ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধ,মাথাপিছু ঋণ দেড় লাখ টাকা : সিপিডি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১২৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- বিদেশি ঋণ পরিশোধের জন্য সরকার নতুন করে ঋণ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ ও সুধসহ ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা বাড়ছে। এতে সরকারকে অপর্যাপ্ত রাজস্ব আদায়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের জন্য ক্রমাগত নতুন ঋণ নিতে বাধ্য করছে। কোভিড বা ইউক্রেন যুদ্ধ নয়, ভিন্ন কারণে (মেগা প্রকল্পে দুর্নীতি ও অত্যধিক খরচ) সরকারের ঋণ নেয়ার প্রবণতা ত্বরান্বিত হয়েছে। মাথাপিছু এখন ঋণ দেড় লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে। গতকাল সিপিডি ও এশিয়া ফাউন্ডেশন ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ’স এক্সটারনাল পাবলিক বরোইংস অ্যান্ড ডেবট সার্ভিসিং ক্যাপাসিটি; আর দেয়ার রিজন ফর কনসার্ন?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলা হয়।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান। বক্তারা বলেন, দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে এবং ভুল নীতির কারণে রিজার্ভ কমে গেছে। অর্থনীতিকে সচল রাখতে হলে বিদেশি ঋণ ব্যবস্থাপনায় এবং ঋণ কাজে লাগানোর বিষয়েও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে ঋণের সুদের হার, গ্রেস পিরিয়ড, সার্ভিস চার্জ, কমিটমেন্ট ফি, ফন্ট অ্যান্ড ফিসহ বেশকিছু বিষয়ে দর কষাকষির সক্ষতা বাড়াতে হবে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে, তিন বছরের ব্যবধানে দেশের মানুষের মাথাপিছু ঋণের অঙ্ক এক লাখ টাকা থেকে বেড়ে দেড় লাখ টাকা হয়েছে। বৈদেশিক ঋণের তথ্য পর্যালোচনা করে এ বেসরকারি গবেষণা সংস্থা বলছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ এবং তা পরিশোধের বাধ্যবাধকতা ক্রমশ বাড়ছে। সরকার ঋণ করে ঋণ শোধ করতে বাধ্য হচ্ছে। মেগা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিরা বিদেশে টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা’ শীর্ষক প্রবন্ধে জানানো হয়, ঋণ পোর্টফোলিওর গঠন দ্রæত পরিবর্তিত হচ্ছে। রেয়াতি ঋণের অনুপাত কমছে, অন্যদিকে রেয়াতি ও বাজারভিত্তিক ঋণের অংশ বাড়ছে। ঋণের শর্তাবলিও আরও কঠোর হচ্ছে। বিশেষত জিডিপি, রাজস্ব আয়, রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্গে তুলনা করলে বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের দায়বদ্ধতার দ্রæত বৃদ্ধি উদ্বেগজনক। ঋণ বহনের সক্ষমতা ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা উদ্বেগ তৈরি করেছে। দিন শেষে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ, যা অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি উভয় ঋণ পরিশোধের জন্য বিবেচনা করতে হবে। অভ্যন্তরীণ সম্পদের একটি ক্রমবর্ধমান অংশ দেশি ও বিদেশি ঋণের মূল ও সুদ পরিশোধে ব্যবহার করা হচ্ছে।

শ্রীলংকা স্বল্প মেয়াদি ঋণের ফাঁদে পড়েছিল, বাংলাদেশেও এমন ঋণ বাড়ছে জানিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ প্রফেসর রেহমান সোবহান বলেন, দেশের মেগা অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বিদেশি ঋণে করা হচ্ছে। এসব প্রকল্পে প্রয়োজনের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি ব্যয় হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, শ্রীলংকা স্বল্পকালীন ঋণের ফাঁদে পড়েছিল। রপ্তানি কমে আসায় এসব ঋণ যথাযথভাবে পরিশোধ করতে পারেনি দেশটি। আফ্রিকার কিছু দেশেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ তেমন অবস্থানে নেই। কিন্তু দেশে স্বল্প মেয়াদি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, গত দুই সপ্তাহে ঋণের বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে। দায় পরিশোধের পরিসংখ্যান, সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন ধরনের ফলাফলের কারণে বিষয়গুলো এসেছে। নীতি নির্ধারকদের অস্বীকারের মনোভাব সর্বদা দেখি, সেটি আরও প্রকটভাবে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেন, নীতি নির্ধারকেরা প্রায়ই বলেন- অর্থনীতিবিদেরা ঠিকমত বিশ্লেষণ করতে পারেন না, ভবিষ্যৎও বলতে পারেন না। উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকেরা পেশাদার অর্থনীতিবিদদের নিয়ে প্রায়শই শ্লেষাত্মক ও ব্যঙ্গাত্মক কথা বলেন। আজ থেকে দুই বছর আগে সিপিডিতে বসেই আমি বলেছিলাম, ২০২৪ সাল আমাদের জন্য কঠিন হবে। সেখানে দায়-দেনা পরিশোধে বড় ধরনের ধাক্কা আসতে পারে। ২০২৫ সাল থেকে ঋণ পরিশোধে অস্বস্তি শুরু হবে। ২০২৬ সালে এটা আরও বাড়বে। ঋণের হিসাবে গাফেলতি আছে। এ হিসাবে এখনো অনেক কিছু বিবেচনায় নেয়া হয়নি। বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রসঙ্গে ড. দেবপ্রিয় বলেন, যদি ১০০ শতাংশ ঋণ নিয়ে থাকে তার ৮০ শতাংশ সরকারের আর ২০ শতাংশ ব্যক্তিখাতের। ব্যক্তিখাতের ঋণের অবস্থা কী, কেউ কি বলতে পারবেন? এ টাকা কেউ কেউ বিদেশে নিয়ে গেছেন। কেউ ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করেছেন। এ হিসাবটা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি বলেন, সরকার তো দেশের ভেতরেও ঋণ নিচ্ছে। সেই ঋণের পরিমাণ কত? যে ঋণ আমরা বিদেশ থেকে নিই, তার দ্বিগুণ আমরা দেশ থেকে নিই। সরকারের এখন যে ঋণের পরিমাণ তার দুই-তৃতীয়াংশ অভ্যন্তরীণ ঋণ, সেটিই বড় বিষয়। সরকারের দায়-দেনা পরিস্থিতি বুঝতে হলে বৈদেশিক ঋণের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ঋণও দেখতে হবে। বৈদেশিক ঋণের কারণে মাথাপিছু দায়-দেনা যদি ৩১০ ডলার হয়, অভ্যন্তরীণ ঋণ যোগ করলে সেটা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৮৫০ ডলার। উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ঋণ পরিশোধের ক্যাপাসিটি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, রেভিনিউ বাজেট থেকে উন্নয়ন প্রকল্পকে অর্থায়ন করতে একটা পয়সাও দিতে পারে না। আমরা প্রতারণামূলক বাস্তবতা বা ইউলিসিভ রিয়েলিটিতে আছি।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমরা পাবলিক (সরকারি) ও পাবলিকলি গ্যারান্টিযুক্ত (জামানত) ঋণের দায়বদ্ধতার একটি বড় অংশ পরিশোধের জন্য আবার ঋণ নিচ্ছি। তাই দ্রæত অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণ এবং ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার হার বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গত ২০২৩ সালের জুন শেষে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদেশি ঋণ ছিল ৯৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার, যা গত সেপ্টেম্বরে ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। বিদেশি ঋণ-জিডিপি অনুপাত ২১ দশমিক ৬ শতাংশ ‘তুলনামূলকভাবে বেশি না হলেও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ঋণ পোর্টফোলিওর (ঋণের বিভিন্ন উৎস) গঠন দ্রæত পরিবর্তিত হচ্ছে। ঋণের শর্তাবলিও আরও কঠোর হচ্ছে। বিশেষ করে জিডিপি, রাজস্ব আয়, রপ্তানি, রেমিটেন্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্গে তুলনা করলে বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের দায়বদ্ধতা দ্রæত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা অর্থনীতিতে উদ্বেগ আকারে দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশের রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত বিশ্বের সর্বনিম্নের কাতারে জানিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এর সঙ্গে ঋণ বহনের সক্ষমতা ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা উদ্বেগ তৈরি করেছে। দিন শেষে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ, যা অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি উভয় ঋণ পরিশোধের জন্য বিবেচনা করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শুধুমাত্র সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। চাহিদাজনিত কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বড় ভ‚মিকা রাখলেও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে সরবরাহের ঘাটতি থেকে। এ অবস্থায় উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো গেলই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিলের ঋণ সহায়তার অংশ হিসেবে আরোপ করা শর্তগুলোর মধ্যে প্রধান তিনটি শর্ত উল্টো মূল্যস্ফীতি বাড়াতে ভ‚মিকা রাখছে। আইএমএফ ফ্লেক্সেবল বিনিময় হার, সুদের হার বাড়ানো আর সংকোচনমূলক মূদ্রানীতির কথা বলে থাকে। এই পলিসি পরিপালন করে প্রায় ৫০ বছরে আর্জেন্টিনায় কোন উন্নতি হচ্ছে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলছে। বাড়তি চাহিদার কারণে মূল্যস্ফীতি হলে এই পলিসি কাজে লাগতে পারত। বাস্তবতা হচ্ছে এখানে সরবরাহে সঙ্কট থাকায় মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। সাপ্লাই বাড়ান, উৎপাদন বাড়ান, পণ্য বাড়ান, ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দেন, এতেই মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। ডলারের বিনিময় হার বাড়লে আমদানি কমে রফতানি বাড়বে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। তবে এর সঙ্গে রফতানির সক্ষমতাও বাড়তে হবে। ডলারের দাম ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও রফতানি দ্রæত বাড়বে না। টাকার অবমূল্যায়ন সব সময় সুফল নাও আনতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা বাড়তি ব্যয় ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দেন। এর ফলে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ভুল আর সংস্কারের অভাবে এমনটা হচ্ছে। টাকার মান ৮০-৮১ টাকায় ধরে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। এই অবস্থাপনার কারণে এক সাথে টাকার মান ৩০ শতাংশের বেশি পতন হয়েছে। ব্যাংকিং খাতের রিফর্ম উল্টো পথে চলে গেছে। রাজস্ব বোর্ডের রিফর্ম. রেভিনিও জেনারেশনে রিফর্ম ও ব্যাংকিং সেক্টরে রিফর্মও নিশ্চিত করতে হবে।

বিদেশি ঋণের সঠিক ব্যবহারের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব বিচার বিবেচনায় প্রকল্প নিতে হবে। সেই প্রকল্পগুলো আমাদের কাজে লাগবে কিনা তা দেখতে হবে। আবার প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা আছে কিনা তাও দেখতে হবে। বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে ইউটিলাইজেশানের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। কম সুদে বিদেশি ঋণ পাওয়ার সুযোগ কমে আসছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কমার্শিয়াল ঋণের রিস্ক প্রিমিয়াম অনেক বেশি। দুর্নীতি আর ওয়েস্টেজের কারণে এমনটা হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এনসিসি ব্যাংকের (ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল আমিন বলেন, বিদেশি ঋণ ব্যবস্থাপনায় এবং ঋণ কাজে লাগানোর বিষয়েও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে ঋণের সুদের হার, গ্রেস পিরিয়ড, সার্ভিস চার্জ, কমিটমেন্ট ফি, ফন্ট অ্যান্ড ফিসহ বেশকিছু বিষয়ে দর কষাকষির সক্ষতা বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

আবদুল মোনেম ইকনোমিক জোনের পরিচালক আব্দুল গফুর বলেন, গত এক দশকের বেশি সময় ধরে জিডিপি আট শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। লক্ষ্য অনুযায়ী, এটা ১৬ শতাংশে নিয়ে যেতে পারলে দেশের অর্থনীতির চেহারা একেবারেই পরিবর্তন হয়ে যেতো। কেন এত বছর ধরে কর আহরণে ব্যর্থতা রয়েছে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে সরাসরি বিদেশি সহায়তার ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২-৩ বিলিয়ন ডলার এফডিআই আসে, যেখানে ইন্দোনেশিয়ায় ৭ বিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়ায় ৮ বিলিয়ন ডলার, ভিয়েতনামে ২৫ বিলিয়ন ডলার পায়। সরকার সব ধরনের সম্ভাবনা বিবেচনায় ১০০টি ইকোনমিক জোনের কথা বলেছে। তবে বাস্তবতা হলো, ৫-১০টি ছাড়া বাকি ইকোনমিক জোনগুলো এখনও প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট শামস মাহমুদ বলেন, তিনটি জিনিস ঠিক না হলে অর্থনীতি ঠিক হবে না। আজকের দিনে স্বেচ্ছায় ঋণ খেলাপির সঙ্গে ক্রেডিট কার্ডেও স্বেচ্ছায় খেলাপি দেখা যাচ্ছে। মুদ্রার বিনিময় হারের ব্যবধান দূর করতে হবে। ঈদের আগে ব্যাপক হারে রেমিট্যান্স এলেও এখন দেখা যাচ্ছে না। কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম ১২০ টাকার বেশি হলেও ফরমাল সেক্টরে অনেক কম। তিনি বলেন, আরএমজি (রেডিমেট গার্মেন্ট) রফতানিকারক হিসেবে আমরা দেখছি, এলডিসি (লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রিজ) থেকে উত্তরণের পর কিছু সুবিধা থাকবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে। অন্য দেশের মধ্যে এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া শুল্ক সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় একেবারেই অগ্রগতি নেই এ সেক্টরে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions