটনীতিকদের বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টায় সরকার’-এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে নানা অপপ্রচারে ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছিল। গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে পরিস্থিতি তুলে ধরে সেই বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। কূটনীতিক ব্রিফিং শেষে তিনি নিজেই কূটনীতিকদের বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টায় সরকারসাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ড বরদাশত করবে না।
এদিকে বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তি সেনা পাঠানোর আরজি জানাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ওই মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে ‘মমতা ব্যানার্জি ধরনের’ হিসেবে দেখতে চাই।” তিনি আরো বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এমন বক্তব্য দিলেন, আমরা জানি না। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তার রাজনীতির জন্য বিষয়টি ঠিক হয়নি।
পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে আমরা স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখতে চাই।’ ঢাকায় গতকাল বিকেলে কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে চীন, জাপান, পাকিস্তানসহ বেশ কিছু কূটনৈতিক মিশনের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। তবে উপস্থিত ছিলেন না ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ব্রিফিংয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি ছিলেন।
সমকাল
বাংলাদেশ-ভারত টানাপোড়েন নিয়ে দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম ‘ত্রিপুরায় হাইকমিশনে হামলা, নিন্দা প্রতিবাদের ঝড়’। খবরে বলা হয়, ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় গতকাল সোমবার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে নজিরবিহীন হামলা হয়েছে। ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’র ব্যানারে কয়েকশ ব্যক্তি ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। হাইকমিশনের সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছে। গতকাল সীমান্তের বিভিন্ন স্থলবন্দর এলাকায় বিশৃঙ্খলা করেছে ভারতীয় বিক্ষোভকারীরা। আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করেছে, পুড়িয়েছে বাংলাদেশি পণ্য।
সহকারী হাইকমিশনে হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। রাতেই বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এ হামলাকে দুঃখজনক আখ্যা দিলেও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেনি ভারত।
সহকারী হাইকমিশন বাংলাদেশের সার্বভৌম সম্পদ; ভিয়েনা সনদ অনুযায়ী ভারত নিরাপত্তা দিতে বাধ্য। দক্ষিণ এশিয়ায় পাঁচ দশকের মধ্যে কোনো দেশের কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলার ঘটনা এটিই প্রথম। ভারতে হামলা হলেও বাংলাদেশে ভারতীয় কূটনৈতিক স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। খুলনায় বিক্ষোভের খবর পেয়েই ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
এদিকে গতকাল পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েনের দাবি জানান। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, বিএনপি মহাসচিবসহ রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাঁর এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করে খণ্ডন করেছেন। সরকার, বিএনপি-জামায়াতসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল, অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্ব হামলার প্রতিবাদ জানালেও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। মমতার বক্তব্যকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নয়া দিগন্ত
‘তাঁবেদার রেজিম উৎখাতে ভারতের নীতিনির্ধারকরা এখন বেসামাল’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘের শান্তিবাহিনী পাঠানোর যে প্রস্তাব করেছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি বলেছে, ভারতের তাঁবেদার রেজিম উৎখাতের ফলে অনৈতিক স্বার্থ হাসিলে ছেদ পড়ায় সেখানকার রাজনীতিবিদ ও নীতি-নির্ধারকরা এখন বেসামাল হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশের জনগণ পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বিস্মিত ও হতভম্ব হয়েছে। এ দেশের মানুষ তাকে একজন সেক্যুলার ও উদার দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ হিসেবেই জানতো। কিন্তু এই বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী ও মমতা ব্যানার্জির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১৮ কোটি মানুষের দেশ। এই দেশ কিভাবে চলবে সেটি এ দেশের জনগণ নির্ধারণ করবে। কোনো দেশের গভীর চক্রান্তের নীলনকশা কখনোই এখানে বাস্তবায়ন হবে না।
রিজভী বলেন, ভারতের অধিকাংশ রাজনীতিবিদই বাংলাদেশের মানুষের স্বাজ্যাত্যবোধ ও নাগরিক স্বাধীনতাকে মান্য করে না। সেই কাতারে মমতা ব্যানার্জিও তার অবস্থান পরিষ্কার করলেন। এরা নিজ দেশের অন্যায় দেখেও না দেখার ভান করে। গুজরাটের হাজার হাজার মুসলিম হত্যার সেই ট্র্যাজেডি আজও বিশ্ববাসী বিস্মৃত হয়নি। কাঁটা তারের বেড়ার ওপর ফেলানীর ঝুলন্ত লাশ এরা কি ভুলে গেছেন? ভারতের কেন্দ্রীয় সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে একই কোরাসে অংশগ্রহণ করে মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশের স্বাধীন মর্যাদাকে অগ্রাহ্য করেছেন।
তিনি বলেন, পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে মনে হচ্ছে শেখ হাসিনার লুটেরা, খুনি, গুম ও নির্যাতনকারীদের পতন হওয়াতে তারা বিষণœ বেদনায় মুষড়ে পড়েছেন। হত্যা, গুম, খুন, গণহত্যা, নির্যাতন, নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস করে দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশটাকে ধ্বংসের শেষপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দুরাচারী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। এখন শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের জন্য ভারতের চেষ্টার অন্ত নেই। এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করে পাচার হওয়া লাখ লাখ কোটি টাকার একটি বিরাট অংশ বাংলাদেশ থেকে নিয়ে বিদ্বেষ পোষণকারী ভারতের রাজনীতিবিদদের পেছনে খরচ করা হচ্ছে। তা না হলে এখন এভাবে একযোগে বাংলাদেশবিরোধী জিগির তুলছে কেন ভারতের নীতিনির্ধারকরা।
বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘বিশেষ আইন বাতিল হয়েছে, বৈধতা পেয়েছে হাসিনা আমলের সব চুক্তি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ বাতিল করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সই করা অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে গত ২৮ নভেম্বর। অধ্যাদেশে বিতর্কিত আইনটি বাতিলের ঘোষণা দেয়া হলেও এর আওতায় চলমান প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম চালু থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বৈধ বলে গণ্য করা হবে এ আইনের আওতায় করা চুক্তিগুলোকেও। তবে অধ্যাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিতর্কিত এ বিশেষ আইনের অধীনে করা চুক্তিগুলো জনস্বার্থে পর্যালোচনা ও এ-সংক্রান্ত পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশটি জারির পর থেকেই বিতর্কিত এ বিশেষ আইনের আওতায় করা চুক্তি ও প্রকল্পগুলোকে বৈধতা দেয়া এবং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এ অধ্যাদেশে বিগত সরকারের দায়মুক্তি আইন বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়েছে ঠিকই কিন্তু এর আওতায় করা বিতর্কিত চুক্তি ও প্রকল্পগুলোকে দায়মুক্তির বড় সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়েছে। বৈধতা দেয়া হয়েছে আইনটির আড়ালে সংঘটিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ব্যাপক দুর্নীতি ও লুণ্ঠনকে।
বিশেষ আইন বাতিলের ঘোষণা দিয়ে জারি করা অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ। ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ রহিতকরণকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশ’ শীর্ষক অধ্যাদেশের দুই নম্বর ধারার অনুচ্ছেদ-২-এর দফা ক-তে উল্লেখ করা রয়েছে, এ আইন রহিত করা হলেও আইনটির আওতায় এর আগে সম্পাদিত চুক্তি বা সম্পাদিত চুক্তির অধীনে গৃহীত ব্যবস্থাগুলো বৈধভাবে সম্পাদিত বা গৃহীত হয়েছে গণ্য করা হবে। দফা খ-তে বলা হয়েছে, আইনটির আওতায় সম্পাদিত চুক্তির অধীনে চলমান কোনো কার্যক্রম এমনভাবে অব্যাহত থাকবে বা নিষ্পন্ন করতে হবে যাতে প্রতীয়মান হয় যে এ আইন রহিত করা হয়নি।
আজকের পত্রিকা
‘সীমান্তের দুই পারে উত্তেজনা’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অস্থিরতা চলছে দেশে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ঘটনায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে প্রতিবেশী ভারত। এ নিয়ে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কেও চাপা অস্থিরতা চলছে। আর এই অস্থিরতা ও সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাকে পুঁজি করে সীমান্তের ওপারে সক্রিয় হয়েছে ভারতের উগ্রপন্থী বিভিন্ন রাজনৈতিক চক্র। প্রায় প্রতিদিনই কলকাতা, আগরতলা, গুয়াহাটি, মুম্বাইসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোর সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে এসব সংগঠন। ঘটনা কেবল বিক্ষোভেই সীমিত থাকছে না; আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলাও হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের অযাচিত জড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষও। ঢাকায় রাস্তায় ভারতীয় পতাকা এঁকে তাতে পদাঘাত করে পতাকার অবমাননা করা হয়েছে, এমন অভিযোগ দেশটির কূটনীতিকদের।
সরকার মনে করছে, সাম্প্রদায়িক বিষয়সহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট উত্তেজনা দুই দেশের সীমানার ভেতরেই সীমিত রাখা হয়েছে এমন নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও তার বিস্তার ঘটছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল সোমবার বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে বৈশ্বিক একটি প্রচারণা চালানো হচ্ছে। একটি বিশেষ গোষ্ঠীর দ্বারা এই প্রচারণা চলছে। তবে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও স্বাভাবিক সম্পর্ক দেখতে চায়। রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কারণে দুই দেশে উত্তেজনা বাড়ানো হচ্ছে। এমন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই দুই দেশের সরকারের মধ্যে যোগাযোগ হওয়া দরকার। নিয়মিত বসা দরকার।
ভারতে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার আহমেদ তারিক করিম মনে করেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কে ওঠানামা থাকে। তার অর্থ এটা নয়, সেটা মিশনে হামলা পর্যন্ত গড়াবে। জাতীয় পতাকার অবমাননা করতে হবে।
তারিক করিম ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দিল্লিতে হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। আজকের পত্রিকাকে গতকাল তিনি বলেন, ‘উত্তেজনা বাড়লে সেটা ওদের জন্য ভালো নয়; আমাদের জন্যও নয়। দুই সরকারের পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো দরকার। কথা বলা দরকার।’
দেশ রূপান্তর
‘দুর্নীতির শীর্ষে আমলা তারপর নেতা’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের অর্থনীতিতে বড় আতঙ্কের এক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘অলিগার্ক’। এ অলিগার্কের শীর্ষে অবস্থান করছেন দেশের আমলারা, দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছেন রাজনীতিবিদরা। গত রবিবার বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার দুর্নীতির বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে বেশ কয়েকবার অলিগার্ক শব্দটি প্রয়োগ করা হয়েছে।
অর্থনীতিতে গত ১৫ বছরে মাফিয়াতন্ত্রের রাজ বোঝাতে এ কমিটি অলিগার্ক শব্দটি ব্যবহার করে বোঝাতে চেয়েছে দেশের অর্থনীতি এদের কবলে পড়ে এখন ‘কঙ্কালসার’। আর অলিগার্ক আমলাদের দুর্নীতির উৎস ছিল ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়’ (পিএমও)। উপকারের (দুর্নীতির সুযোগ) প্রতিদান হিসেবে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে কারচুপির পূর্ণ সহযোগিতা করেন আমলারা।
বাংলাদেশ নিয়ে মিথ ছিল শিগগিরই ‘মধ্যম আয়ের’ ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশটি। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বলছে, ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের ফাঁদে পড়ে গেছে এ দেশ।
বাংলাদেশের খাতগুলোতে দুর্নীতি-অনিয়মের শীর্ষে রয়েছে ব্যাংক খাত, দ্বিতীয়ত অবকাঠামো খাত, তৃতীয়ত জ্বালানি ও চতুর্থ খাত হিসেবে রয়েছে আইসিটি।
ব্যক্তি খাতের দুর্নীতিতে শীর্ষে রয়েছেন দেশের সরকারি চাকরিজীবী তথা আমলারা, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন রাজনীতিবিদরা।
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘Protester attack Bangladesh’s Agartala mission’ অর্থাৎ ‘বাংলাদেশের আগরতলা মিশনে বিক্ষোভকারীদের হামলা’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বিকেলে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালায় হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভকারীরা।
সম্প্রতি ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে ঢাকায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিশ্ব হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির ব্যানারে মিশন অফিস থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে সার্কিট হাউসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, সমিতির একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দিতে ভবন প্রাঙ্গণে গেলে প্রায় ১৫০ জনের একটি দল মিশনে প্রবেশ করে বাংলাদেশের পতাকা টেনে নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে এবং কিছু জিনিসপত্র ভেঙে ফেলে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে ফেলে ভেতরে প্রবেশ করে।