ডেস্ক রির্পোট:- কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ও আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি হয়নি। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির কথা ছিল। গতকাল বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটি নেয়ায় বেঞ্চ বসেনি। তবে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম একক বেঞ্চ পরিচালনা করেন বলে জানান বেঞ্চ অফিসার রেজাউল করিম।
শুনানি না হলেও আদালত প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন অন্যতম রিটকারী এডভোকেট মানজুর আল মতিন প্রীতম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আদালত থেকে বেঞ্চ অফিসাররা জানিয়েছেন, বিচারপতিদের মধ্যে একজন অসুস্থ হওয়ায় তিনি আসছেন না। ফলে শুনানিটা আজকে হচ্ছে না। এটা বৃহস্পতিবার হতে পারে। আমরা দেখবো, এই বেঞ্চের কার্যক্রম অব্যাহত থাকে কিনা। যদি থাকে তাহলে শুনানি হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা যে, আমরা জানছি, আমাদের দেশের ছয়জন নাগরিক, তারা প্রাপ্তবয়স্ক, তাদের সঙ্গে আমাদের শিক্ষকরা দেখা করতে গিয়েছিলেন। তাদেরকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। যদি তারা সেখানে স্বেচ্ছায় থাকতেন; যে তাদের নিরাপত্তার প্রয়োজন, তাহলে তো তারা দেখা করতে দিতেন।
তিনি বলেন, সরকারের তরফ থেকে কালকে তিন জন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল যে কথাটা বলেছেন যে, তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় সেখানে আছেন। আমাদের পরিষ্কার প্রশ্ন, আদালতের এখতিয়ার রয়েছে তাদের কাছ থেকে শোনার যে, তারা স্বেচ্ছায় আছেন কিনা? আদালত যদি শুনতে নাও পারেন, সরকারের কাছে নিশ্চয়ই এই খবরটা গেছে এখন পর্যন্ত, তারা গণমাধ্যমের সামনে এদের কথা বলতে দিন। গণমাধ্যমে এসে তারা বলুক যে, তারা স্বেচ্ছায় আছেন। গণমাধ্যম দেখুক যে, তাদের সামনে কোনো অস্ত্র নেই, তারা কোনো চাপে নেই।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নাগরিকদের মুক্তির উদ্যোগ চেয়ে আরেকটা পিটিশন করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা জানি, আমাদের ভাইরা কীভাবে নিজেদের সর্বস্ব বিক্রি করে বিদেশে যান। সংযুক্ত আরব আমিরাতে তারা জানতেন, আইন আছে, প্রতিবাদ করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। তারপরও তারা মাঠে নেমেছেন, তারা কারাবরণ করেছেন। তাদের এই সাহসের প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার কথা যেমন জানাতে চাই, একইসঙ্গে তাদের মুক্তির ব্যাপারে, তাদের ভালো থাকার ব্যাপারে সরকারের চূড়ান্ত নীরবতা, সেটার ব্যাপারেও নিন্দা জানাই।