ডেস্ক রির্পোট:- শনিবার গভীর রাতে ইসরায়েলে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। তবে যে কারণে হামলা চালানো হয়েছে, তার সব কটিই পূরণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি। ইসরায়েল পরবর্তীতে প্রতিশোধমূলক হামলা না চালালে দেশটিতে আর কোনো হামলার পরিকল্পনা নেই তেহরানের, বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার জবাবে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধাকালীন মন্ত্রিসভা। যদিও সেই হামলা কখন এবং কোন মাত্রায় হবে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার বিকালে ইসরায়েলের পাঁচ সদস্যের মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নেয়। মোহাম্মদ বাগেরির বক্তব্যের বরাতে তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, ইসরায়েল চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করায় গত শনিবার হামলা চালিয়েছে ইরান। সতর্ক করে তিনি আরও বলেছেন, ইরানের এই হামলার জবাবে ইসরায়েল ‘অনেক বড় পরিসরে’ হামলা চালাতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে সাংঘর্ষিক অবস্থা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। ইরান এরই মধ্যে ইসরায়েলের পাল্টা হামলার মতো বাড়াবাড়ি নিয়ে সতর্ক করেছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি গত রবিবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, শনিবারের হামলার চেয়ে ১০ গুণ শক্তিশালী হামলা চালাতে সক্ষম তেহরান।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের কোনো বেসামরিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়নি। শুধু সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করা হয়েছে। বিশেষ করে হেরমন পর্বতে ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে যেটি দামেস্ক কনস্যুলেটে হামলায় জড়িত। এছাড়া নেগেভ মরুভূমিতে ইসরায়েলের নেভাতিম বিমানঘাঁটিতেও হামলার কথা জানান তিনি। ইরানের হামলায় ইসরায়েলের এসব সামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে দাবিও জানিয়ে মোহাম্মদ বাগেরি।
সূত্র : প্রেসটিভি ও তাসনিম নিউজ।