ডেস্ক রির্পোট:- ৩০ হাজার টাকা ভাতা এবং কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ৪ দফা দাবিতে একযোগে সারা দেশের প্রায় সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছে পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টর এসোসিয়েশন এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। ২৫ থেকে ২৯শে মার্চ পর্যন্ত পূর্ণ কর্মবিরতি (ক্যাজুয়ালিটিসহ) এবং কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তারা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আশানুরূপ ফলাফল না আসায় ৫ দিনের এই পূর্ণ কর্মবিরতি এবং কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টর এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাকির হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুন্নবী এক বিবৃতিতে জানান, ২৪শে মার্চ আমাদের ৪ দফা দাবির প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎকালে আশানুরূপ ফলাফল না আসায় ২৫ থেকে ২৯শে মার্চ পর্যন্ত পূর্ণ কর্মবিরতি (ক্যাজুয়ালিটিসহ) এবং কর্মসূচি পালনের পালন করবেন তারা। তবে ভুটানের রাজার সফর থাকার কারণে দেশের ভাবমূর্তির বিবেচনায় গতকাল ঢাকায় কোনো কর্মসূচি দেয়া হয়নি। কিন্তু ঢাকার বাইরে সকল মেডিকেল কলেজে ট্রেইনি এবং ইন্টার্ন ডাক্তারদের সমন্বিত কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এদিকে গত রোববার সকাল থেকে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে এই কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে দেশ জুড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা। শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সদস্যরা কর্মবিরতি পালন করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসক না থাকায় সেবা নিতে সমস্যা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
রোগীদের ভোগান্তিও পোহাতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা নানা কারণে ব্যস্ততা দেখাচ্ছেন। চিকিৎসকদের দাবিগুলো হলো-ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা ৩০ হাজারে উন্নীত করা, বকেয়া ভাতা পরিশোধ, বিএসএমএমইউ-এর অধীনে ১২টি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের ভাতা চালু এবং চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন সংসদে পাস ও বাস্তবায়ন।