তারা সেখানে আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, এসি, ফ্যান, কিচেন সরঞ্জামসহ ফ্ল্যাটগুলোতে থাকা সব জিনিসপত্রের তালিকা করেন। তারা ফ্ল্যাটগুলোতে প্রবেশ, তালিকা তৈরি, বেরিয়ে আসা পর্যন্ত পুরো সময়ের ভিডিও ধারণ করেন। তালিকা তৈরির সময় ওই ভবনের ম্যানেজার ও নিরাপত্তা কর্মীদের কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তৈরি করা তালিকায় সাক্ষী হিসেবে ভবনের ম্যানেজারসহ কয়েকজনের স্বাক্ষর নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে দুদক পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই ফ্ল্যাট চারটির দেখভাল করার দায়িত্ব রিসিভার কমিটির। ক্রোকের অংশ হিসেবে ভবনটিতে ফ্ল্যাটের বাইরের অংশে আদালতের ক্রোকাদেশসংবলিত সাইনবোর্ড টাঙাতে হবে। এরপর ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সময়ে সময়ে আয়-ব্যয়ের হিসাব আদালতে দাখিল করতে হবে।’
আদালতের ক্রোকাদেশের পর গত ২৭ জুন দুদককে রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়। রাজধানীর গুলশানের ১২৬ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়ি র্যাংকন আইকন টাওয়ার। ১৯ দশমিক ৭৫ কাঠা জমির ওপর তৈরি ১৫ তলা এই ভবনটিতে রয়েছে ২৫টি অ্যাপার্টমেন্ট। দুটি বেজমেন্ট। ৩৭টি কার পার্কিং। ভবনে ২০২৩ সালের ৫ মার্চ একসঙ্গে ৪টি ফ্ল্যাট কেনেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। নিজের অবসরে যাওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই ২ হাজার ২৪২ বর্গফুটের দুটি ও ২ হাজার ৩৫৩ বর্গফুট আয়তনের দুটি ফ্ল্যাট কেনেন তিনি। র্যাংকন আইকন টাওয়ারে এই চারটি ফ্ল্যাটের তিনটি সাভানা ইকো রিসোর্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মির্জার নামে কেনা। অপর ফ্ল্যাটটি বেনজীর আহমেদের ছোট মেয়ের হয়ে তিনি নিজের নামে কেনেন।
গত ২৩ ও ২৬ মে দুদকের দুই দফায় করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির শেয়ার ক্রোক ও ফ্রিজের নির্দেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। এ ছাড়া বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা প্রায় ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি এবং বিও অ্যাকাউন্টসহ ৩৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ক্রোক ও ফ্রিজের আদেশ দেওয়া হয়।