শিরোনাম
বাণিজ্য সম্ভাবনায় ‘সেভেন সিস্টার্স’ দুবাইয়ে বিপু-কাজলের ২০০ কোটির দুই ভিলা পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে,প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে তাকিয়ে সবাই শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক ডিসেম্বরে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে কি এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা

বান্দরবানের তিন উপজেলায় ব্যাংক লেনদেন বন্ধ,থমথমে পরিস্থিতি,ম্যানেজার উদ্ধার

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২০৩ দেখা হয়েছে

বান্দরবান:- সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফের তাণ্ডব ও ব্যাংক লুটের পর বান্দরবানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জেলা জুড়ে চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান। দুইদিনেও লুট হওয়া অস্ত্রের হদিস মিলেনি। তবে উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে। র‌্যাবের মধ্যস্থতায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে গতকাল সংস্থাটির পক্ষে জানানো হয়েছে। রুমা ও থানচির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কাউকে এখনো আটকের তথ্য জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেএনএফ’র সঙ্গে পরবর্তী বৈঠক বাতিল করেছে বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। এ ছাড়া রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে সোনালী ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওদিকে ব্যাংক ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনায় রুমা ও থানছি থানায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

তবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা লুট হওয়া টাকা ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার: র?্যাব
বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখা লুট করার সময় অপহৃত ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বান্দরবানের রুমা বাজার এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র?্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। বলেন, নিজাম উদ্দিনকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে উদ্ধার করা হয়। র?্যাব বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কেএনএফ’র সঙ্গে মধ্যস্থতা করে তাকে উদ্ধার করে। রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম জানিয়েছেন, নিজাম উদ্দিন সুস্থ আছেন।

কেএনএফ’র সঙ্গে শান্তি কমিটির কার্যক্রম স্থগিত:
কেএনএফ’র বিপদগামী সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক করে গত বছরের জুনে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কেএনএফ’র সঙ্গে গত ৫ই মার্চ মাসের ২য় দফা সরাসরি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়ে শান্তি পরিবেশ বজায় রাখাসহ ৬দফা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তি ভঙ্গ করে কেএনএফ গত ২দিন রুমা ও থানছিতে যে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে তাতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গতকাল সকাল ১০টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কেএনএফ’র সঙ্গে সকল ধরনের যোগাযোগ স্থগিত করেছে। জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা জানিয়েছেন, তারা জঙ্গি স্টাইলে রুমা ও থানচিতে ব্যাংকে ও মসজিদে হামলা করে মারধর এবং লুটপাট চালিয়ে ম্যানেজারকে অপহরণ করেছে তা নিন্দনীয়। এ ঘটনায় কেএনএফ’র সঙ্গে সকল ধরনের যোগাযোগ স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল রুমা উপজেলা পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ জিআইজি নুরে আলম মিনা।

তিন উপজেলায় সব ব্যাংকের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ:
বান্দরবানের ৩ উপজেলা রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে সোনালী ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এই ৩ উপজেলার গ্রাহকরা জেলা সদরের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা থেকে টাকা তুলতে পারবেন। এ ছাড়া লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বৃহস্পতিবার সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সোনালী ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে। বান্দরবান সদরের সোনালী ব্যাংক শাখার অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক ওসমান গণি এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, বান্দরবানের ৩ উপজেলা রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে সোনালী ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এই ৩ উপজেলার গ্রাহকরা জেলা সদরের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা থেকে টাকা তুলতে পারবেন।

এদিকে জেলা সদরের প্রতিটি ব্যাংক এবং এটিএম বুথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে এ ৩টি উপজেলার ব্যাংকগুলোর ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর এবং ভল্টে থাকা নগদ টাকা জেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে। ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ঈদের এই সময়ে গ্রাহকদের দুর্ভোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম ইনচার্জ মোহাম্মদ ওসমান গণি সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ৩টি উপজেলায় আগের মতো ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions