ডেস্ক রিরোট:- বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিপুল সৈন্য পাঠিয়েছে দেশটির জান্তা বাহিনী। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স।
রবিবার এক বিবৃতিতে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়।
রাখাইনের আরাকান আর্মি ও আরও দুটি সশস্ত্র দল এক হয়ে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামে একটি জোট গঠন করেছে। এই জোটের যোদ্ধারা গত অক্টোবর থেকে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানো শুরু করে। তাদের হামলার তীব্রতা টিকতে না পেরে জান্তা বাহিনীর সেনারা একাধিক স্থান থেকে পালিয়ে গেছে। এর মধ্যে রাখাইন রাজ্যও ছিল। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যের দখল নিতে সেখানে আবারও সংগঠিত হচ্ছে জান্তা বাহিনী।
থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতির প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়।
ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, আরাকান আর্মির যোদ্ধারা রাখাইনে আক্রমণাত্মক অবস্থানে আছে। আকাশ, নৌ ও স্থলপথে আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালানো হলেও তারা জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে বিভিন্ন অঞ্চল দখলে নিয়েছে।
জোটটি আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী চীন রাজ্যের পালেতওয়া থেকে যে ৪০০ সেনা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল, রাখাইনে তাদের আবারও মোতায়েন করা হয়েছে। রাখাইনে জান্তা বাহিনীর কাছে সাগরপথে প্রচুর পরিমাণ গোলাবারুদ ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাখাইনের ছয়টি শহরের দখল নিয়ে গত রবিবার জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে প্রচণ্ড সংঘাত হয়েছে। সোমবারও এ হামলা অব্যাহত ছিল। আরাকান আর্মির যোদ্ধারা দানবতীতে নৌবাহিনীর হেডকোয়ার্টারেও হামলা চালিয়েছে, যা দেশটির নৌ স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম বড়। এই হেডকোয়ার্টারটি যেখানে অবস্থিত, সেখানে চীনের একটি বৃহৎ প্রকল্পের কাজ চলছে। নৌবাহিনীর স্থাপনায় হামলার পর একটি গানবোট আশপাশের অঞ্চলে নির্বিচারভাবে গোলাবর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে রাখাইনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। সূত্র: ইরাবতি