শিরোনাম
বাণিজ্য সম্ভাবনায় ‘সেভেন সিস্টার্স’ দুবাইয়ে বিপু-কাজলের ২০০ কোটির দুই ভিলা পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে,প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে তাকিয়ে সবাই শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক ডিসেম্বরে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে কি এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা

‘আমরা আমরাই তো, ভোট দেওয়ার চেয়ে মরিচ তোলাই ভালো’

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ মে, ২০২৪
  • ১০৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মধ্য চাড়োল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি তেমন ছিল না। অনেকটা উচ্ছ্বাসহীন পরিবেশে বুধবার সকাল ৮ টায় শুরু হয়েছে বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্র্রহণ। সকাল থেকে যেন গুমট মেঘলা আবহাওয়ার মতোই নির্বাচনের পরিবেশ ছিল বর্ণহীন। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরেও ভোটারদের কোনো লাইন চোখে পড়েনি।

উপজেলায় ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজনের দুই চাচা ও চাচাতো ভাই চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা আওয়ামী লীগে আওয়ামী লীগে। এ কারণে তেমন কোনো উচ্ছ্বাস নেই।

কেন নির্বাচনে আগ্রহ নেই, ভোটারও কেন কম এই প্রশ্নের উত্তর মিলে উপজেলা মধ্য চাড়োল সরকারি প্রাথমিক ভোটকেন্দ্রে গিয়ে। কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়ানো ভোটার তোজ্জাম্মেল হক বলেন, আমাদের বালিয়াডাঙ্গী তে নিজগৃহে ভোট। এখানে সাধারণ মানুষের ভোটের দরকার পড়ে না। তাই ভোটারদের মধ্যে কোনো উচ্ছ্বা নেই।

তার ভাষায়, ভোট দিলেও উমরা (আমরা) না দিলেও উমরা’। ভোট দিতে যে সময় যায় (নষ্ট) তার চে’ মরিচ তোলাই ভালো ’।

তোজাম্মেল হক আরও বলেন, স্থানীয় এমপির চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ও তার ছোট ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ আলীর ছেলে আলী আহসান রানা চেয়ারম্যান প্রার্থী। অন্য কোন প্রার্থী নেই। দু:খ করে তিনি বলেন, আমরা এখনও মুঘল যুগেই আছি এখানে (বালিয়াডাঙ্গী)। তাই ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের মাথা ব্যথা নেই। আমজানখোর ইউনিয়নের স্কুলহাট এলাকার শরিফুল ইসলাম অনেকটা কৌতুক করে বলেন, ‘এটাতো আসল ভোট নয়, যেন খেলনার ভোট’। তিনি আরও বলেন,‘ এটা ছেলে-পেলেদের ভোট, হামরা (আমাদের) ভোট না ’।

ভোটকেন্দ্র গুলোতে দেখা গেছে, বয়স্কদের চেয়ে তরুণ ও একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষদের উপস্থিতি বেশি। ভোটার উপস্থিতি কম কেন প্রশ্নের উত্তরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জরুল হাসান বলেন, গ্রামের মানুষ কৃষি কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে, তবে দুপুরের পর ভোটার উপস্থিত হবেন। সকাল থেকে কেন্দ্রের বুথে সহকারী প্র্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা সহ নির্বাচন সংশ্লিস্টরা অনেকটাই অলসভাবে বসেছিলেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions