ডেস্ক রির্পোট:- টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এমন দিন খুব একটা বেশি দেখতে হয়নি পাকিস্তানের সুপারস্টার বাবর আজমকে।গ্রাহাম হিউমের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে যখন ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তখন পাকিস্তানের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানের রান চার বলে শূন্য।প্রথম ওভারেই ফিরেছেন বিস্ফোরক ওপেনার সাইয়ুম আইয়ুব, পরের ওভারে বাবরের বিরল ‘ডাকে’ ১৩ রান তুলতেই দুই উইকেট নেই পাকিস্তানের।
আগে ব্যাট করে ১৯৩ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করানো আয়ারল্যান্ড তখন ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।তবে সেই স্বপ্ন দ্রুতই হাওয়ায় মিলিয়ে যায় ফখর জামান ও রিজওয়ানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে।তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৪০ রান যোগ করে পাকিস্তানকে বিপদ সামনে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন এই দুই তারকা ব্যাটসম্যান।শেষে আজম খানের ঝড়ে শুরুর চাপ সামলে ১৯ বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
প্রথম ম্যাচ হেরে শুরু করা পর সফরকারীদের দাপুটে এ জয়ে তিন ম্যাচে সিরিজ ১-১ সমতায় ফিরল।১৪ই মের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি তাই এখন অলিখিত ফাইনাল।
আগের ম্যাচে পাকিস্তানের দেওয়া ১৮৩ রান ভেঙে জয় পাওয়া আয়ারল্যান্ড এদিনও আগে ব্যাটিংয়ে নেমে খেলেছে আগ্রাসী মানসিকতায়।ক্যাপ্টেন স্টার্লিং ও বালবার্নে দ্রুত ফিরলেও তৃতীয় উইকেটে স্বাগতিকের এগিয়ে নিয়ে যান হ্যারি টেক্টর ও লোরকান টাকার।৪৬ বলে দুজনে মিলে যোগ করেন ৬২ রান। আব্বাস আফ্রিদির বলে ফেরার আগে টেক্টর করেন ২৮ বলে ৩২ রান।এরপরে নামা কার্টিস ক্যাম্ফারও (১৩ বলে ২২ রান) যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন টাকারকে।আউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন লোরকান টাকার।তবে স্বাগতিকেরা ১৯০ এর কোটা পার করে শেষদিকে নামা গ্যারেথ ডেলানি ১০ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে।পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদি ৪৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে পাকিস্তানে ইনিংসও ঠিক এগিয়েছে আইরিশদের মতোই।দ্বিতীয়া ওভারেই সাজঘরে ফেরন দুই ওপেনার সায়েম আইয়ুব ও বাবর আজম। তবে সেই ধাক্কা বুঝতেই দেননি রিজওয়ান ও ফখর।শুরু থেকে ঝড়ো গতিতে রান তুলে প্রতিপক্ষের উপর চাপ ফিরিয়ে দেন এই দুই ডানহাতি।রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চাপ সামলে দলকে নিয়ে যান সুবিধাজনক অবস্থানে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৭৭ বলে দুজনে মিলে যোগ করেন ১৪০ রান।৩১ বলে ফিফটি করা ফখর ৪০ বলে ৭৮ রানে ফিরলে ভাঙে বড় এই জুটি।সমান ছয় চার ও ছক্কায় ফখরের অসাধারণ এই ইনিংসে ততক্ষণে অবশ্য আস্কিং রান রেট পাঁচ ওভার বাকি থাকতেই প্রায় দশ থেকে ছয়ে নামিয়ে ফেলে পাকিস্তান। ফখর ফেরার পর ৩৩ বলে ৪১ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের।তবে আজমে খানের চার ছক্কায় ১০ বলে ৩০ রানের ঝড়ে সেই সমীকরণ ১৯ বল হাতে রেখেই মিলিয়ে ফেলে সফকারীরা।