বড় রদবদলে বিএনপি দিল কঠোর বার্তা,ছাড় পাবে না নিষ্ক্রিয়রা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪
  • ৭৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- নতুন করে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংগঠন ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে সাংগঠনিক কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে দলটির হাইকমান্ড। এই প্রক্রিয়ায় বিগত আন্দোলনে রাজপথে প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে না পারা দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ নেতা কেউই ছাড় পাবেন না।

সাংগঠনিক অ্যাকশনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মধ্যরাতে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বিএনপি ও ছাত্রদলের আট মহানগর কমিটিসহ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৫ জুন) দলের নির্বাহী কমিটি এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৪৫ নেতাকে নানান পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কূটনৈতিক ব্যর্থতা কাটাতে দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির বদলে গঠন করা হয়েছে নতুন দুটি কমিটি।

বিভিন্ন পর্যায়ের এই রদবদল কাউন্সিল ছাড়াই দল পুনর্গঠনে বিএনপির একটি বড় পদক্ষেপ। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ব্যাপক পুনর্গঠনের যে বার্তা দেওয়া হচ্ছিল, এবার তা বাস্তব রূপ পেতে শুরু করেছে। এই রদবদলকে সংগঠনে বিগত আন্দোলন ব্যর্থতার প্রভাব হিসেবে দেখছেন অনেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সামনে দলে আরও রদবদল আসছে। শূন্য পদ পূরণসহ স্থায়ী কমিটি থেকে শুরু করে নির্বাহী কমিটির সহসম্পাদক পদ পর্যন্ত এই পরিবর্তন আনা হবে। সেক্ষেত্রে স্থায়ী কমিটির দু-একজনকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলে নেওয়া হতে পারে। সব মিলিয়ে দুই শতাধিক পদে আসতে পারে রদবদল।

জানতে চাওয়া হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘কমিটি গঠন, পুনর্গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সাংগঠনিক প্রয়োজনেই দলে বিভিন্ন সময় শূন্য পদ পূরণ, ছোটখাটো রদবদল করা হয়। এবারও সেটা করা হয়েছে। সাংগঠনিকভাবে এতে দলের ভালোই হবে। এতে করে আগামীতে সংগঠন আরও সুসংহত, গতিশীল হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংগঠনে প্রত্যেকের একটা জবাবদিহি থাকে। যাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তিনি সেটা সঠিকভাবে পালন না করলে সেক্ষেত্রে বেটার রিপ্লেসমেন্ট মাস্ট।’

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দলের নির্বাহী কমিটিতে কিছু শূন্য পদ পূরণ এবং কিছু পদে সমন্বয় করা হয়েছে। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদেও কয়েকজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে এই পদায়ন করা হয়েছে।’

কাউন্সিল ছাড়াই কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় রদবদল : সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থতার কারণে বিএনপির ঢাকাসহ চারটি মহানগর কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর এবার দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে বড় রদবদল করা হয়েছে। দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে ৩৯ নেতাকে বিভিন্ন পদে নতুনভাবে পদায়ন করেছে বিএনপি। অনেক নেতার যেমন পদোন্নতি হয়েছে, তেমনি কারও কারও পদাবনতিও হয়েছে। গতকাল শনিবার বিএনপির প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই রদবদলের কথা জানানো হয়।

বিএনপির বর্তমান জাতীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। শিগগির দলটির জাতীয় কাউন্সিল হওয়ার সম্ভাবনাও নেই বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে ৫০২ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া গঠন করা হয় চেয়ারপারসনের একটি উপদেষ্টা কাউন্সিলও, যার সর্বশেষ সংখ্যা ৮১ জন। ওই বছরের ৬ আগস্ট জাতীয় স্থায়ী কমিটি, নির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদ মিলিয়ে ৫৯২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। এদের মধ্যে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। পরবর্তী সময়ে উপদেষ্টা ও নির্বাহী কমিটিতে আরও কিছু নেতাকে পদায়ন করা হয়।

৪৫ নেতার পদ রদবদলের বিষয়টি বিশ্লেষণে দেখা যায়, দলের বিশেষ সম্পাদক ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান রিপনকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যুগ্ম মহাসচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা পাঁচজনকে পদোন্নতি দিয়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হারুন অর রশিদ ও আসলাম চৌধুরী।

একইভাবে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেবী নাজনীন, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন চৌধুরী ফাহিন এবং মেজর জেনারেল (অব.) মো. শরীফ উদ্দীন।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদটি অনেকটা আলংকারিক। এটি অপেক্ষাকৃত গুরুত্বহীন পদ বলে বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে বিবেচিত।

অন্যদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এবং প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে পদোন্নতি দিয়ে যুগ্ম মহাসচিব করা হয়েছে।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে পদোন্নতি পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল (ঢাকা বিভাগ), সৈয়দ শাহীন শওকত (রাজশাহী বিভাগ) ও শরীফুল আলম (ময়মনসিংহ বিভাগ)। এ ছাড়া সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) হয়েছেন।

যুবদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দায়িত্বে থাকতে চেয়েছিলেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়। হাইকমান্ড তাকে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন। এই পদটি বিএনপিতে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। সর্বশেষ এই পদে ছিলেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

এ ছাড়া সহ-প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমকে গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিএনপির সভাপতি নাহিদ খানকে সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহকে সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং এএসএম সাইফ আলীকে সহ-তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে।

সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমকে রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদকে ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলামকে রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক, ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনকে চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, আবু ওয়াহাব আকন্দকে ময়মনসিংহ বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মিফতাহ সিদ্দিকীকে সিলেট বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

এই রদবদলে পাঁচজনের পদাবনতি হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্লা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাঈদ, সহ-কৃষিবিষয়ক সম্পাদক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এস এম গালিবকে নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, সুইডেন বিএনপির সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ ঝিন্টু, ডেনমার্ক বিএনপির সদস্য গাজী মনির, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল এবং জাহান পান্না (রাজশাহী), নাজমুন নাহার বেবী (চাঁদপুর), মো. মাইনুল ইসলাম (টাঙ্গাইল), আজম খান (দক্ষিণ আফ্রিকা) ও বেলায়েত হোসেন মৃধাকে (নরসিংদী) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, দল পুনর্গঠনের লক্ষ্যে সংগঠনে যে রদবদল আনা হয়েছে তাতে এটা সুস্পষ্ট যে, বিগত আন্দোলনে যারা মাঠে ছিলেন না কিংবা নেতৃত্ব নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন করেছেন অথবা দলের প্রতি যাদের কমিটমেন্টের অভাব রয়েছে বলে হাইকমান্ডের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, তাদেরকে অপেক্ষাকৃত গুরুত্বহীন পদ কিংবা পদাবনতি দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম মহাসচিব হয়েছেন সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘দলীয় কর্মকাণ্ডের মধ্যে আন্দোলনও থাকে। একেক সময় একেকটা জিনিস সামনে আসে। দলের হাইকমান্ড বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করে যেটা ভালো মনে করেছে সেটা করেছে। দলের সবাই কম-বেশি আন্দোলনে ছিলেন। রাজপথে কেউ একটু বেশি সক্রিয় ছিলেন, কেউ কম। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, একটা ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে আমরা আছি।’

একদফা দাবিতে বিএনপির বিগত আন্দোলনের পক্ষে সেভাবে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন পাওয়া যায়নি বলে দলের ভেতরেই আলোচনা রয়েছে। এজন্য দলের কূটনৈতিক ব্যর্থতাকে দায়ী করেন অনেকে। বিষয়টি আমলে নিয়ে কূটনৈতিক ব্যর্থতা কাটাতে দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির বদলে দলের চেয়ারপারসনের ‘ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটি’ এবং ‘স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটি’ নামে ২৯ সদস্যের নতুন দুটি কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। জ্যেষ্ঠ নেতাদের সমন্বয়ে একটি এবং তাদের সহায়তা করার জন্য আরেকটি কমিটি করা হয়েছে।

চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির প্রধান হয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কমিটির সদস্যরা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম এবং কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাজভিরুল ইসলাম।

স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্যরা হলেন শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, আফরোজা খান রিতা, অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জিবা খান, অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, খান রবিউল ইসলাম রবি, ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, তাবিথ আউয়াল, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, ফারজানা শারমীন পুতুল, ইসরাফিল খসরু, ব্যারিস্টার আবু সালেহ মো. সায়েম (ইউকে) এবং মো. ইকবাল হোসেন বাবু (বেলজিয়াম)।

এর আগে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির ২১ সদস্যের ‘ফরেন অ্যাফেয়ার্স’ কমিটি ছিল।

বিএনপির ১১টি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের মধ্যে এরই মধ্যে ছাত্রদল ও যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দল ছাড়া বাকি অঙ্গ-সংগঠনের কমিটিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ। বিএনপি পর্যায়ক্রমে এসব সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়ারও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সংগঠন পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুনর্গঠন নিয়ে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলা ও মহানগর পর্যায়ে সংগঠনের সব নেতৃত্বই পাল্টে ফেলা হবে। ঈদের পর গাজীপুরসহ বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হতে পারে। পরে ধাপে ধাপে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।কালবেলা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions