কে আছে, কে নেই—এত কিছু দেখেন না হৃদয়

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৮৩ দেখা হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক:- বিভিন্ন কারণে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের মতো তারকারা নেই। নেই তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন চৌধুরীর মতো তারকা পেসাররাও। যাঁদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ জিতেছে অসংখ্য ম্যাচ, সেই তারকাদের ছাড়া ২০২৩ বিশ্বকাপের পরই যেন শুরু হয়েছে নতুন দিনের বাংলাদেশের পথচলা।

নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব না থাকায় নাজমুল হোসেন শান্তর কাঁধে এখন বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বভার। শান্তর নেতৃত্বে বিশ্বকাপ-পরবর্তী বাংলাদেশ আছে দারুণ ছন্দে। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি—তিন সংস্করণে বাংলাদেশ যে ৭ ম্যাচ খেলেছে, প্রতিটিই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ৭ ম্যাচে ৩টি করে ম্যাচ জিতেছে ও হেরেছে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে। প্রতি সংস্করণেই একটি করে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ, যার মধ্যে এবারের নিউজিল্যান্ড সফরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাঠে সব সংস্করণেই জেতার ‘চক্র পূরণ’ করে বাংলাদেশ। নেপিয়ারে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের ১০ উইকেটের ১০টিই নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। সেই ম্যাচে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দুই পেসার শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং করে তানজিম সাকিব হয়েছিলেন ম্যাচ-সেরা।

এবারের নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড যে দুই টি-টোয়েন্টি হয়েছে, তার মধ্যে শুধু ফল হয়েছে গত বুধবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির। সেই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রায় ১৬ মাস পর ফিরে শেখ মেহেদি হাসান হয়েছেন ম্যাচ-সেরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ বছর যাত্রা শুরু করা রিশাদ হোসেনও দারুণ খেলেছেন টি-টোয়েন্টি সিরিজে। দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬ ওভার বোলিং করে ৩৪ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। আর আগামীকাল মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি জিতলে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়বে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের আগে আজ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তাওহীদ হৃদয়। সাকিব, তামিমদের প্রসঙ্গ এলে হৃদয় বলেন, ‘প্রথমত, যে বড় ভাইরা ছিলেন, তারা দেশের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে তাঁদের মধ্যেও কয়েকজন এখানে থাকতেন, খেলতেন। এটা এমন এক জায়গা, যেখানে সবাই সব সময় থাকবে না। হয়তোবা আমরাও আছি, আমরাও এক সময় থাকব না। দায়িত্ব যখনই যে খেলোয়াড় দেশের জন্য খেলতে নামে, সবাই চায় তার সেরাটা দেওয়ার। খেলোয়াড়েরা যখন মাঠে নামে, তখন জেতার জন্যই নামে। কে আছে, কে নেই আমরা এত কিছু দেখি না।’

তিন ওয়ানডে ও দুই টি-টোয়েন্টি—এবার নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ যে পাঁচ ম্যাচ খেলেছে, তার প্রতিটিতেই একাদশে ছিলেন হৃদয়। তিন ম্যাচ ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে করেছেন ৬৪ রান, যার মধ্যে ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ২৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন। সেই ম্যাচে ষষ্ঠ উইকেটে আফিফ হোসেন ধ্রুবর সঙ্গে ৩৮ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়ায় অবদান রাখেন হৃদয়। তবে সেই ম্যাচে বাংলাদেশ জিততে পারেনি। ওয়ানডে সিরিজের প্রসঙ্গও এসেছে হৃদয়ের কথায়, ‘আরও দেওয়ার ছিল। ভালোর তো শেষ নেই। তার পরও একটা দুর্ভাগ্যজনক রানআউট হয়ে গেছি। ডানেডিনে যে ম্যাচটা খেলেছি, খেলাটা শেষ করা উচিত ছিল। যদি খেলাটা শেষ করতে পারতাম, তাহলে ওই ম্যাচটা হয়তো জিতেও যেতে পারতাম। আমি আর আফিফ ছিলাম সে সময়।’

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions