ডেস্ক রির্পোট:- জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। রোববার (১৯ নভেম্বর) নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের আপিল খারিজের আদেশের পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে জামায়াতের আপিল খারিজ হলেও সংবিধান অনুযায়ী দলটি স্বাভাবিক রাজনীতি করার সুযোগ পাবে। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং হরতালের কারণে আমাদের সিনিয়র আইনজীবী শুনানি মুলতবি করার আবেদন দিয়েছিলেন। এ মামলার আমাদের প্রধান আইনজীবী হচ্ছেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। তার মুলতবির আবেদনটি আদালত আমলে নেননি, খারিজ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আপিল বিভাগ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন মামলার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে যে আপিল করা হয়েছিল সেই আপিলটিও ডিসমিস ফর ডিফল্ট হিসেবে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। ফলে আমাদের আপিলটি ডিসমিস ফর ডিফল্ট হিসেবে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে না। পরে আমাদের প্রতিপক্ষ দুটি আবেদন দিয়েছিলেন, আমাদের আপিল ডিসমিস হওয়ার কারণে তাদের দুটি আবেদন শুনানির জন্য থাকবে না। আদালত রিজেক্ট করে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আজ এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হলো। এই বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর পরবর্তী নির্দেশনার আলোকে আমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব। এখানে নিবন্ধনের বৈধতা নিয়ে মামলা ছিল, আদালত এ নিয়ে মতামত দিয়েছেন। তবে স্বাভাবিকভাবে জামায়াতের রাজনীতি বহাল থাকবে। মিছিল মিটিং করার সুযোগ পাবে। রাজনীতি করার সুযোগ জামায়াতে ইসলামী পাবে।
এর আগে এদিন রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলই থাকবে বলে রায় দেন আপিল বিভাগ। আপিলকারীর পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এর আগে হরতালের কারণ দেখিয়ে আইনজীবী আসতে পারবেন না জানিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য ৬ সপ্তাহ সময় চায় দলটি। কিন্তু আদালত তা গ্রহণ না করে আপিল খারিজ করে দেন। এর ফলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলে হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে ইসির দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। পরে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী লিভ টু আপিল করে।
২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।