ডেস্ক রিরোট:- মিজোরামের স্বরাষ্ট্র দফতর লংলেই এবং মামিত জেলার দুই পুলিশ সুপারকে লংলেই ও মামিত জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে অবস্থিত জেএসএস সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উপস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে।
মিজোরামের সীমান্তবর্তী দুইটি জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএসের সশস্ত্র সদস্যরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বলে পিস অ্যাকর্ড এমএনএফ রিটার্নিজ অ্যাসোসিয়েশন (পামরা) নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলার পর রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর এই নির্দেশ দিয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে পামরা দাবী করেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন চাকমা বিদ্রোহী গ্রুপ জেএসএস সন্ত্রাসীরা মিজোরামের সীমান্তবর্তী জেলা লংলেইতে ৬টি এবং মামিত জেলায় দুইটি সশস্ত্র প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পরিচালনা করছে।
বিবৃতিতে দাবী করা হয়, সীমান্তবর্তী এলাকায় জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের এই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উপস্থিতি স্থানীয় নাগরিক ও মিজোরামের নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকির সৃষ্টি করবে। তাই তারা দ্রুত এসব ক্যাম্প বন্ধের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানায়।
মিজোরাম স্বরাষ্ট্র দফতরের বিশেষ দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ডেভিড লালথাংলিয়ানা নর্থ ইস্ট লাইভকে জানিয়েছেন, আমরা গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে মিজোরামের সীমান্তের ভেতরে বিদেশী ইনসার্জেন্ট গ্রুপের অবস্থানের ব্যাপারে পামরার অভিযোগ পেয়েছি।
এ ব্যাপারে অত্যন্ত দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মিজোরামের ডিজিপির মাধ্যমে দুইজন পুলিশ সুপারকে অভিযুক্ত স্থানগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে একটি রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নর্থ ইস্ট লাইভের সংবাদদাতা ডেলিডিয়া ফানাই এই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পগুলো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত এবং গ্রামগুলো চাকমা অধ্যুষিত।
তিনি এ অভিযোগের ব্যাপারে পামরার সাথে কথা বলেন। একজন পামরা নেতা তাকে বলেন, এই মূহুর্তে তাদের কাছে এই প্রশিক্ষণের কোনো ছবি নেই। তবে শীঘ্রই তারা উক্ত ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত সন্ত্রাসীদের পাসিং আউট প্যারেডের ছবি প্রকাশ করবে।
পরে সংবাদ মাধ্যমটির ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত সংবাদে উক্ত প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণের একটি ছবি সংযুক্ত করা হয়।