শিরোনাম
খাগড়াছড়িঃ সংঘাত থেকে শুরু হোক শান্তির পদযাত্রা। আওয়ামী লীগ জাপাসহ ১১ দলের কার্যক্রম বন্ধ চেয়ে রিট মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতির প্রসঙ্গ পার্বত্য টাস্কফোর্সে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নিয়োগ পাওয়া চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে কোন জাদুতে সওজের কাজ বাগাল অনভিজ্ঞ এনডিই,প্রাক-অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক পদোন্নতির হাওয়া বইছে প্রশাসনে, এসএসবির টেবিলে ৮৫০ নথি সাবেক ডিএমপি কমিশনার ফারুকের ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদ! বিশ্বের বহু পলাতক স্বৈরশাসক টাকা দিয়ে রাজনীতিতে ফিরেছে,হাসিনার শক্তি পাচারের টাকা পর্যটকদের জন্য আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাঙ্গামাটি ও ৫ নভেম্বর থেকে খাগড়াছড়ি খুলে দেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৭৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৩২ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- সতর্ক করার পরও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) ও মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপের শঙ্কা দূর হচ্ছে না। এ হস্তক্ষেপ থেকে দ্বন্দ্ব, সংঘাত, সংঘর্ষের শঙ্কাও দেখা দিচ্ছে।
নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, এ নিয়ে দলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ থেকে মন্ত্রী ও দলীয় এমপিদের দূরে থাকতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বারবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারপরও নির্বাচন পুরোপুরি হস্তক্ষেপ ও প্রভাবমুক্ত থাকবে, এ পরিস্থিতি দৃশ্যমান নয়। বরং বিরূপ পরিস্থিতি দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে বলে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আইনি বাধা থাকার পর এবং দল থেকে বারবার সতর্ক করার পরও দলের অনেক এমপি-মন্ত্রী তাদের ছেলে, ভাই, আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের প্রার্থী করছেন। নিজস্ব প্রার্থীর পক্ষে তারা প্রভাব খাটানো বা নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করবেন বলে দলের স্থানীয় নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের আশঙ্কা। আর এ হস্তক্ষেপ থেকেই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও সংঘর্ষের শঙ্কা দেখা দিচ্ছে।

দেশের ৪৮১টি উপজেলায় চার ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ভোট ৫ জুন। স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্তর এ উপজেলা পরি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও দলের এমপি-মন্ত্রীদের অনেকে পদটি নিজেরদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। উপজেলাকে হাতে রাখতে নিজের লোক বা নিজের পছন্দের লোক যাতে চেয়ারম্যান পদে থাকতে পারেন, সে চেষ্টা করছেন তারা। অনেকেই ইতোমধ্যে নিজস্ব প্রার্থীও ঠিক করে রেখেছেন।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মানান, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমানসহ অনেকেরই নিজস্ব প্রার্থী রয়েছে। তারা যাদের সমর্থন দিচ্ছেন, তারা কেউ ভাই, ছেলে, নিকট আত্মীয় বা পছন্দের লোক। তাদের কারো কারো বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রে অভিযোগ এসেছে বলেও জানা গেছে।

উপজেলা নির্বাচনে দলের মন্ত্রী-এমপিদের সমর্থিত প্রার্থী ও তাদের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি এটি, সরকারেরও। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের সক্ষমতা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেখিয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও তারা সেই স্বাক্ষর রাখবে আশা করি। এমপি-মন্ত্রীরা নিজের আত্মীয়, ঘনিষ্ঠদের অনেকেই প্রার্থী করছেন শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তারা তো চিহ্নিত হয়ে যাচ্ছেন । আইন অনুযায়ী তারা তো কারো পক্ষে ভোট চাইতে পারেন না, আমি এমপি হিসেবে এটি করতে পারি না। এমপি-মন্ত্রীদের সতর্ক করা হয়েছে, এ নিয়ে আমাদের দলের অবস্থান স্পষ্ট। বাংলানিউজ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions