শিরোনাম
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় আন্তর্জাতিক চাপে সরকার বাংলাদেশ নিয়ে আমার মন্তব্য বিজেপি বিকৃত করেছে-মমতা ব্যানার্জি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ্যে,পাল্টাপাল্টি দোষারোপ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ কোটা সংস্কার আন্দোলন চিকিৎসাধীন তিনজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ২০৬,ছুটির দিনেও রাজধানী ফাঁকা এএসআই মোক্তাদিরের ওপর নৃশংসতায় স্তব্ধ পরিবার সারা দেশে অভিযান,এলাকা ভাগ করে ‘ব্লক রেইড’ ‘গুলি আর কারা করবে, আমরা নিরস্ত্র ছিলাম’-মিফতাহ সিদ্দিকী ‘এত মৃত্যু দেখে কেউ চুপ থাকতে পারে না’ কোটা বিক্ষোভ দমনের পর প্রান্তসীমায় বাংলাদেশ,ক্রাইসিস গ্রুপের রিপোর্ট

জাতীয় কাউন্সিলের ভাবনা বিএনপিতে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪
  • ১৫৩ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন সামনে রেখে সংগঠন পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরুর মধ্যে জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে ভাবছে বিএনপি। দীর্ঘ প্রায় আট বছরেও কাউন্সিল হয়নি দেশের অন্যতম বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলটির। এমন প্রেক্ষাপটে কাউন্সিল করা উচিত বলে মত আসছে বিএনপিতে। এর মধ্য দিয়ে বিগত আন্দোলন ঘিরে ‘ব্যাকফুটে’ চলে যাওয়া দল এবং সারা দেশের নেতাকর্মীরা চাঙ্গা ও উজ্জীবিত হতে পারে বলে নীতিনির্ধারকদের অনেকের অভিমত। গত সোমবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এমন আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানানো হয়নি। নীতিনির্ধারকদের আগামী বৈঠকে কাউন্সিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১৬ সালের ১৯ মার্চ হয়েছিল বিএনপির সর্বশেষ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল। অথচ দলটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর সম্মেলন (কাউন্সিল) করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচন করার কথা। এই সময়ের মধ্যে দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারবিরোধী একটি আন্দোলনও করেছে দলটি। তবে নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল করতে না পারার জন্য সরকারের দমন-পীড়নকেই দায়ী করছে বিএনপি।

বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলের প্রায় পাঁচ মাস পর ২০১৬ সালের ৬ আগস্ট স্থায়ী কমিটির ১৭ সদস্যসহ ৫০২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। এর পাশাপাশি ঘোষণা করা হয় ৭৩ সদস্যের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের নামও। এর মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের অনেক নেতা মারা গেছেন। কেউ কেউ পদ-পদবি থেকে বাদ পড়েছেন। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির ১৩০টির মতো পদ এখন শূন্য। এ ছাড়া বয়সজনিত কারণেও কয়েকজন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয়। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে বর্তমানে পদ রয়েছে ১৯টি। এর মধ্যে এখন পাঁচটি পদ খালি রয়েছে। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দুটি শূন্যপদ পূরণ করা হয়েছে।

বিএনপির বিগত আন্দোলন ব্যর্থতায় ঘুরে দাঁড়াতে সংগঠন পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন হাইকমান্ড। এর অংশ হিসেবে গত শুক্রবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দলটির সংগঠন পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

জানা গেছে, বৈঠকে আলোচনার শেষ পর্যায়ে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জাতীয় কাউন্সিলের প্রসঙ্গটি সামনে আনেন। তিনি অভিমত দেন, যেহেতু অনেক দিন বিএনপির কাউন্সিল হয়নি, এখন কাউন্সিল করা যেতে পারে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত। তবে চাইলেই তো আর কাউন্সিল করা যাবে না। এ জন্য প্রস্তুতির ব্যাপারও রয়েছে। সিদ্ধান্ত হলে কাউন্সিল অনুষ্ঠানে বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে।

বৈঠক সূত্র জানায়, কাউন্সিল নিয়ে এমন প্রস্তাবনার পর স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠকে অনুপস্থিত। আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।

বৈঠকে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগের বৈঠকে এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দলটি। যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে আলোচনার পর যে কোনো সময় এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর যুগপতের শরিকদের সঙ্গে এ নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে। সূত্রমতে, রমজান শুরুর আগেই এ বিক্ষোভ কর্মসূচি আসতে পারে। সর্বশেষ গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী ৬ দিনের যুগপৎ কর্মসূচি পালিত হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তি, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বাতিল এবং একদফা দাবিতে তখন লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করা হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান গতকাল ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, দেশকে বাঁচাতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। জনগণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে বিএনপি। খুব শিগগির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এদিকে আন্দোলন ব্যর্থতায় সারা দেশে ঝিমিয়ে পড়া সংগঠন ও ‘হতাশাগ্রস্ত’ নেতাকর্মীদের চাঙ্গা ও উজ্জীবিত করতে আসন্ন রমজানে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ইফতার মাহফিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাংগঠনিক জেলাগুলোর ইফতারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। দলের সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা এখন জেলা নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়টি সমন্বয় করছেন। এবার কেন্দ্রীয়ভাবে বৃহৎ পরিসরে চার থেকে পাঁচটি ইফতার মাহফিল করবে বিএনপি। এরই মধ্যে দুটি ইফতারের শিডিউল চূড়ান্ত হয়েছে। প্রথম রমজানে এতিম ও আলেম-ওলামাদের সম্মানে ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে এবং ২৮ মার্চ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে একই স্থানে ইফতার মাহফিল হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ইফতার মাহফিল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions