ডেস্ক রির্পোট:- বিভিন্ন রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকদের সম্মানে আয়োজন করা জাতীয় পার্টির ইফতারে উল্লেখযোগ্য কোনো রাজনীতিবিদ এবং কূটনীতিকদের দেখা যায়নি।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে অনুষ্ঠিত এ ইফতার পার্টিতে খোদ দলের সব শীর্ষনেতারাও উপস্থিত ছিলেন না।
দলটির দপ্তর সূত্র জানায়, এ ইফতারে শরিক হওয়ার জন্য রমজানের আগে থোকে দাওয়াতপত্র বিলি শুরু করে।
জাতিসংঘ, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মান, চীনসহ সকল দূতাবাসে জাপার দাওয়াতপত্র পাঠালেও বেশিরভাগ রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার উপস্থিত হননি।
তবে, আমেরিকান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূত, রুশ দূতাবাস, তুর্কিয়েসহ কয়েকটি দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধি ইফতার মাহফিলে অংশ নেন।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং সুশীল সমাজের অসংখ্য ব্যক্তিবর্গকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও জাতীয় পার্টি (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর অব. আব্দুল মান্নান এবং আসিফ নজরুল ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি।
জাপার এক প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, গত বছর নির্বাচনী বছরের সুযোগ নিয়ে জি এম কাদের পার্টির এক প্রেসিডিয়াম সদস্যকে ইফতার পার্টির যাবতীয় খরচ বহন করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে কাঙ্ক্ষিত ২৬ আসনে তার নাম না আসায় এবার কেউ ইফতার মাহফিলে আর্থিক সহযোগিতা করেননি।
ইফতারের পূর্বে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, বিশ্ব আজ এক ভয়াবহ সংকট অতিক্রম করছে। হিংসা, বিদ্বেষ, অসহযোগিতা, অসহনশীলতা, অন্যায্যতা, অমানবিকতায়পূর্ণ আমাদের বিশ্বব্যবস্থা।
তিনি আরও বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অপুষ্টিতে অগণিত মানুষ আজ দিশেহারা। সমাজে বৈষম্য আজ প্রকট আকার ধারণ করেছে। জরুরি ভিক্তিতে এ সকল সংকটের সমাধান প্রয়োজন ।
তিনি বলেন, মানুষ হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। সশস্ত্র সহিংসতা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত জেনেভা ঘোষণা অনুযায়ী, সশস্ত্র সংঘাত এবং সহিংসতার কারণে প্রতি বছর ৫ লাখ ২৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। এ দ্বন্দ্ব সংঘাতে শুধু মানুষই মারা যাচ্ছে না লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ বছরের পর বছর নিজ ঘর বাড়ি ছেড়ে দেশান্তরিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদন অনুযায়ী নিপীড়ন, সংঘাত, সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা জনশৃঙ্খলাকে গুরুতরভাবে বিঘ্নিত করার ঘটনাগুলোর ফলে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ১০৮.৪ মিলিয়ন মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, এটিইউ তাজ রহমান লিয়াকত হোসেন খোকা, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, মোমান মিয়া প্রমুখ।