ডেস্ক রির্পোট:- হামলা ও পাল্টা হামলার পর পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকারের কার্যালয়। খবর বিবিসি।
গত সপ্তাহে পরস্পরের সীমানার ভেতরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে প্রতিবেশী দেশ দুটির সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়। এ সময় দেশ দুটি নিজ নিজ রাজধানী থেকে আরেক দেশের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে।
এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় দুই দেশের রাষ্ট্রদূতই পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ১৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের সীমানার ভেতরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ওই সময় দুই শিশু নিহত হয়। এরপর ১৮ জানুয়ারি ইরানের সীমানার ভেতরে হামলা চালায় পাকিস্তান। তখন তেহরান জানায়, এ আক্রমণে সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে নয়জন নিহত হয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশের হামলা ও পাল্টা হামলাকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক সম্পর্কে অবনতির আশঙ্কা তৈরি হলে গতকাল শুক্রবার পাকিস্তান আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আগ্রহ প্রকাশ করে। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে ফোনালাপের সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রস্তাব তোলেন।
পরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “দ্বিপাক্ষিক বিশ্বাস ও সহযোগিতার ভিত্তিতে ইরানের সঙ্গে ‘সব বিষয়ে’ কাজ করার জন্য পাকিস্তানের আগ্রহের বিষয়টি ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিলানি।”
“তারা (পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা) পরিস্থিতি স্তিমিত করার বিষয়েও রাজি হন। দুই দেশের রাষ্ট্রদূতরা যেন অপর দেশের রাজধানীতে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারেন, সে বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে।”
অবশ্য বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিলেও ইরানের পক্ষ থেকে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।