চিলিতে ভয়াবহ দাবানলে ৯৯ জনের মৃত্যু

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৯২ দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির মধ্যাঞ্চলের একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ঘিরে তীব্র দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে এ দাবানলের ঘটনায় ৯৯ জন নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১ হাজার ১০০ বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইতোমধ্যে দেশটিতে জরুরি অবস্থা চলছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক বলেছেন, সামনের কয়েক ঘণ্টায় নিশ্চিতভাবেই নিহতের সংখ্যা বাড়বে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা বলেছেন, বর্তমানে দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ৯২টি দাবানল অব্যাহত রয়েছে। আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস ও জরুরি বিভাগের কর্মীরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিসের দলের সঙ্গে ১৯টি হেলিকপ্টারও কাজ করছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক দাবানলটি ভালপারাইসো অঞ্চলে দেখা দিয়েছে। সেখানকার কুইলপু ও ভিলা আলেমানা শহরের কাছে শুক্রবার থেকে চলা দাবানলে কমপক্ষে ১৯ হাজার ৭৭০ একর বনাঞ্চল পুড়ে গেছে। ইতোমধ্যে রিসোর্টের জন্য পরিচিত উপকূলীয় শহর ভিনা দেল মার দাবানলের কারণে পুড়ে যাওয়ার হুমকিতে রয়েছে। সেখানকার অনেক বাসিন্দাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকে এলাকা ছেড়েও চলে গেছেন। দাবানলে বাড়ি হারানোদের একজন রোলানদো ফার্নান্দেজ সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ‘আমি ভিনা দেল মারে ৩২ বছর ধরে থাকি। এমন কিছু আমি কখনো কল্পনাও করিনি। আমি সারা জীবন এখানেই কাজ করেছি। এখন আমার কিছুই নেই।’

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দাবানল পাহাড়ে জ্বলছে। যেখানে পৌঁছানো ফায়ার সার্ভিসের জন্য কঠিন। ফলে তা দ্রুতই ভিনা দেল মার দিকে এগিয়ে আসছে। সেখানকার বাসিন্দাদের বাড়িঘর ছেড়ে না যাওয়ার অনুরোধও করেছে কর্তৃপক্ষ, যাতে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সগুলো নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে।

কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, দাবানলের বহু এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ভালপারাইসো অঞ্চলের ৪টি হাসপাতাল ও বৃদ্ধদের ৩টি নার্সিং হোম খালি করতে হয়েছে। ইতোমধ্যে দাবানলে দুটি বাস টার্মিনাল পুড়ে গেছে। চলতি সপ্তাহে দেশটিতে অস্বাভাবিক গরম পড়ছে। এমন অবস্থায় ক্যারলিনার শঙ্কা, পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

চিলিতে দাবানল নতুন কিছু নয়। তবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে যে জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে, তাতে দেশটিতে দাবানলের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। এ ছাড়া এল নিনোর কারণেও এ বছর দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিমে খরা ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে গরম বেশি পড়েছে। গত জানুয়ারিতে কলম্বিয়ায় দাবানলে ৪২ হাজার একরেরও বেশি বনাঞ্চল পুড়ে গিয়েছিল। সূত্র: সিবিএস

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions