আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- ইরাকে মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনাদের প্রত্যাহার নিয়ে প্রথম দফা আলোচনা শেষ করেছে বাগদাদ ও ওয়াশিংটন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাগদাদ আশা করছে আলোচনার মাধ্যমে বিদেশি সেনাসংখ্যা কমিয়ে আনার বা পুরোপুরি প্রত্যাহার করার একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা যাবে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী শিয়া আল সুদানির কার্যালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে শনিবারের বৈঠকটির বিষয়ে জানানো হয়েছে, সেনা প্রত্যাহারসংক্রান্ত প্রথম দফা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, ইরাকি সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
তবে আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে বিবৃতিতে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাগদাদের আহ্বানেই ২০১৪ সালে ইরাকে ঘাঁটি স্থাপন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অবসান ঘটলেও এখনো ইরাকে ২ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। ইরাকি সরকার এখন আনুষ্ঠানিকভাবে এই মিশনের সমাপ্তি চাইছে। আল জাজিরা শনিবার হওয়া এই বৈঠককে এ ইস্যুতে বাগদাদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে প্রথম আলোচনা হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গত বছরই মিশনের সমাপ্তির শর্তাবলি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি কমিটি গঠনের লক্ষ্য নিয়ে প্রথম বৈঠক হয়েছিল। তবে ওই বৈঠকে ইরাকি প্রতিনিধি ছিল কি না তা স্পষ্ট নয়।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন অবস্থানে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হামলা চালাচ্ছে। মার্কিন সেনারাও ইরাকের বিভিন্ন স্থানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে। বাগদাদের কর্মকর্তারা মার্কিন সেনাদের সামরিক তৎপরতাকে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করছে।
এর আগে ২০২০ সালে ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাশেম সোলায়মানি বাগদাদ বিমানবন্দরের বাইরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন। সে সময়ও ইরাক থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের দাবি উঠেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা দেশটিতে থেকে যায়। সূত্র: আল জাজিরা