শিরোনাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সব নির্বাচন চান সম্পাদকরা রাজপথে পরিকল্পিত নৈরাজ্য,হাসিনার ষড়যন্ত্রে একের পর এক অস্থিরতার চেষ্টা প্রতিষ্ঠানের মালিকানা হারাচ্ছেন বড় গ্রুপের প্রভাবশালীরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঘুষের সিন্ডিকেট,বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার সঙ্গে দেনদরবারেও জড়িত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ ডিসেম্বরে বাংলাদেশ-ভারত বৈঠকের প্রস্তুতি, হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা বিচারের পর আ.লীগকে নির্বাচনে স্বাগত জানানো হবে-টাইম ম্যাগাজিনকে ড. ইউনূস আগামী নির্বাচন নিয়ে দিল্লি ভয়ংকর পরিকল্পনা করছে: জাগপা নেতা রহমত নতুন সিইসি নাসির উদ্দীনের নাম ছিল বিএনপির তালিকায় নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন,জামানত হারালেন চট্টগ্রামে ৯৫ ও খুলনায় ৩০ প্রার্থী

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৮০ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- রোববার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মোট ৯৫ জন ও খুলনার ছয় আসনে মোট ৩০ প্রার্থীর জামানত বাতিল হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ না পেলে কোনো প্রার্থীর জামানত বাতিল হয়।

নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে মোট ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৯৯৫ জন ভোটারের বিপরীতে ভোট পড়েছে ২৩ লাখ ২৩ হাজার ৮৪১টি বা ৩৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এদিকে মোট প্রাপ্ত ভোটের মধ্যে ৭৬ হাজার ৮৭০টি বা ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট বাতিল হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় ও জেলা প্রশাসনের (দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার) কার্যালয় থেকে পাওয়া ফালাফল অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-১ আসনে জামানত বাতিল হয়েছে পাঁচজনের। এছাড়া চট্টগ্রাম-২ আসনে সাতজন, চট্টগ্রাম-৩ আসনে পাঁচজন, চট্টগ্রাম-৪ আসনে ছয়জন, চট্টগ্রাম-৫ আসনে পাঁচজন, চট্টগ্রাম-৬ আসনে চারজন, চট্টগ্রাম-৭ আসনে পাঁচজন, চট্টগ্রাম-৮ আসনে আটজন, চট্টগ্রাম-৯ আসনে ছয়জন, চট্টগ্রাম-১০ আসনে আটজন, চট্টগ্রাম-১১ আসনে পাঁচজন, চট্টগ্রাম-১২ আসনে সাতজন, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে ছয়জন, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ছয়জন, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে পাঁচজন এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনে সাতজনসহ মোট ৯৫ জনের জামানত বাতিল হয়েছে।

চট্টগ্রামে মোট ২৭ প্রার্থীর জামানত বাতিল হয়নি। যারা আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী।

এদিকে খুলনায় ১১টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র ৩৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩০ জনই জামানত হারিয়েছেন।

খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী হাসানুর রশিদ ‘লাঙ্গল’, তৃণমূল বিএনপির চন্দ্র প্রামাণিক ‘সোনালী আঁশ’ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় ‘ঈগল’ প্রতীক; খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে জাতীয় পার্টির মো. গাউসুল আজম ‘লাঙ্গল’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের দেবদাস সরকার ‘ডাব’, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট) বাবু কুমার রায় ‘ছড়ি’, গণতন্ত্রী পার্টির মতিয়ার রহমান ‘কবুতর’, বিএনএম প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন ‘নোঙর’ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাঈদুর রহমান ‘ঈগল’; খুলনা-৩ (দৌলতপুর-খালিশপুর-খানজাহান আলী) আসনে জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ‘লাঙ্গল’, জাকের পার্টির এসএম সাব্বির হোসেন ‘গোলাপ ফুল’ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথী ‘ঈগল’; খুলনা-৪ (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসনে জাতীয় পার্টির মো. ফরহাদ আহমেদ ‘লাঙ্গল’, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান ‘আম’, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান ‘সোনালী আঁশ’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা ‘ডাব’, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দীন খান ‘মিনার’, বিএনএম প্রার্থী এসএম আজমল হোসেন ‘নোঙর’, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জুয়েল রানা ‘ট্রাক’, স্বতন্ত্র প্রার্থী এমডি এহসানুল হক ‘সোফা’, স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচএম রওশন জামির ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজভী আলম ‘ঈগল’ খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনে জাতীয় পার্টির মো. শাহীদ আলম ‘লাঙ্গল’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এসএমএ জলিল ‘ডাব’ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ সেলিম আকতার ‘হাতুড়ি’; খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম মধু ‘লাঙ্গল’, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আবু সুফিয়ান ‘আম’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মির্জা গোলাম আজম ‘ডাব’, বিএনএম প্রার্থী এসএম নেওয়াজ মোরশেদ ‘নোঙর’, তৃণমূল বিএনপির মো. নাদির উদ্দিন খান ‘সোনালী আঁশ’ জামানত হারিয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনেই নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা। এর মধ্যে খুলনা-১ আসনের ননীগোপাল মণ্ডল, খুলনা-২ আসনে সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, খুলনা-৩ আসনে এসএম কামাল হোসেন, খুলনা-৪ আসনে আব্দুস সালাম মুর্শেদী, খুলনা-৫ আসনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ্র ও খুলনা-৬ আসনে মো. রশীদুজ্জামান।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা পালন করবে তৃণমূল বিএনপি—এমনটাই আশা ছিল দলটির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকারের। যদিও নিজ দলের ভরাডুবির পাশাপাশি তিনি নিজেও শোচনীয়ভাবে পরাজিত হলেন। নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের ফলাফলে দেখা গেছে, ১২৮ কেন্দ্রে তৈমুর আলম খন্দকার মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট পাওয়ায় তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

এদিকে আদিতমারী ও কালীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত লালমনিরহাট-২ আসনটিতে টানা সাতবার নির্বাচিত হয়েছিলেন মজিবর রহমান। এর মধ্যে দুবার বিএনপি এবং চারবার জাতীয় পার্টি থেকে। তিনি মারা যাওয়ার পর জাতীয় পার্টির আর কেউ আসনটি ধরে রাখতে পারেননি। এবারের নির্বাচনে এসে জামানত হারালেন লাঙ্গলের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন। লালমনিরহাট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান ৭৬ হাজার ৩৩৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জাবেদ হোসেন পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৯৭ ভোট। তৃতীয় হয়েছেন জাতীয় পার্টির জাহিদ হাসান। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৬১ ভোট। এ আসনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ১ হাজার ১৫৩টি। ফলে জামানত হারিয়েছেন লাঙ্গলের প্রার্থী।

এছাড়া ঝিনাইদহে ১৮ জন, পঞ্চগড়ে সাতজন, যশোরে ২১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় পার্টির চার প্রার্থীর সবাই ও বাগেরহাটে ২১ জন জামানত হারিয়েছেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions