ডেস্ক রির্পোট:- নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএমপির এক কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ডিএমপিতে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে ডিএমপিতে নিয়ে যাবেন। ডিএমপি থেকে বিস্তারিত জানানো হবে।
হেলালুদ্দীন অবসরে যাওয়ার আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি নির্বাচন কমিশন সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অবসরে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তিনি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকাকালে সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। যারা কমিশনে ছিলেন তাদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নির্বাচনী মাঠে একপেশে আচরণ করেছে।
বিপুল টাকা ব্যয়ে যে নির্বাচন হয়েছে তাতে সংবিধানের খেলাপ করেছেন নির্বাচন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাই রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রতারণা মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় আসামি করা হয় সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজকেও।
মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও ইন্ধনে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জনগণের সব গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, দেশের সংবিধান ও আইনকে লঙ্ঘন করে একপেশে, জনগণের অংশগ্রহণবিহীন ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে কিছু অনির্বাচিত লোককে সংসদ সদস্য ঘোষণা করেন। পরে তাদের মন্ত্রী ও স্পিকার ঘোষণা করা হয়।
দেশের মানুষ ভোট দিতে না পারায় নির্বাচনবিমুখ হয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গণতন্ত্র। দেশে স্বৈরচারী লুটেরা ব্যবস্থার আবির্ভাব হয়েছিল।
এছাড়াও হেলালুদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।