ডেস্ক রিরোট:- বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। বিকল্প উপায়ে কেউ কেউ ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছেন। কিন্তু, ব্যবহার করতে পারলেও সকলেরই অভিযোগ ‘ফেসবুকের গতি খুবই ধীর’। তবে, এই ধীরগতির ফেসবুকেও একটি চমকপ্রদ বিষয় লক্ষ্য করছেন সবাই।
লাল রক্তে ছেয়ে গেছে ফেসবুক। কারো আইডিতে প্রবেশ করলে যেমন লাল রঙ দেখা যাচ্ছে। তেমনি, কারো পোস্ট দেখতে গেলেও চোখে পড়ছে লাল রঙ। দেশ-বিদেশের লাখ লাখ বাংলাদেশি নিজেদের প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করে লাল রঙ সেঁটে দিয়েছেন।
কিন্তু, এর কারণ কি? নরওয়ের অসলো ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত বাংলাদেশি গবেষক মুবাশ্বার হাসান নিজের প্রোফাইল পিকচার লাল রঙে পরিবর্তন করেছেন যার মধ্যে একটি প্রতীকী ছবি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, গণতন্ত্র লেখা আকৃতির একটি মানবদেহকে হামলা করা হচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী টিপুর লাল প্রোফাইল পিকচারে লেখা, “আহারে মৃত্যু!! হায়রে স্বাধীনতা!!” বিবিসির সাংবাদিক আকবর হোসেন লাল রঙে রাঙিয়ে লিখেছেন, “পাঁচ বছর পর কাভার ফটো পরিবর্তন করলাম।”
প্রবাসীরাও পিছিয়ে নেই। সুইডেন প্রবাসী বাংলাদেশি অনিতা শফিক নিজ প্রোফাইল পিকচার লাল রঙে রাঙিয়েছেন। তিনি একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে “একটি অসুস্থ জেনারেশন তৈরি হচ্ছে” কে বাদ দিয়ে লেখা হয়েছে “একটি অসাধারণ জেনারেশন তৈরি হচ্ছে”।
নুসাইবা মরিয়ম সুবহা নামের জনৈক ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইল পিকচারে সম্পূর্ণ মুখে লাল কাপড় বেঁধে রাখা এক শিক্ষার্থীর প্রতিকৃতি।
লাকী ইসলাম লিখেছেন, “তোমাদের শোক আর অভিনয় দুটোই ভাগাড়ে মিলাক।”
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজও তার প্রোফাইল পিকচার লাল রঙে পরিবর্তন করেছেন। সেখানে মো. জাকির হোসেন নামে একজন মন্তব্য করেছেন, “বাঁধন ছেঁড়ার হয়েছে কাল।
হয়েছে কাল, হয়েছে কাল, হয়েছে কাল। জোয়ার এসেছে জন-সমুদ্রে।
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল।”
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমানও তার কাভার ফটো লাল রঙে রাঙিয়েছেন। হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন “রেড জুলাই”।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান প্রশ্ন করেছেন, ফুলগুলো সব লাল হলো ক্যান?