ডেস্ক রির্পোট:- নিবেদিত নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় ‘খাস’ কমিটি গঠন করতে চায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। পাঠ্যপুস্তক, ট্রান্সজেন্ডারসহ কয়েকটি ইস্যু সামনে রেখে ঘোষণা করতে চায় কর্মসূচি। এ ব্যাপারে ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন ডাকা হলেও শেষ পর্যন্ত তা পেছানো হয়।
মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সব মামলা প্রত্যাহার এবং নেতাদের মুক্তির বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই চলছে তীব্র অসন্তোষ।’
কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিবেদিত নেতাদের নিয়ে ‘খাস’ কমিটি করতে চায় কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠনটি। এর মাধ্যমে প্রাণ ফেরাতে চান কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সব মামলা প্রত্যাহার এবং নেতাদের মুক্তির বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই হেফাজতের অভ্যন্তরে চলছে তীব্র অসন্তোষ। এ অসন্তোষ যে কোনো সময় গণবিস্ফোরণে রূপ নিতে পারে।’ হেফাজতের আরেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, ‘মুমিনদের অন্তরে আঘাত দিয়ে ইসলামবিদ্বেষী পাঠ্যপুস্তক ও ট্রান্সজেন্ডার সংস্কৃতি বাস্তবায়িত হোক, তা আমরা চাই না। চলমান দুই ইস্যু ও নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের মুক্তি নিয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করব। সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’ জানা যায়, সরকার ও হেফাজতের মধ্যে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ‘উষ্ণ সম্পর্ক’ চলছে। এ সম্পর্ক পুঁজি করে কারাবন্দি সিংহভাগ নেতার মুক্তির ব্যবস্থা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু নির্বাচনের আগে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানার ২০৩টি মামলা প্রত্যাহার ও ঘন ঘন হাজিরা বাতিলের দাবিতে বেঁকে বসেন হেফাজত নেতারা। এরই মধ্যে নতুন করে যুক্ত হয়েছে জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিষয়াদি ও ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু। এ দুই ইস্যুতে ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে তা বাতিল করে ১৩ ফেব্রুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম ও ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে মাঠ গরম করার চেষ্টা করছেন হেফাজতে ইসলামের কেউ কেউ। তাদের এমন তৎপরতার খবর পেয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার। তাদের কর্মকাণ্ড পুরোপুরি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।