রাঙ্গামাটি:- রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৮৯ ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ১৯৯৭ এর ১৬-ক (৪) উপধারা এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১৪ এর ৪(২) উপধারায় কাজল তালুকদারকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এছাড়াও জেলা পরিষদের ১৫ জন অন্তর্বর্তকালীন যারা সদস্যরা হলেন, বাঘাইছড়ি থেকে দেব প্রসাদ চাকমা, নানিয়ারচর থেকে প্রনতি রঞ্জন খীসা, রাঙ্গামাটি জেলা সদর থেকে প্রতুল চন্দ্র দেওয়ান, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার বরুণ বিকাশ দেওয়ান, কাপ্তাই থেকে কাওসিংমং, রাঙ্গামাটি সদর থেকে নাইউ প্রæ মারমা, বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে ড্যানিয়েল লাল মুয়ান সাং পাংখোয়া, রাঙ্গামাটি পৌর এলাকা থেকে রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা, সাগরিকা রোয়াজা, নানিয়ারচর থেকে দয়াল দাশ, রাঙ্গামাটি পৌর এলাকা থেকে মো. হাবিব আজম, লংগদু থেকে মিনহাজ মুরশীদ, রাঙ্গামাটি জেলা সদর থেকে বৈশাখী চাকমা এবং লুৎফুন্নেসা বেগম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়-পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত উর্পযুক্তভাবে পুনর্গঠিত অর্ন্তবতীকালীন পরিষদ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৮৯ এবং এই আইনের সকল সংশোধনীর বিধান অনযায়ী রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সকল দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানানো হয়।
খাগড়াছড়িতে চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা—-
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম।এতে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে প্রথমবারের মত নতুন নারী চেয়ারম্যান হলেন জিরুনা ত্রিপুরা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, ১৯৮৯ ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৭ এর ১৬ক। (৪) উপধারা এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪ এর ২(২) উপধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ১৫ সদস্য বিশিষ্ট খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।
পুনর্গঠিত ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলো- খাগড়াছড়ি জেলা সদরের, বঙ্গমিত্র চাকমা, অনিময় চাকমা, নিটোল মনি চাকমা, মাহবুবুল আলম, শেফালিকা ত্রিপুরা, নিটোল মনি চাকমা, ধনেশ্বর ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা উপজেলার প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, মো: শহিদুল ইসলাম (সুমন), জয়া ত্রিপুরা, এ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা, মহালছড়ি উপজেলার কংজপু মারমা, মানিকছড়ি উপজেলার কুমার সুইচিংপ্রু সাইন, সাথোয়াই প্রু চৌধুরী, পানছড়ি উপজেলা থেকে প্রফেসর আবদুল লতিফ।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখের ২৯.০০.০০০০.২১৪,০১,২২৪,১৮-১৫৪ নম্বর প্রজ্ঞাপন দ্বারা গঠিত পরিষদ বাতিল করা হইল। জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
বান্দরবানে চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই—-
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৮৯ ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ১৯৯৭ এর ১৬-ক (৪) উপধারা এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১৪ এর ৪(২) উপধারায় থানজামা লুসাইকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম এক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অন্তর্বর্তকালীন সরকার অধীনে জেলা পরিষদের ১৫ জন সদস্য গঠন করা হয়। তারা হলেন- বান্দরবান সদর রেইছা থেকে রাজুময় তচঙ্গ্যা, চম্পাতলী থেকে ম্যা ম্যা নু মারমা, থানচি উপজেলা থেকে এডভোকেট উবাথোয়াই মারমা, রাজবিলা থেকে উমং চিং মারমা, থানচি হেডম্যান পাড়া থেকে খামলাই ম্রো, বান্দরবান পৌর এলাকা থেকে মংএ চিং চাক, থানচি মরিমন পাড়া থেকে সানাই প্রু ত্রিপুরা, রুমা উপজেলা থেকে লালজার লম বম, রোয়াংছড়ি থেকে নাফ্রাং খুমী, আলীকদম থেকে সাইফুল ইসলাম, বান্দরবান সদর থেকে মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বান্দরবান পৌর এলাকা থেকে মোহাম্মদ আবুল কালাম, বান্দরবান পৌর শহর মধ্যম পাড়া থেকে এডভোকেট মাধবী মারমা ও বান্দরবান বাজার থেকে খুরশিদা ইসহাক।
পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত উর্পযুক্তভাবে পুনর্গঠিত অর্ন্তবতীকালীন পরিষদ বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৮৯ এবং এই আইনের সকল সংশোধনীর বিধান অনযায়ী বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সকল দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।