স্পোর্টস ডেস্ক:- প্রায় দুই যুগের পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সমাপ্তির ঘোষণা দিলেন শন মার্শ। গত বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেয়া শন মার্শ খেলছিলেন কেবল টি-টোয়েন্টি। এবার সব ধরনের ক্রিকেটেই ইতি টেনে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। চলতি বিগ ব্যাশ লীগে মেলবোর্ন রেনেগেডসের শেষ ম্যাচ দিয়েই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরে যাবেন ৪০ বছর বয়সী অজি তারকা। আসরে রেনেগেডসের শেষ ম্যাচ আগামী বুধবার, সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে। ২০১৯ সালের পর কোনো সংস্করণেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাঠে নামেননি শন মার্শ। তবে তার ছোট ভাই মিচেল মার্শ এখন অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। দেশটির সাবেক ক্রিকেটার জিওফ মার্শের ছেলে তারা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩৮ টেস্টে ৬ সেঞ্চুরিতে ২ হাজার ২৬৫ রান সংগ্রহ শন মার্শের। ৭৩ ওয়ানডেতে তার রান ২ হাজার ৭৭৩, সেঞ্চুরি সাতটি।
টোয়েন্টিতে ১৫ ম্যাচে রান কেবল ২৫৫। জাতীয় দলের হয়ে এই সংস্করণে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সফল শন মার্শ। অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশে এখন পর্যন্ত ৭৯ ম্যাচ খেলে তার রান ২ হাজার ৮১০। প্রতিযোগিতাটির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তার অবস্থান ষষ্ঠ। ভারতীয় টুর্নামেন্ট- আইপিএলেও বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের (এখনকার পাঞ্জাব কিংস) হয়ে ৯ মৌসুম খেলে ৬৯ ইনিংসে ২ হাজার ৪৭৭ রান করেছেন টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। সব মিলিয়ে ২১৫ স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি খেলে মার্শ করেছেন ৭ হাজার ৫০ রান। ২ সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি করেছেন ৫৭টি। গড় ৩৭.৯০ ও স্ট্রাইক রেট ১২৮.৫৩।
২০২২ সালের মার্চে সবশেষ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলা মার্শ এই সংস্করণে ১৭৭ ম্যাচে রান করেছেন ৭ হাজার ১৫৮। সেঞ্চুরি ১৯টি, ফিফটি ৩৮টি। ২০০০-২০০১ মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দিয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন মার্শ। গত বছরের মার্চে তিনি বিদায় বলে দেন ১৮৩ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারকে। এই সংস্করণে তার রান ৩২ সেঞ্চুরি ও ৫৮ ফিফটিতে ১২ হাজার ৩২।
রেনেগেডস সতীর্থ অ্যারন ফিঞ্চ পেশাদার ক্রিকেটকে বিদায় বলার একদিন পরই নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মার্শ। ২০১৯-২০২০ মৌসুমে পার্থ স্কর্চার্স থেকে রেনেগেডসে যোগ দেন মার্শ। চলতি মৌসুমে মেলবোর্নের দলটির হয়ে দারুণ সময় কাটছে তার। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ৪৫.২৫ গড় ও ১৩৮.১৬ স্ট্রাইক রেটে করেছেন করেছেন ১৮১ রান। শনিবার ফিঞ্চের বিদায়ী ম্যাচে তার ৪৯ বলে ৬৪ রানের ইনিংসটি রেনেগেডসের জয়ে বড় অবদান রাখে।