খাগড়াছড়ি:- আমসহ উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষি পণ্য পরিবহনে একাধিক প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত টোল আদায় ও হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে খাগড়াছড়ি ফলদবাগান মালিক সমিতি ও সম্মিলিত কৃষক সমাজ। মানববনন্ধন থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধসহ চার দফা আদায় না হলে খাগড়াছড়ি বাজার বয়কট ও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেওয়া হয়।
সোমবার (১০ জুন) সকালে খাগড়াছড়ি পৌর শাপলা চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে জেলা পরিষদ, বাজার ফান্ড ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার টোল কেন্দ্রে অতিরিক্ত টোল আদায় ও হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। মানববন্ধন শেষে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কর্মসূচিতে জেলার সহস্রাধিক কৃষক অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমবায় সমিতির উপদেষ্টা অনিমেষ চাকমা রিংকু, খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান সমবায় সমিতির সভাপতি তরুন আলো দেওয়ান, সাবেক সভাপতি এডভোকেট জ্ঞান জ্যোতি চাকমা, খাগড়াছড়ি মারমা ফলদ বাগান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুশি চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য ফল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমতিরি সাধারণ সম্পাদক মো. তসলিম উদ্দিন, দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির সভাপতি আবু তাহের ও পানছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির সভাপতি দেবাশীষ চাকমা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, খাগড়াছড়িতে আমের গাড়ি থেকে পৌরসভা, জেলা পরিষদ, বাজার ফান্ড আলাদাভাবে সিডিউলের মূল্য তালিকার অতিরিক্ত টোল আদায় করছে। সে সাথে বিভিন্ন কুরিয়াসার্ভিস অতিরিক্ত ফি আদায় করছে। এতে করে এ জেলা থেকে এক গাড়ি আম অন্য জেলায় পাঠাতে অতিরিক্ত ১২-১৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়। টোল আদায়ের হয়রানির ফলে বাহিরের ব্যাবসায়ীরা এখানে আসতে অনিহা প্রকাশ করে যার দরুণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এখানকার ফলদ বাগান মালিকরা।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের রামগড় সোনাইপুল ও মানিকছড়িও গাড়িটানা টোল আদায় কেন্দ্রে সরকারি রেইট সিডিউল অনুসারে গাড়ি প্রতি ২শ-৫শ টাকার নেওয়ার স্থলে ভাউচার বিহীন ৩-৮ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
একই সাথে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ও বাজার ফান্ড ও পৌরসভার অতিরিক্ত টোল আদায় ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়ে বিগত ২২/২৩ বছরে সিন্ডিকেট চক্রের দুর্নীতি তদন্তেরও দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে। এ সকল বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেয় সংগঠন দুটি।