ডেস্ক রির্পোট:- মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের জের ধরে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরো ১৩ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফের নাফ নদী হয়ে নতুন করে বিজিপির আরো এই ১৩ জন সদস্য এসে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, টেকনাফ স্টেশনের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে কোস্টগার্ড তাদেরকে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের কাছে হস্তান্তর করে। বর্তমানে বিজিবি হেফাজতে মিয়ানমারের বিজিপিসহ বিভিন্ন বাহিনীর সর্বমোট ২৭৪ জন সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করে বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
তিনি আরো জানান, ‘নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি)-এর অধীনে থাকা ২৭৪ জনের মধ্যে বিজিপি সদস্য ছাড়াও সেনা সদস্যও রয়েছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে এই ৪৬ জন পালিয়ে আসে। মঙ্গলবার দিনে প্রবেশ করছিল ১৮ জন। এর আগে সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে এই দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। এর আগে রোববার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আরো ১৪ জন সদস্য।
তারও আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়রত ছিল। যাদের মধ্যে শনিবার (৩০ মার্চ) মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) আরো ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য আশ্রয় নেন।
এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরো ৩৩০ জন। যাদের বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।