চট্টগ্রাম:- চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডার খ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলে শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকে বোরো বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বিগত আমন মৌসুমে আশানুরূপ ফলন হয়নি।
তাই এবার সে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।
কৃষকরা জানান, গত বোরো মৌসুমে উৎপাদিত ধানের ভালো দাম পাওয়া গেছে।
এরই মধ্যে ৬০ ভাগ বীজতলা তৈরি হয়ে গেছে। দুয়েক সপ্তাহ পর ধানের চারা রোপণের কাজ শুরু হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গুমাই বিলে গত আমন মৌসুমে ৩ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে গড়ে সাড়ে ৫ টন ধান পাওয়া গেছে। বিক্রি করে ভালো দাম পেয়েছেন কৃষকরা। এবার ৮ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আবাদকৃত জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রীধান-৮৮, ৮৯, ৯২, ১০০ (বঙ্গবন্ধু), ব্রীধান-৭৪, হীরা ১, ২, তেজগোল্ড, সুরভী- ১, সিনজেন্টা ১২০২ ও ১২০৫ জাত, কৃষিবিধ হাইব্রিড ধান ১ ও ২, এসএলএইট এইট, সুপার স্বর্ণা গোল্ড, এসিআই-২, মাহিকো ১। এ ছাড়া স্থানীয় উন্নত জাতের মধ্যে কাটারি ধানও চাষ হচ্ছে। জানুয়ারির শেষ দিকে চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু হবে।
গুমাই বিলের চন্দ্রঘোনা পাটানপাড়া গ্রামের কৃষক নুরুল হক বলেন, বিগত মৌসুমে বন্যা, পোকার আক্রমণসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমনের ভালো ফলন পেয়েছি। তাই বোরো মৌসুমে এবার ৩ কানি জমিতে চাষাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখনও বীজতলার চারা রোপণের উপযুক্ত হয়নি। আরও ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে। চলতি মাসের শেষের দিকে জমিতে চারা রোপণ শুরু করবো।
আধুরপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুস সালাম জানান, চাষের উপযোগী করা হচ্ছে জমি। এবার এক কানি জমিতে বোরো ধান চাষ করবো। কৃষি অফিসের পরামর্শে কুয়াশায় যাতে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কাজ করছি। উন্নত জাতের বীজের আবাদ হওয়ায় এবার বোরোর ফলন হেক্টর প্রতি ৬-৭ টন হতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, বোরো চাষে কৃষকদের উৎসাহ জোগাতে উন্নত জাতের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বীজতলা তৈরি থেকে চারা রোপণ কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে।