বান্দরবান:- আগামী ২১ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বােনের দ্বিতীয় ধাপে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সে হিসেবে ১৯ মে রাত ১২টায় এ উপজেলায় নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা শেষ। এ পর্যায়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রস্তুত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় উপজেলার ২৬ কেন্দ্রের মধ্যে ১২ টি কেন্দ্র ,ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন স্থানীয়রা ও একাধিক প্রার্থী।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার সালাউদ্দিন আল আজাদ পার্বত্যনিউজকে বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র ২৬টি। ভোটার সংখ্যা ৪৫ হাজার ২৭৯টি। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ২২ হাজার ৭৭০ জন। মহিলা ভোটার ২২ হাজার ৫০৯ জন। বুথ সংখ্যা ১৩০টি।
স্থানীয়রা জানান, ২৬ কেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপুর্ণ কেন্দ্র রয়েছে মোট ১২টি । তার মধ্যে অতিঝুঁকিপুর্ণ ৯ টি।
কেন্দ্রগুলো হলো, তাংগারা বিছামারা ভোটকেন্দ্র, আশারতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, রেজু হেডম্যানপাড়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাইশারী নারিচবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, করলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুরিক্ষ্যং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লেবুছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঁকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আলিক্ষ্যং মিরঝিরি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ২ জন। বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ’র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফাইল আহমদ। তারা দু’জনই স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
অপরদিকে ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ) ২ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা সকলে জনপ্রিয়। শেষ মূহর্তে তারা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন। আর চষে বেড়াচ্ছেন গ্রামের পর গ্রাম।
এদিকে এ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন নির্বাচনে নিয়োজিত বিশেষ কমিটির এক সদস্য।
রোববার বিকেলে এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তারমধ্যে ব্যালেট বাক্স সঠিকভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানোসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও নির্বিঘ্নে নির্বাচনের সকল কার্যক্রম সুচারুরূপে করতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা প্রদান বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।