তথ্য পাচারের অভিযোগে গাজীপুরের এডিসি বরখাস্ত

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪
  • ১৩৭ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জিসানুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের স্বাক্ষর করা এক প্রজ্ঞাপনে জিসানুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। জিসানুল হক গাজীপুর মহানগর পুলিশের বৈধ আড়িপাতা শাখায় (এলআইসি) কর্মরত ছিলেন। তাকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জিএমপি’র সিটিএসবি এন্ড প্রটেকশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জিসানুল হকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ৩৯(১) এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী সরকারি চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা সমীচীন মর্মে বিবেচিত হওয়ায় এতদ্বারা তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

এর আগে, গত ১৯শে জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে জিসানুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করার সুপারিশ করে একটি চিঠি দেয় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। এতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশও করা হয়। চিঠিতে বলা হয়, গত ১২ই জুন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) থেকে ডিএমপি’র সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে নিয়ে একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টের কমেন্ট সেকশনে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল এর লিংক উদ্ধৃত থাকে। টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রবেশ করলে ওইদিন সন্ধ্যা ৭টা ৫৬ মিনিটে ডিএমপি’র সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ইএসএএফ ফর্ম সম্বলিত একটি টেলিগ্রাম পোস্ট পাওয়া যায়। এর কিউআর কোড পর্যালোচনায় ইএসএএফটি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখার এনটিএমসি’র এনআইপি সার্ভার থেকে এএসআই মো. আরিফ হোসেনের আইডি থেকে ডাউনলোড হয়।

এতে আরও বলা হয়, জিএমপি’র ডিবির (দক্ষিণ) উপ-কমিশনার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁনের দাখিল করা অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখা যায় জিসানুল হক তার ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল নম্বরের হোয়্যাটসঅ্যাপ থেকে গত ১২ই ফেব্রুয়ারি এলআইসি শাখায় কর্মরত এসআই পরিমল চন্দ্র দাসের ব্যক্তিগত হোয়্যাটসঅ্যাপে আছাদুজ্জামান মিয়ার মোবাইল নম্বরের এনআইডি চেয়ে মেসেজ দেন। এ প্রেক্ষিতে পরিমল চন্দ্র দাস সরকারী নিপ সেবা হটলাইন নাম্বারে এনআইডি সরবরাহের বার্তা দেন। বার্তা পেয়ে ওইদিন রাত ৮টা ৩৯ মিনিটে এলআইসিতে ডিউটিরত এএসআই মো. আরিফ হোসেন তার নিপ আইডি থেকে ইএসএএফ ডাউনলোড করে হটলাইনের হোয়্যাটসঅ্যাপের মাধ্যমে এসআই পরিমল চন্দ্র দাসের হোয়্যাটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠান।

চিঠিতে বলা হয়, পরদিন পরিমল চন্দ্র দাস এটি জিসানুল হকের সরকারি মোবাইল নম্বরের হোয়্যাটসঅ্যাপে পাঠান। উক্ত লগইন জিএমপি’র এলআইসিতে রক্ষিত রেজিস্টারেও পাওয়া যায়। স্পর্শকাতর তথ্য সরকারি উদ্দেশ্য ব্যতীত সংগ্রহ করা অপেশাদার সুলভ আচরণ এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ড হিসেবে পরিগণিত। এ অবস্থায় জিসানুল হকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্বলিত প্রতিবেদন প্রেরণ সাপেক্ষে বর্ণিত কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তপূর্বক রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, কার তথ্য ফাঁস করেছেন তিনি আমরা জানি না। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করে আমাদেরকে পাঠিয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। এ জন্য তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে। মামলার তদন্ত চলবে। এবং তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে সে অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম নেয়া হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions